নাজমুল হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদক :
জাটকা সংরক্ষণ ও মা ইলিশ রক্ষায় আজ ২ অক্টোবর থেকে ২রা নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন মেঘনা নদীতে সকল ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার।
এ সময় প্রতি জেলে ভিজিএফের চাল পাবে ২৫ কেজি। এ ছাড়াও নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করতে নদীতে মৎস্য বিভাগ, উপজেলা-জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও কোস্টগার্ডের সমন্বয়ে প্রতিদিন অভিযান পরিচালনা করা হবে।
লক্ষ্মীপুর জেলায় ৫২ হাজার জেলে রয়েছে। এদের মধ্যে ৪৩ হাজার নিবন্ধিত। এসব জেলে মেঘনা নদীতে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করে। জাটকা সংরক্ষণ ও মা ইলিশ রক্ষায় লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতির আলেকজান্ডার থেকে চাঁদপুর জেলার ষাটনল এলাকার ১শ’ কিলোমিটার পর্যন্ত মেঘনা নদীতে সকল ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এই এলাকাকে ইলিশের অভয়াশ্রম হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
এখানে সব রকমের ইলিশ সংরক্ষণ, আহরণ, পরিবহন, বাজারজাতকরণ ও মজুতকরণ নিষিদ্ধ রয়েছে। জেলেদের সচেতন করার জন্য নদী এবং উপকূলবর্তী এলাকায় মাইকিং ও পোস্টারিংসহ সকল ধরনের প্রচারণা অব্যাহত রেখেছে জেলা প্রশাসন ও জেলা মৎস্য বিভাগ।
এ বিষয়ে স্থানীয় জেলেরা জানান, জাটকা সংরক্ষণ ও মা ইলিশ রক্ষায় এবং উৎপাদন বাড়াতে সরকার যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সেটা মেনে জেলেরা নদীতে যাবে না। কিন্তু এবার মাছের আকাল ছিল। জেলেদের পুনর্বাসন করার কথা সেটা এখন পর্যন্ত হয়নি। যে পরিমাণ জেলে রয়েছে, সে পরিমাণ সরকারি খাদ্য সহায়তা দেয়া হয় না বলে অভিযোগ করেন তারা। জেলেদের বরাদ্দকৃত চাল লুটপাট না করে সঠিক তালিকা তৈরি করে দ্রুত দেওয়ার দাবি জানান জেলেরা।
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফুর রহমান বলেন, নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করার জন্য নদীতে মৎস্য বিভাগ, উপজেলা-জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও কোস্টগার্ডের সমন্বয়ে প্রতিদিন অভিযান পরিচালনা করা হবে। যারা আইন অমান্য করে নদীতে মাছ ধরতে যাবে, তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।