নাজমুল হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদক :
লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে যারা স্বতন্ত্র নির্বাচন করেছে তারা নাকি আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের ধমক দেয়। তারা ধমক দিয়ে কিছুই করতে পারবে না। কারণ আমরা সবাই এক সাথে মিলে মিশে থাকবো।
রামগতি ও কমলনগরের জন্য সকল দ্বন্ধ ভুলে গিয়ে নদী ভাঙ্গার জন্য এক সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে হবে। নদী ভাঙ্গা সমস্যা আমাদের সমাধান করতেই হবে। এমনটি বলেছেন নারী সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের কৃষি ও সমবায় সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী ।
শনিবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর উপজেলার হাজিরহাট তোয়াহা স্মৃতি বালিকা বিদ্যালয় এন্ড কলেজ মাঠে আয়োজিত সংবর্ধণা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব বলেন ফরিদুন্নাহার লাইলী।
লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগি সংগঠন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।
এর পূর্বে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার বিপুল সংখ্যক মানুষ ও ছাত্রলীগ, যুবলীগ, সেচ্ছাসেবকলীগ, আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরাসহ তাঁকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
সংবর্ধিত অতিথির বক্তব্যে ফরিদুন্নাহার লাইলী আরও বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন তুমি যে এলাকা থেকে নমিনেশন নিয়েছো সেখানকার মানুষদের নিয়ে কাজ কর; তাদের সমস্যা সমাধান কর। আমি নদী ভাঙ্গা সহ এলাকার যাবতীয় উন্নয়নে আপনাদের নিয়ে কাজ করবো।
সফিক উল্লাহ বাংলা নেতার সভাপতিত্বে এবং উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নুরুল আমিন রাজুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, রামগতি উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল ওয়াহেদ, কমলনগর উপজেলা শ্রমিকলীগ সভাপতি মোশারফ হোসেন রাসেল, উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক হারুন রশিদ চৌধুরী, সভাপতি নূর উদ্দিন চৌধুরী রুবেল প্রমুখ।
অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন, রামগতি পৌরসভার মেয়র এম মেজবাহ উদ্দিন মেজু, লক্ষ্মীপুর জজ কোর্টের পিপি এডভোকেট জসিম উদ্দিন, চর লরেঞ্চ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগের নেতা মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আমিন মাস্টার, তোরাবগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মীর্জা আশরাফুজ্জামান রাসেল, চর মার্টিন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইউছুফ আলী মিয়া প্রমুখ।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামীলীগের দলীয় পদে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ নেত্রী ফরিদুন্নাহার লাইলী। লক্ষ্মীপুর-৪ রামগতি-কমলনগর আসনের দায়িত্ব পেয়েছেন। এর পূর্বে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি এ আসনের জন্য আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পান। কিন্ত জোটের কারণে আসন বন্টনে আসনটি আওয়ামীলীগের শরীকদল জাসদকে দেওয়ার কারণে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান ফরিদুন্নাহার লাইলী। পরে এ আসনেই তাকে আবার নারী সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত করেন আওয়ামীলীগ।