হেলাল শেখঃ সততা ও অসীম বীরত্ব-সাহসিকতাপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ পুলিশের সর্বোচ্চ পদক ‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)-সেবা’পেলেন র্যাব-৪, সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান। অতি গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামলূক আচরণের মাধ্যমে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য তাকে এই পদকে ভূষিত করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি-২০২৪ইং) রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনে “পুলিশ সপ্তাহের” প্রথম দিনের অনুষ্ঠানে বিশেষ অবদানের জন্য পুলিশ বাহিনীর বিভিন্ন শাখার ৪০০ কর্মকর্তা ও সদস্যকে সম্মানসূচক পদক পরিয়ে দিয়েছেন সরকার প্রধান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা।
এ সময় সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরুপ ২০২২ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত ৩৫ জন পুলিশ সদস্যকে এবার ‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) দেওয়া হয়।
এছাড়া ৬০ জনকে ‘রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)’ এবং গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামলূক আচরণের জন্য প্রশংসনীয় অবদান রাখায় ৯৫ জন পুলিশ সদস্যকে ‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)-সেবা’ এবং ২১০ জনকে ‘রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)-সেবা’ দেওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের সেই পদক পরিয়ে দেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধন করেন। মোঃ রাকিব মাহমুদ খান রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ থানাধীন বাহাদুরপুর এলাকার মোঃ আকবর আলী খানের পূত্র, ৬ ভাইয়ের মধ্যে তিনি সবার ছোট, বড় ভাই রিপন খান (ব্যাংকার), মেজ ভাই রাসেল খান, সেজ ভাই মাসুদ খান, তার ছোট শামীম খান, তার ছোট রাজিব খান এবং সকলের আদরের, সবার ছোট মোঃ রাকিব মাহমুদ খান।
বিশেষ করে রাকিব মাহমুদ খান গোয়ালন্দ নাজিরউদ্দিন পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি, গোয়ালন্দ কামরুল ইসলাম কলেজ থেকে এইচএসসি এবং মিলিটারি ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি থেকে বিএসসি (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং) পাশ করেন এবং পহেলা ডিসেম্বর ২০১৪ সালে বাংলাদেশ নৌ বাহিনীতে যোগদান করেন। বিভিন্ন স্টেশনে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালনের পর সর্বশেষ তিনি র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ৪, সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার হিসেবে কর্মক্ষেত্র শুরু করেন।
মোঃ রাকিব মাহমুদ খান খুবই দক্ষতার সঙ্গে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান (র্যাব) ৪ এর , সিপিসি-২ (সাভার ও ধামরাই উপজেলা) এর কোম্পানি কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। প্রতিনিয়ত তিনি গুরুত্বপূর্ণ আলোচিত ক্লুলেস মামলার রহস্য উদঘাটনসহ আসামিদেরকে গ্রেফতার এবং মাদক, কিশোর গ্যাং, চাঁদাবাজি, নারী নির্যাতন প্রতিরোধে অসীম সাহসীকতার সাথে বিশেষ ভূমিকা পালন করছেন। এর সুফলে পুলিশের সর্বোচ্চ পুরস্কার পেলেন