বিশেষ প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি জনাব হাবিবুর রহমান বিপিএম (বার), পিপিএম গত ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ইং তারিখ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিএমপি’র নবনিযুক্ত পুলিশ কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় তাঁকে প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থা’র ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং আশুলিয়া সাংবাদিক সমন্বয় ক্লাব এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সাইফুল ইসলাম জয় (হেলাল শেখ)।
বাংলাদেশ পুলিশের উজ্জল নক্ষত্র অতিরিক্ত আইজিপি জনাব হাবিবুর রহমান। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, সাংবাদিকরাই পুলিশের প্রকৃত বন্ধু। তবে যেসব সাংবাদিক পুলিশের দুর্নীতির প্রতিবেদন প্রকাশ করেন তারা অনেকেই মনে করেন যে, পুলিশ তাদের শক্র, আসলে তা ঠিক নয় কিন্তু তাদের অবস্থান পুলিশের বিরুদ্ধে নয়। তারা পুলিশের পক্ষেই আজীবন কাজ করেছেন, তাই পুলিশও তাদের বন্ধু। সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন বা টিভি চ্যানেলে প্রচারিত সংবাদের ভিত্তিতে অনেক সময় দুর্নীতিবাজ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। আমরা চাই দুর্নীতিমুক্ত পুলিশ এবং মাদকমুক্ত দেশ গড়তে। তিনি বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমকে জানান, পড়ালেখা শেষে আমি সাংবাদিকতার মাধ্যমেই কর্মজীবন শুরু করেছিলাম। তাই সাংবাদিকতা আমার রক্তে মিশে আছে।
বিশেষ করে পুলিশ বাহিনীর গর্ব ও সাংবাদিকদের বন্ধু জনাব হাবিবুর রহমান (হাবিব) ১৯৯৮ সালের ২২ফেব্রুয়ারি ১৭তম বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন। ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন পদে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এরপর ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি, এরপর ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হোন, এর আগে তিনি পুলিশ সদর দফতরে উপ—মহাপরিদর্শক (প্রশাসন—ডিসিপ্লিন) হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। তার আগে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সেসময় তিনি বিশেষ সম্মান অর্জন করাসহ সাধারণ মানুষের কাছে অতিপ্রিয় মানুষ হিসেবে অতুলনীয় ভালোবাসা পেয়েছেন। পদোন্নতিক্রমে পুলিশ সুপার থেকে পুলিশ সদর দফতরের অতিরিক্ত সহকারী মহাপরিদর্শক (সংস্থাপন) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন হাবিবুর রহমান। সেই সাথে ঢাকা জেলার সাভারের বেদেপল্লীর বেদেদের জীবন বদলে দেওয়া ও অনেক হিজড়াদের আলোর পথে আনাসহ বেশ কয়েকটি সামাজিক সংগঠনের মাধ্যমে তিনি মানুষে বিভিন্ন সেবামুলক কাজ করেছেন, এতে তিনি ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছেন। বেদেপল্লীসহ অনেক এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কম্পিউটার টেনিং সেন্টার, গাড়ি চালকদের প্রশিক্ষণকেন্দ্র ও বুটিক হাউসসহ নানা ধরণের প্রতিষ্ঠান গড়ে তেুলছেন তিনি এবং বাল্য বিবাহ রোধে বিশেষ ভুমিকা পালন করেছেন। হাবিবুর রহমান বাংলাদেশ পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রতিষ্ঠার পেছনে তাঁর বিশেষ ভুমিকা থাকায় তিনি সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে পুলিশ বাহিনীর অবদান ও ঢাকায় তাদের প্রথম প্রতিরোধ বিষয়ক ঘটনা নিয়ে তিনি “মুক্তিযুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ” নামে একটি বই লিখেছেন।
অতিরিক্ত আইজিপি জনাব হাবিবুর রহমান বিপিএম (বার), পিপিএম মহোদয়, বেদে ও হিজড়াদের সামাজিক বৃত্তিতে পূর্ণবাসনের ব্যবস্থা করেছেন। হিজড়া ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে ‘উত্তরণ কর্মসংস্থান প্রশিক্ষণ’ কর্মসূচি চালু করেন এবং উত্তরণ ফাউন্ডেশন নামক একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন, তিনি বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তিনি ‘এশিয়ান কাবাডি ফেডারেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট’ নির্বাচিত হয়েছেন। হাবিবুর রহমান অনেক বড় মনের অধিকারী, সাহসী ও সৎ মানুষ। সততা ও সাহসী ভুমিকা রাখায় বেশিরভাগ মানুষ বলেন, তিনি পুলিশ বাহিনীর গর্ব। হাবিবুর রহমানের কাছে না গিয়েও তাকে অনেক মানুষ ভালোবাসেন, সম্মান করেন। বিশেষ করে পুলিশ সদস্য, সাংবাদিক, লেখকসহ অনেকেই বলেন, হাবিবুর রহমান অনেক বড় মনের মানুষ। তিনি মানবতার ফেরিওয়ালা, তিনি কোনো ভালো মানুষকে হয়রানি করা পছন্দ করেন না। জনগণের সেবা ও নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে ঢাকা রেঞ্জের প্রতিটি থানায় সিসি ক্যামেরা স্থাপন করেছেন, এর কারণে ঢাকা বিভাগের প্রতিটি থানা এলাকায় অপরাধমূলক কর্মকান্ড অনেকটা কমেছে, ধন্যবাদ বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীকে।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থা’র চেয়ারম্যান ও জাতীয় দৈনিক চৌকস পত্রিকার প্রকাশক/সম্পাদক জনাব এস. এম নজরুল ইসলাম বলেন, অতিরিক্ত আইজিপি জনাব হাবিবুর রহমান অনেক ভালো মনের মানুষ, তিনি পুলিশ বাহিনীর গর্ব। তিনি বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর একজন কর্মকর্তা হয়েও বিভিন্ন সামাজিক কাজ করায় আমি ব্যক্তিগত ভাবে তাঁকে ধন্যবাদ জানাই, সেই সাথে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থা ও দৈনিক চৌকস পত্রিকা পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁকে প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি, সেই সাথে মানবিক সকল পুলিশ সদস্যদের প্রতি দোয়া ও শুভকামনা রইলো।