🖊️ আনোয়ার হোসেন, জেলা প্রতিনিধি
যশোর: যশোর ২৫০ শয্যা সদর জেনারেল হাসপাতালে রোগীর চাপ থাকলেও সঠিক চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ। ডাক্তার ও নার্সদের হাসপাতাল থেকে বেশি সময় নিজস্ব চেম্বারে কাটাতে দেখা যায়। রোগীদের অভিযোগ, সমস্যার সময় নার্সদের ডাকলেও তাঁরা সাড়া দেন না। বরং নিজেদের সাজগোজ নিয়েই ব্যস্ত থাকেন।
সোমবার সকালে যশোর কালেক্টরেট সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এসব বিষয় নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়। সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম জানান, হাসপাতালকে দালালমুক্ত করতে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
সভায় চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মিজানুর রহমান খান অভিযোগ করেন, “মানুষ সরকারি হাসপাতাল থেকে সেবা নিতে গিয়ে চিকিৎসক ও নার্সদের না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়ছে।”
প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন বলেন, “হাসপাতালে হঠাৎ পরিদর্শন চালালেই প্রকৃত অবস্থা বোঝা যাবে।”
জেলা কাজী সমিতির সভাপতি মোশারেফ হোসেন অভিযোগ করেন, হাসপাতালের বাথরুম ও টয়লেট ব্যবহারের অনুপযোগী, সেখানে পানির জমাট ও দুর্গন্ধ রোগীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলছে।
এ বিষয়ে যশোরের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. নাজমুস সাদিক বলেন, “২৫০ শয্যার হাসপাতালে প্রায় চারগুণ রোগী ভর্তি থাকায় ডাক্তার ও জনবল সংকটে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে।”
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের প্রতিনিধি ডা. বিচিত্র মল্লিক বলেন, দালালদের কারণে রোগীরা প্রতারিত হচ্ছে, তাদের দমনে প্রশাসনের সহযোগিতা প্রয়োজন।
এছাড়া সভায় জেলা প্রশাসক কোরবানির ঈদে চামড়া সংরক্ষণ, নকল টাকা প্রতিরোধ, শহরের যানজট ও অবৈধ অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণ, রাস্তার গর্ত সংস্কার, বাস স্ট্যান্ড ব্যবস্থাপনা এবং শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে টাওয়ার লাইট স্থাপনসহ নানা বিষয়ে নির্দেশনা দেন।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূরে আলম সিদ্দিকী, পৌর প্রশাসক রফিকুল হাসান, বিএনপি নেতা দেলোয়ার হোসেন খোকনসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা বক্তব্য রাখেন।