নাজমুল হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদক :
লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ‘পিপিআর রোগ নির্মূল এবং ক্ষুরারোগ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প’-এর আওতায় ছাগল ও ভেড়ার পিপিআর রোগমুক্তকরণ কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘পিপিআর রোগ নির্মূল ও ক্ষুরারোগ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের আওতায় দেশব্যাপী পিপিআর রোগ নির্মূলের লক্ষ্যে ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত উপজেলার সকল ইউনিয়নে বিনামূল্যে ছাগল-ভেড়ার পিপিআর রোগের টিকা প্রদান ক্যাম্পেইন চলছে।
রোববার (১ অক্টোবর) রামগতি উপজেলার বড়খেরী ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল আয়োজিত বিনামূল্যে ছাগল-ভেড়ার পিপিআর রোগের টিকা প্রদান ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত ক্যাম্পেইনে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াহেদ, বড়খেরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাসান মাকসুদ মিজান।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মো. নজরুল ইসলাম বলেন, পিপিআর ছাগলের একটি ভাইরাসজনিত সংক্রামক রোগ। এ রোগে আক্রান্ত ছাগলের মৃত্যুহার বেশি। নিয়মিত ও সঠিক পদ্ধতিতে টিকা প্রদানে এ রোগ থেকে শতভাগ মুক্ত থাকা যায়।
তিনি জানান, প্রাণিস্বাস্থ্যের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ওআইই) ২০৩০ সালের মধ্যে সকল দেশকে পিপিআর মুক্তকরণের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সারাদেশে একযোগে ছাগল ও ভেড়াকে পিপিআর টিকাদান শুরু হয়েছে। এ কর্মসূচির আওতায় আগামী ৯ অক্টোবর পর্যন্ত উপজেলায় সকল ছাগল ভেড়াকে বিনামূল্যে টিকা প্রদান করা হবে।
এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে পিপিআর রোগ নির্মূল করতে হবে। ওয়ার্ল্ড অরগানাইজেশান ফর এনিমেল হেল্থ (WOAH) কর্তৃক বাংলাদেশকে পিপিআর মুক্ত ঘোষণা করার পর বিদেশে ছাগলের মাংস রপ্তানির এক নতুন দার উন্মোচিত হবে। একই সাথে উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং খামারীগণ লাভবান হবে।