শ্রীপুরে ফারুক হত্যা: সাত বছরেও মূল আসামি গ্রেপ্তার হয়নি


সকালের বাংলা প্রকাশের সময় : নভেম্বর ৮, ২০২৫, ১০:৪০ পূর্বাহ্ন /
শ্রীপুরে ফারুক হত্যা: সাত বছরেও মূল আসামি গ্রেপ্তার হয়নি

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:

ন্যায়বিচারের প্রত্যাশায় এখনো অপেক্ষায় পরিবার ও সহকর্মীরা


গাজীপুরের শ্রীপুরে আলোচিত ফারুক হত্যা মামলার সাত বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো মূল আসামি গ্রেপ্তার হয়নি। ২০১৮ সালের ২৬ অক্টোবর সকালে উপজেলার বরাইহারা চালা এলাকায় এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও মামলার তদন্তে তেমন কোনো অগ্রগতি নেই বলে অভিযোগ উঠেছে নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে।

ঘটনার দিন সকাল সাড়ে নয়টার দিকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থার শ্রীপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম মোবাইল ফোনে জানান—এক শিক্ষককে (নাম শোনা যায় মাসুদ) সন্ত্রাসীরা মারধর করে অপহরণ করে নিয়ে গেছে। খবরটি জানার পর স্থানীয় সাংবাদিক ও সংগঠনের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে যাওয়ার চেষ্টা করেন।

তারা মোটরসাইকেলে করে সন্ত্রাসীদের পিছু নিলে এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পাটকেল নিক্ষেপ করে ও মোটরসাইকেলে আঘাত করে বারতুপা রোড হয়ে পালিয়ে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই জানা যায়, যাকে তুলে নেওয়া হয়েছিল তিনি স্থানীয় যুবক ফারুক—সংবাদদাতার মামাতো ভাই। পরে জানা যায়, সন্ত্রাসীরা নির্মমভাবে ফারুককে হত্যা করেছে।

এই হত্যাকাণ্ডে এলাকায় নেমে আসে শোক ও ক্ষোভের ছায়া। পরদিন মাওনা ও শ্রীপুরে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থার উদ্যোগে পরপর দুই দিন মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। বক্তারা ফারুক হত্যার বিচার দাবি করে বলেন—“এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার না হলে অপরাধীরা আরও সাহস পাবে।”

তবে সাত বছর পেরিয়ে গেলেও আজও মূল আসামিকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। নিহত ফারুকের পরিবার ও সহকর্মীরা জানিয়েছেন, দীর্ঘ এই অপেক্ষা তাদের মানসিকভাবে ভেঙে দিয়েছে। তারা প্রশাসনের প্রতি দ্রুত বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

স্থানীয় সাংবাদিকদের দাবি, ফারুক হত্যার মামলার অগ্রগতি শ্লথ হওয়ায় বিচারহীনতার সংস্কৃতি আরও গভীর হচ্ছে। তারা বলেন, “ন্যায়বিচারের জন্য আমরা রাষ্ট্রের প্রতি পূর্ণ আস্থা রাখি, কিন্তু সাত বছরেও আসামি গ্রেপ্তার না হওয়া দুঃখজনক।”

ফারুকের হত্যার ক্ষত আজও শ্রীপুরবাসীর মনে তাজা। এলাকাবাসীর একটাই দাবি—দ্রুত বিচার হোক, দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।