নাজমুল হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদক :
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পৌর ৮ নং ওয়ার্ডে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হয়েছে শাহীনুরের বসতঘর।গত বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ভোর রাত ফজরের আযানের সময় কারেন্টের শর্ট সার্কিট থেকে এমন ঘটনা ঘটে।
পরবর্তীতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থ হতদরিদ্রদের মাঝে টিন ও নগদ অর্থ বিতরণ করেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সদর উপজেলার পৌর শহরে টিন ও নগদ অর্থ ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বিতরণ করেন।
আকস্মিক বন্যায় লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পৌর এলাকায ভেঙে পড়েছে আমিরুনেচ্ছার ঘরবাড়ি। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বসতঘরসহ বাড়ির আঙিনা। সব হারিয়ে এখন নিঃস্ব তারা। বন্যা পরবর্তী ঘুরে দাঁড়ানোটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ।
ঠিক সেই সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর টিম সদস্যরা সরেজমিনে গিয়ে দেখে হাতে হাতে পৌঁছে দেয়। যেখানে সাধারণ মানুষ পৌঁছাতে পাচ্ছেনা সেখানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী গিয়ে পৌঁছে দিচ্ছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা মাথায় টিন নিয়ে পৌঁছে দিচ্ছেন অসহায় ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি। ২ টি পরিবারকে ৪ বান করে টিন প্রদান করা হয়। এ সময় প্রত্যেক পরিবারকে ৪ হাজার টাকা করে নগদ অর্থ প্রদান করা হয়।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের সেনাসদস্যরা শুরু থেকেই বন্যার্তদের সাহায্য ও উদ্ধার কাজে নিয়োজিত ছিলেন। বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা প্রাকৃতিকভাবে কমে গেলেও বন্যায় দুর্গত মানুষেরা এখনো তাদের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারেননি। এই উপজেলায় বন্যা দুর্গতদের ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে লক্ষ্মীপুরের মোতায়েনরত সেনা সদস্যরা।
এর পূর্বে লক্ষ্মীপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রত্যন্ত অঞ্চলে ত্রাণ বিতরণ, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষককে ও বন্যার্ত পরিবারকে ধানের চারা সহায়তা দেওয়ার পাশাপাশি ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প পরিচালনা করছে সেনাবাহিনী।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনীর মেজর জিয়া উদ্দিন আহমদ, সার্জেন্ট আলমগীর এবং অন্যা
ন্য সেনা সদস্যরা।