মোঃ আলমগীর মোল্লা স্টাফ রিপোর্টার। ফরিদপুর জেলা সদরপুর উপজেলা সুদের টাকা না পেয়ে এক কিশোরী মেয়েকে অপহরণ করে বিয়ে অতঃপর চালাচ্ছে ধর্ষণ সহ শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন এর অভিযোগ উঠেছে ভাষানচর ইউনিয়নের ওয়াহেদ মোল্লার ডান্ডী গ্রামের মৃত খালেক খা এর ছেলে জামাল খা (৪৪) এর বিরুদ্ধে। ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার চর বিষ্ণুপুর ইউনিয়নে কাচারীডাঙ্গী গ্রামে সুদের টাকা না পেয়ে আফরোজা নামে এক কিশোরীকে অপহরণ করে বিয়ে এরপর কাবিননামার বলে নিয়মিত ধর্ষণ সহ শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ভাসানচর ইউনিয়নের ওয়াহেদ মোল্লার ডান্ডী গ্রামের মৃত খালেক খা এর ছেলে জামাল খা (৪৪) এর নামে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী কিশোরী আফরোজা বলেন আমি গত ১১/১১/২০২৩ তারিখ বিকাল অনুমানিক ৫ ঘটিকার দিকে আমার নানা বাড়ি থেকে বাড়ি ফেরার পথে চরভদ্রাশন থানাধীন ছোট বালিয়াডাঙ্গী আসিলে জামাল আমাকে জোরপূর্বক অটোযোগে অজ্ঞাত পরিচয়ের কাজীর কাছে নিয়ে জবরদস্তি কাবিন নামায় সহি সম্পাদন করিয়ে নেয়। আমি জামাল এর সাথে বিয়েতে রাজি না, সে আমার গলায় চাকু ঠেকিয়ে বলে আমি যা বলব তুই তাই বলবি না হলে তোর ভাই ও বাবাকে আমি মেরে ফেলবো তোর বাবার কাছে আমি টাকা পাবো আমার টাকা দেয় না তোকে দিয়ে আমি টাকা উসিল করবো আমাকে এ কথা বলে। জামাল আমার পিতার বয়সের লোক। আমার মা-বাবা শত নিষেধ করা সত্ত্বেও সে কাবিন নামার বলে প্রতিদিন আমার অমতে আমার বাড়িতে আসে এবং আমার মতের বিরুদ্ধে নিয়মিত আমাকে ধর্ষণ করে আমি জামালকে বাধা নিষেধ করিলে সে আমাকে শারীরিক নির্যাতন যৌন নিপীড়ন করে এবং আমি সহ আমার পিতা-মাতাকে খুন করিয়া ফেলাইবে এমন হুমকি ধামকি প্রদান করে। আফরোজা আরো বলেন এ ব্যাপারে আমার মা-বাবা কোন কথা বললে তাদের গায়ে হাত তুলে ও খুন করিবার হুমকি দেয়। বলে তোদের তিন জনের জন্য আমি লাখ লাখ টাকা রেখেছি আমার টাকা আছে সবকিছুই আছে, টাকা দিয়ে সব সমাধান করে ফেলবো, আমরা গরীব অসহায় তাই তার বিরুদ্ধে কোনো কথা বলতে পারি না অবশেষে সদরপুর থানার শরণাপন্ন হই, থানায় একটা লিখিত অভিযোগ করলে থানা থেকে এখনো কোন ব্যবস্থা নেয়নি। এ ব্যাপারে আফরোজার মা বলে আমরা গরীব অসহায় মানুষ বলে জামাল যার বয়স আমার স্বামীর চেয়েও বেশি এই জামাল এর আগেও বিভিন্ন জায়গায় একাধিক বিয়ে করেছে সেই লোকটা সুদের টাকার জন্য আমার ছোট মেয়েটাকে তুলে নিয়ে বিয়ে করেছে, এবং সে সুদের ৭০ হাজার টাকা আমার স্বামীর কাছে পেতো সেই ৭০ হাজার টাকা কাবিননামায় উসিল দেখিয়ে তার মন মত ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার দেনমোহর করে মেয়েটাকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে বিয়ে করে। সেই থেকে প্রতি রাতে জামাল আমাদের বাড়িতে আসে ও আমার মেয়েকে নিয়মিতভাবে টর্চার করে, আমরা এই ছোট্ট একটা ঘরের ভিতরে সবাই থাকি মেয়েটার উপরে জামাল প্রতি রাতে অমানুষিক নির্যাতন ধর্ষণ করে যা মুখে বলার ভাষা নেই বাবা-মা হিসেবে আমাদের এটা সহ্য করার চেয়ে মরে যাওয়া ভালো। এখন জামাল আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে ও খুন জখম করিবার হুমকি দিছে। আমি রাষ্ট্রের সুবিবেচক মহল ও প্রশাসনের সাহায্য কামনা করছি। ও জামালের শাস্তির দাবি করছি যেন কেউ সুদের টাকার জন্য এমন না করে। এ ব্যাপারে নাম প্রকাশ করার না সত্ত্বে কয়েকজন বলেন জামাল সুদের ব্যবসা করে তার অনেক টাকা পয়সা আছে সে টাকা দিয়ে যে কোন কিছু করে ফেলতে পারে তার সুদের টাকার অত্যাচারে সাধারণ গরিব মানুষ খুব বিপদে আছে। এর আগেও জামাল একাধিক বিয়ে করেছে এবং তার দুই স্ত্রী বিদেশে থাকে। সরেজমিনে ঘটনার সত্যতা জানতে গেলে তাদের এলাকার লোকজনের মুখ থেকে ঘটনার সত্যতা জানা যায়। এ ব্যাপারে ভাষানচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ কাউসার হোসেন বলেন এমন একটা অভিযোগের কথা শুনেছি আমরা চেয়েছিলাম গ্রামের সালিশি মীমাংসার মাধ্যমে সমাধান করার জন্য কিন্তু জামাল নামে ছেলেটা অনেক চালাক ও দুষ্ট বটে সে এজন্যে আমরা সালিশির মাধ্যমে মীমাংসা করতে পারিনি। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জামাল খাঁর সাথে যোগাযোগ করলে তার কাছ থেকে কোন সত উত্তর পাওয়া যায়নি।