প্রিন্ট এর তারিখঃ জুন ৭, ২০২৫, ৪:১৪ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ এপ্রিল ২১, ২০২৫, ১১:০৭ এ.এম
যশোর-বেনাপোল মহা সড়কে দুর্ঘটনারোধে ঝুঁকিপূর্ণ গাছ অপসারণের প্রস্তাব

নিজস্ব প্রতিনিধি.আনোয়ার হোসেন
যশোর-বেনাপোল মহা সড়কে দুর্ঘটনারোধে ঝুঁকিপূর্ণ গাছ অপসারণের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। সেই সাথে সামনে বর্ষাকালে ডেঙ্গু থেকে রক্ষা পেতে সচেতন থাকার বিষয়ে আলোচনা করা হয়।গতকাল রবিবার, ২০শে এপ্রিল।
জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কালেক্টরেট ভবন সভা কক্ষে অমিত্রাক্ষরে অনুষ্ঠিত উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় এই প্রস্তাব রাখা হয়।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশিদ বলেন বেনাপোল মহাসড়কে অনেক গাছের মরা ডাল রয়েছে। সেগুলোর কারণে ভেঙে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে ও হচ্ছে। সম্প্রতি একটি ডাল ভেঙে দুর্ঘটনা ঘটে। কমিটির মাধ্যমে এসব ঝুঁকিপূর্ণ গাছ অপসারণ করা প্রয়োজন। বাড়ি নির্মাণ করলে নিয়ম মানতে হবে। ভবনে অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা রাখতে হবে। সরকারি অফিস গুলোতে অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা রাখতে হবে। কর্মচারীদের এগুলো ব্যবহারের জন্য মৌলিক প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম বলেন, কোনো এলাকায় রাস্তা নির্মাণের ক্ষেত্রে স্থানীয়দের মতামত নিতে হবে। ঠিকাদারদের সেবা দেয়ার মানসিকতা কম থাকে। তাদের দিয়ে সঠিক কাজ আদায় করে নিতে হবে। বৃষ্টি হচ্ছে, ধানের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে।
সিভিল সার্জন ডাক্তার মাসুদ রানা বলেন, সামনে আসছে বর্ষাকাল। বর্ষাকালে ডেঙ্গু বৃদ্ধি পায়। এজন্য সকলের মাঝে সচেতনা বৃদ্ধি করতে হবে। গরম থেকে রক্ষা পেতে শরবত খেতে হবে। সম্প্রতি ফুসকা খেয়ে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
২৫০ শয্যা যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার হুসাইন শাফায়াত বলেন, হাসপাতালের সামনে যত্র তআলুত্র রিক্সা,মোটরসাইকেল, ইজিবাইক রাখার কারনে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এ কারণে রোগীদের আসতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ বিষয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করলে ভাল হয়। হাসপাতাল কমিটি আছে। কমিটির সভা করা প্রয়োজন। সভা করে সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিতে হবে।
এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আহমেদ মাহাবুবুর রহমান বলেন, মামলার কারণে জেলার ৮টি ব্রিজ নির্মাণ কাজ বন্ধ আছে। সেই সাথে ১৯৭ টি স্কীমের কাজ সমাপ্ত হয়েছে, চলমান রয়েছে ২৭১টি স্কীমের।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক ড. মোশাররফ হোসেন বলেন, মার্চে বোরো ধানে হাইব্রিড ও উফশীর মোট লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ৬০ হাজার ৭৭৫ হেক্টর। এর মধ্যে অর্জিত হয়েছে ১ লাখ ৫৭ হাজার ৫০ হেক্টর। জেলায় মোট ২৮টি কম্বাইন হারভেস্টার. ৩০টি রিপার ও ৯টি ট্রান্সপ্লান্টার সরকার নির্ধারিত ৫০ শতাংশ ভূর্তুকিতে কৃষকদের এ যন্ত্রপাতি বিতরণ করা হয়েছে। এ মৌসুমীতে কম্বাইন হারভেস্টার মাধ্যমে ধান কাটা শুরু হয়েছে।
গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম বলেন, মেডিকলে কলেজের ৬তলা ও ছাত্র হোস্টেলের ৫তলার ঢালাই কাজ শুরু করা হয়েছে। চৌগাছায় মডেল মসজিদের কার্যাদেশ প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু সাইট বুঝে না পাওয়ায় কাজ শুরু করা হয়নি।
কৃষি বিপণন কর্মকর্তা কিশোর কুমার সাহা বলেন, বাজারে পর্যাপ্ত আলু পেঁয়াজ ডিম আছে। ব্যবসায়ীদেরর হাতে চলে যাওয়ায় কেজিতে ২০ টাকা দাম বেড়েছে। বাজারে কৃষি বিপণন আইন ২০১৮ অনুযায়ী ২৩ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৩৬জনকে ৮৪ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এর পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টির প্রচেষ্টা অব্যাহত আছেও চলবে।
এ সময় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে কর্মকর্তা গন বক্তব্য রাখেন।
Copyright © 2025 সকালের বাংলা. All rights reserved.