হেলাল শেখঃ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার শ্রেষ্ঠ আবিস্কার সাভার উপজেলা পরিষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান ও সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম রাজীব’কে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সাভার উপজেলা পরিষদের পুনরায় চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চায় সাভারবাসী।
ঢাকার সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাভার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব মঞ্জুরুল আলম রাজীব বলেন, সাভারবাসীর উন্নয়নের জন্য আমি সবসময় নিয়োজিত আছি। মানুষ হিসেবে বিপদে আপদে এলাকাবাসীর পাশে থেকেছি, আগামীতেও তাদের পাশে থাকবো। তিনি মন্তব্য করেছেন, আসন্ন সাভার উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে কথিপয় কিছু স্বার্থলোভী মহল আমার নামে মিথ্যা বানোয়াট খবর প্রকাশে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে, আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এর আগে মঞ্জুরুল আলম রাজীব গত (৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ইং) তার নিজ অফিসে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেছিলেন। এসময় তিনি আরো বলেন, যারা আমার নামে মিথ্যা বানোয়াট খবর প্রকাশে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে, আমি তাদেরকে বলবো,আমার সমালোচনা না করে দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করুন। আমাকে জনগণ ভালোবেসে এখানে বসিয়েছেন, জনগণই আমার শক্তি। তিনি আরো বলেন যে, যতদিন বাঁচবো সাধারণ মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাবো। বিএনপির আমলে আমাকে পুলিশের পিকাপ ভ্যানের পিছনে বাইন্দা পুরা সাভার ঘুরিয়েছে, রক্তে সারা শরীর ভিজে গেছে আমার, তারপরও আমি আওয়ামী লীগ ছাড়ি নাই। সে সময় বিএনপির নাজমুল হুদা আমাকে বিএনপিতে নেওয়ার জন্য অনেক চেষ্টা করেছিলো কিন্তু এত নির্যাতন সহ্য করেছি তবুও আমি দল থেকে বের হয়ে যায়নি। জননেত্রী শেখ হাসিনার ডাকে প্রতিটি লড়াই সংগ্রামে নিজেকে শতভাগ উজাড় করে দিয়েছি। আমি দলের স্বার্থে আমার জনগণের জন্য কাজ করে যাবো। তিনি আরো বলেন, আমার সাভারবাসীর জন্য আমার অনেক বড় পরিকল্পনা রয়েছে। ইনশাআল্লাহ আগামীতে সাভারবাসী তার সুফল পাবেন।
জননেতা মঞ্জুরুল আলম রাজীব বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামী লীগকে তৃনমূল পর্যন্ত বিস্তৃত করেছিলেন, আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করেছিলেন, সাংগঠনিক ভিত মজবুত করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু যেভাবে সংগঠনকে গড়ে তুলেছিলেন সেই ভিত্তিকে থিউরি করে আজকের সাভারের আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করেছি। দলকে উজ্জীবিত রাখতে রাত দিন পরিশ্রম করে যাচ্ছেন জানিয়ে এই জননেতা আরো বলেন, গতিশীল নেতৃত্বে সাভারে এখন আওয়ামী লীগ সংগঠিত। তৃণমূলের নেতাকর্মীদের প্রাণবন্ত করে তুলেছি। অপশক্তি আন্দোলনের চেষ্টা করলে রাজপথেই তার জবার দিতেও এক পাও পিছপা হবো না আমরা। তরুণ নেতাদের নেতৃত্বে স্থানীয় ছাত্রলীগ, যুবলীগ, কৃষকলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, শ্রমিক লীগসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের সকল নেতাকর্মীদের সুসংগঠিত রেখেছেন জননেতা রাজীব এমনই অভিমত প্রকাশ করেন দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ। সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগ মানেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মজবুত একটি ঘাটি। কখনো এখানে আন্দোলনের নামে বিএনপি জামায়াতকে কোনো প্রকার বিধ্বংসী কার্যক্রম করতে দেয়া হয়নি। মঞ্জুরুল আলম রাজীব ৭ম শ্রেণীতে অধ্যায়নরত অবস্থায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ছাত্রলীগের মাধ্যমে রাজনীতিতে যুক্ত হন—বাকীটা ইতিহাস।
উক্ত জননেতা জনাব মঞ্জুরুল আলম রাজীব এর “রাজনৈতিক পরিচিতি”চেয়ারম্যান—সাভার উপজেলা পরিষদ (২০১৯ থেকে চলমান) সাধারণ সম্পাদক—সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগ, সাভার (২০১৯ থেকে চলমান), সাবেক যুগ্ম—সাধারণ সম্পাদক সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগ (২০১৫—২০১৯), সাবেক সহ—সভাপতি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (২০০২—২০০৬), সাবেক সভাপতি ঢাকা জেলা ছাত্রলীগ (১৯৯৪—১৯৯৮), সাবেক ভিপি সাভার বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্র—ছাত্রী সংসদ (১৯৯৩—১৯৯৪), সভাপতি—বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, সাভার উপজেলা শাখা (১৯৯০—১৯৯১)। উক্ত ত্যাগী ও সাহসী নেতার সাথে অন্য কারো তুলনা করা যায়না বলে আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী অভিমত প্রকাশ করেছেন। ৭৫ এর কালো অধ্যায়ের পর যখন গুটি কয়েক লোক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হত্যার বিচার চেয়েছিলেন তাদের মধ্যে একজন মঞ্জুরুল আলম রাজীব ও তার পরিবারের সকলেই সেই আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত হোন। রাজীব এর পিতা প্রবীন সাংবাদিক ওয়াসিল উদ্দিন ছিলেন একজন কলমযোদ্ধা। ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর ও মুক্তিকামি বাঙ্গালির পক্ষে সংবাদ প্রকাশ করায় গান পাওডার দিয়ে তার বসতবাড়ি পুরিয়ে দিয়েছিলো পাক হানাদাররা—বাকিটা ইতিহাস। বর্তমানে “ আশুলিয়া সাংবাদিক সমন্বয় ক্লাব” এর প্রধান উপদেষ্টা—জনাব মঞ্জুরুল আলম রাজীব চেয়ারম্যান সাভার উপজেলা পরিষদ, সাভার ঢাকা।