হেলাল শেখঃ বাংলাদেশের মানুষ শান্তিপ্রিয়, তাহলে কেন অর্থ ও স্বার্থের জন্য মানুষের সমস্যা করে অশান্তি সৃষ্টি করে? দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করেন প্রকৃত সাংবাদিকরা আর নিউজ লিখতে পারে না এমন ধান্দাবাজ, ফিটিংবাজ চাঁদাবাজদের কারণে সাংবাদিকদের উপর নৃশংস হামলা মামলা কেন করা হয়, এর জন্য বেশিরভাগ সাংবাদিকরাই দায়ী বলে অভিমত প্রকাশ করেন সচেতন মহল।
জীবনের ঝুঁকি দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করতে গিয়ে কলম সৈনিক সাংবাদিকরা হামলা মামলা ও হত্যার শিকার হচ্ছেন কিন্তু সেই সাংবাদিকরাই আজ বেশি অবহেলিত। সাংবাদিক মানে কলম সৈনিক-দেশ ও জাতির বিবেক। জাতির কাছে প্রশ্ন কেন সাংবাদিকদের উপর হামলা মামলা করা হয়?। বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ শান্তি প্রিয়। জনগণের তুলনায় সাংবাদিকের সংখ্যা অনেক কম। ৯০% মানুষ তাদের সেবা সঠিকভাবে পাচ্ছেন। তুলনামূলক বাংলাদেশে মাত্র ১০% জনগণ খারাপ, এর কারণে ভালো মানুষগুলোর বদনাম হয়, বাকিটা ইতিহাস।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদেরকে ১৯৭৫ সালে নিষ্টুরের মতো হত্যা করেছে ঘাতকরা, বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেই হত্যাকারীদেরকে পুরোপুরিভাবে বিচার করতে পারেননি, এখনো অনেকেই বিদেশে পালিয়ে আছে। বিশেষ করে ১। প্রজাতন্ত্র-বাংলাদেশ একটি একক, স্বাধীন ও সার্বভৌম প্রজাতন্ত্র, যাহা “গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ” নামে পরিচিত। ২। প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রীয় সীমানা-প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রীয় সীমানার অন্তর্ভুক্ত হইবে। ১২বছর আগের পুলিশ প্রশাসন ও সাংবাদিক এবং চলমান পরিস্থিতি আর বর্তমান সময়ের হিসাব অনেকটা আলাদা। বর্তমানে যারা উক্ত দুইটি পেশায় আছেন, তারা বেশিরভাগ ব্যক্তিই সৎ ও সাহসীকতার সাথে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন বলে অনেকেরই অভিমত। আপনারা জানেন যে, বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ পুলিশ ও সাংবাদিকদের দায়িত্ব এবং ভুমিকা কি? এ আলোচনা নিয়ে পরে আসি।
(বাংলাদেশের ইতিহাস)ঃ তথ্য সুত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে প্রথমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় এক ছাত্র সভায়, ২ মার্চ ১৯৭১। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের মহান নায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান। তথ্য-কমপিউটার বিসিএস প্রিলিমিনারী গাইড এর ৮৭নং পাতা। যাঁর ডাকে বাংলার মানুষ স্বাধীনতা যুদ্ধে গিয়েছিলেন, তিনিও আজ আমাদের মাঝে নেই, তাহার স্মৃতিটা সবার মাঝে বেঁচে আছে। এখন আমরা স্বাধীনভাবে বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারছি, স্বাধীনভাবে পথ চলছি, একবারও কি তাদের আত্মার মাফেরাতের জন্য আমরা দোয়া করি? সবাই সবার জন্য দোয়া করা দরকার, এই দেশ আপনার আমার সবার, তাই দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারেন না কেউ।
১৯৭১ইং সালের পর বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামো-বিভাগ সংখ্যা ছিলো ৬টি যা বর্তমানে ৮টি করা হয়েছে। ৬৪টি জেলা। প্রতিটি জেলায় পুলিশ প্রশাসন ও সংবাদ কর্মী আছেন, সেই সাথে প্রতিটি এলাকায় জনপ্রতিনিধি জনগণের স্বার্থে কাজ করছেন। যে পেশায়, যে দায়িত্বে রয়েছেন, সবাই যদি সঠিকভাবে সেই দায়িত্ব পালন করেন তাহলে বাংলাদেশ আরও এগিয়ে যাবে, উন্নয়ন হবে, স্মার্ট হবে। উন্নয়নমূলক কাজ করার কথা সবাই বলা যায় কিন্তু উন্নয়ন করা সহজ নয়। আমাদের সবাইকে সরকারী সম্পদ রক্ষায় কাজ করতে হবে। যেমনঃ সরকারী খাল, বিল, নদী ও গ্যাস, বিদ্যুৎসহ যেসকল সেক্টর রয়েছে, সবগুলোর দিকে নজরদারি বৃদ্ধি করতে হবে। প্রতিটি যানবাহনের প্রয়োজনীয় বৈধ কাগজপত্র লাগবে। মাদক, জুয়া, দেহ ব্যবসা বন্ধ করতে হবে। এই ৩টি অপরাধ বন্ধ হলে দেশে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, অপহরণ, চাঁদাবাজি, খুন, ধর্ষণ, প্রতারণাসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড কমে যাবে বলে অনেকেরই অভিমত।
বিশেষ করে আপনার আমার পরিবার, সমাজ, দেশ ও দেশের সম্পদ রক্ষা করতে আমাদেরকেই সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। যে জাতি যতো সচেতন হবেন-সেই জাতি ততই উন্নতির দিকে যাবে। আমরা কেউ কারো হিংসা ও নিন্দা না করি, বিবাদ সৃষ্টি না করি, যার যে কাজ,সেই কাজ সঠিকভাবে গুরুত্বর সাথে করবো। আমরা দুইদিনের মেহমান, আজ আছি, আগামীকাল হয়ত আর থাকবো না। খারাপ কাজ করা সহজ কিন্তু ভালো কোনো কাজ করে দেখাই যে, এই কাজটি আমরা মানবতার কল্যাণে করেছি। ভালো কিছু করতে বেশি অর্থ লাগেনা, ভালো মনমানুষিকতা হলেই চলে। হে মানুষ তোমার সবকিছুতেই চাহিদা আছে সত্য কিন্তু যৌবনের চাহিদা আর পেটের খাবারের চাহিদা না থাকলে কোনো কাজ করার দরকার হইতো না। যৌবন মানব জীবনের এক শ্রেষ্ট সম্পদ তাকে অস্বীকার করা যায় না,দেহগত যৌবন আর মানুষিক যৌবন একরকম না। মানুষিক আত্মার অভাব হলে সেই মানুষটি ভালো হতে পারবেন না। আমরা যে মানুষ, যে ধর্ম পালন করি না কেন, একদিন বিচারকের সামনে হাজির হতেই হবে। আমরা অন্যের জন্য সবকিছু করছি, নিজের জন্য কি স য় করলাম? বুঝতে পারলে সেই বুদ্ধিমান। মানুষের চাওয়া পাওয়ার শেষ নাই। আমি অভিনয়ে বেশি চাই না,বাস্তবে আমাকে কম দাও। ধর্ম, কর্ম নিয়ে মানুষের জীবন আর কে কেমন ভালো কর্ম করেছেন? কারো মনে কষ্ট দিয়ে বা কারো ক্ষতি করে কেউ কি লাভবান হওয়া যায়? আসুন আমরা সত্যের সন্ধ্যানে মানবতার কল্যাণে কাজ করি। বাংলাদেশের মানুষ আমরা, আমাদের সঠিক ইতিহাস জানা দরকার। অবশ্যই আইন মেনে কাজ করতে হবে, সেজন্য সচেতন মহল ও সাংবাদিকদেরকে বেশি বেশি আইনের বই পড়তে হবে। বাংলাদেশের সংবিধান মানতে হবে। সংবাদকর্মী বা সাংবাদিক হলে তার আগে সাংবাদিকতার আদর্শলিপি বই পড়তে হবে। প্রতিদিন সংবাদ সংগ্রহ করে তা সংশ্লিষ্ট মিডিয়াতে প্রকাশ করতে হবে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ম্যানুয়েল বই পড়তে হবে, জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্ব প্রতিটি এলাকায় গিয়ে খোজখবর নিতে হবে যে, জনগণের নাগরিক সমস্যা কি? বাস্তবতা অনেক কঠিন। আশা করি সবাই বুঝতে পারছেন আমাদের সবার স য় দরকার, তবে সেই স য় অর্থ বা সম্পদ নয়। অর্থ সম্পদের জন্য মানুষ খারাপ কাজ ও অপরাধমূলক কর্মকান্ড করে, জমি দখল, চাঁদাবাজিসহ অপকর্ম করলে তার হিসাব দিতে হবে একদিন।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থার ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম জয় (হেলাল শেখ) অভিমত প্রকাশ করে বলেন যে, মানুষ হলে কর্মফল সবাইকে ভোগ করতে হবে আর বাস্তবতা কঠিন হলেও তা মানতে হবে এটা নতুন কিছু না, তবে সাংবাদিকরা দেশ ও জাতির কল্যাণে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সবসময় কাজ করেন কিন্তু সরকার বা কোনো সংস্থা সেই প্রকৃত সাংবাদিকদের কি সুবিধা দিচ্ছেন? কিছু দুর্নীতিবাজদের অনৈতিক কর্মকান্ড তুলে ধরলেই সাংবাদিকরা তাদের কাছে খারাপ হয়ে যায়, সেই প্রকৃত সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়, সাংবাদিকদের উপর নৃশংস হামলা করা হয়। সাংবাদিকরা ঐক্যবদ্ধ না হলে অপরাধীরা সাংবাদিকদের উপর নৃশংস হামলা মামলা করার সাহস করবেই, নিজে সচেতন হবেন এবং অন্যদেরকে সচেতন করবেন।