হেলাল শেখঃ সারাদেশে বিএনপি’র নাম ভাঙিয়ে মহাসড়কে যানবাহনে ও ফুটপাতে কোটি টাকা চাঁদাবাজি নিয়ে চলছে চাঁপাবাজি এবং আশুলিয়ায় পোশাক কারখানার ঝুট ব্যবসা দখলের অভিযোগ উঠেছে। আর এসব ঘটনায় আশুলিয়ায় মানববন্ধন করেছেন বিএনপির আরো একটি পক্ষ। উল্লেখ্য, ঢাকা জেলার সাভার আশুলিয়া, ধামরাই ও গাজীপুরের কাশিমপুর, রাজধানীর মিরপুরসহ বিভিন্ন মহাসড়ক ও শাখা রাস্তার ফুটপাতে এবং ব্যাটারি চালিত অবৈধ অটোরিক্সাসহ ফিটনেসবিহীন বিভিন্ন যানবাহন থেকে নামে বে-নামে বিএনপি’র নাম ভাঙিয়ে একটি মহল কোটি কোটি টাকা চাঁদাবাজি করার অভিযোগ। তদন্ত করলে কেঁচো খুঁজতে সাপের সন্ধান পাওয়া জেতে পারে বলে অনেকেই জানান। অথচ সরকার এসব সেক্টর থেকে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে। ব্যাটারি চার্জ দিয়ে বিদ্যুৎ অপচয় করছে অসাধু ব্যবসায়ীরা।
সোমবার (৭ জুলাই ২০২৫ইং) জানা গেছে, আগে যেখানে আওয়ামী লীগের নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি করতো একটি মহল সেখানেই এখন বিএপি’র নাম ভাঙিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন ব্যবসা দখল করার অভিযোগ উঠেছে। ঢাকা জেলার সাভারের আমিনবাজার-আরিচা মহাসড়ক ও আশুলিয়ার বাইপাইল থেকে টাঙ্গাইল মহাসড়ক এবং আশলিয়ার বাইপাইল-টঙ্গী সড়কের জামগড়া, ছয়তলা, ইউসুফ মার্কেট ও নরসিংহপুর-কাশিমপুরসহ বিভিন্ন শাখা সড়কে একাধিক লাইনম্যান প্রতিটি অটোরি´া থেকে ২০ টাকা করে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা চাঁদাবাজি করে। জানা যায়, এই চাঁদাবাজির সাথে এলাকার প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতার দালালরা কাজ করে। অনেকেই সড়কের দুইপাশে মার্কেটের সামনে ফুটপাতে দোকান বসিয়ে মোটা অংকের চাঁদাবাজি করছে, প্রতিদিন একটি দোকানের চকির চাঁদা ১০০ থেকে ২০০টাকা নেয়া হয়। রাস্তায় যানজট সৃষ্টি করে গাড়ি থামিয়ে চাঁদা আদায় করা হয় যানবাহন থেকে এবং ফুটপাতসহ বিভিন্ন সরকারি জমি ও রাস্তা দখল করে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে চাঁদাবাজি নিয়ে চাঁপাবাজি করছে একটি মহল আবার গত সোমবার ২৩ জুন ২০২৫ইং তারিখে আশুলিয়ার বাইাইলে বিএনপির একটি পক্ষ মাথায় কাফনের কাপড় বেঁধে মানররন্ধন করেছেন চাঁদাবাজদের গ্রেফতারের দাবিতে।
মহাসড়কসহ বিভিন্ন রোডে অবাধে চলছে অবৈধ অটোরিকসা গাড়ি-সিএনজি, মাহিন্দ্রা, তিন চাকা গাড়ি, লাইসেন্সবিহীন ও ফিটনেসবিহীন অবৈধ যানবাহন। এসব যানবাহন থেকে লাখ লাখ টাকা চাঁদাবাজি করা হয়। সংশ্লিষ্টদের উদাসীনতায় যানবাহন থেকে প্রতি মাসে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। জানা গেছে, পুরাতন আশুলিয়া থেকে জিরাবো, নরসিংহপুর, সরকার মার্কেট, জামগড়ার ছয়তলা, ইউনিক, নবীনগর থেকে জিরানী পর্যন্ত সড়কে এবং নবীনগর থেকে পাটুরিয়া, আরিচা মহাসড়কে বাসগুলো থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। (সূচনা, দেশ মাটিসহ বিভিন্ন পরিবহণ সেক্টর থেকে লাখ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করা হয়)। অন্যদিকে দেখা যায়, কার আগে কে যাবে আর স্টাফদের সাথে মারামারি লেগেই থাকে, অসাবধানতায় গাড়ি চালায় ১৪-১৭ বছরের কিশোর। ফুটপাত দখল ও চাঁদাবাজি বন্ধ করা জরুরি।সাভার ও নবীনগরের ফুটপাত হকারদের থেকে দখলমুক্ত করা হলেও বেশিরভাগ এলাকায় এখনও ফুটপাত দখল করে জমজমাটভাবে চলছে ব্যবসা বাণিজ্য। লাইসেন্সবিহীন যানবাহন থেকে কিছু দালাল ও হাইওয়ে কিছু পুলিশ সদস্য মোটা অংকের চাঁদাবাজি করে থাকে বলে অনেকেই জানায়। মহাসড়ক ও হাইওয়ে সড়কের পাশে ফুটপাত দখল করে গাড়ি পার্কিং দোকানপাট বসিয়ে ব্যবসা বাণিজ্য করা সরকার নিষিদ্ধ করলেও কোনো ভাবেই বন্ধ হচ্ছে না কেন জাতি জানতে চায়। পুলিশ ও গাড়ির মালিক সমিতি কর্তৃক চাঁদাবাজদেরকে প্রতিটি গাড়ি হতে ১০০০-২৫০০/ টাকা চাঁদা দিতে হয়। বাংলাদেশ পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের একজন (টিআই) অভিমত প্রকাশ করে বলেন, বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ যানবাহনের ডকুমেন্ট হাল নাগাদ সঠিক ভাবে করতে দায়িত্ব কর্তব্য পালন করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কিন্তু প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ যানবাহনের ডকুমেন্ট হাল নাগাদ না করে অবৈধভাবে বিশৃঙ্খলার মধ্যে অবৈধ যানবাহন চলছে সড়কও মহাসড়কের সর্বত্র। ফলশ্রæতিতে জনগণ নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন আর সরকার সারাদেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বিষটি অতি গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে বিবেচনায় আনতে বিশেষভাবে সবিনয় বিনীত অনুরোধ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদেরকে। ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম বলেন, ঢাকা মহানগরসহ সারাদেশে ট্রাফিক ব্যবস্থা সুশৃঙ্খল করতে সক্ষম হলে বাংলাদেশের জনগণ তথা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত লোকের মধ্যে বাংলাদেশ সম্পর্কে পজিটিভ ধারণা আসবে। ফলশ্রæতিতে দেশে বৈদেশিক বিনিয়োগ অনেক বেশি আসবে। ফলশ্রæতিতে দেশে বৈদেশিক বিনিয়োগ আসলে অর্থনৈতিক উন্নতি টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত হবে এবং বেকার সমস্যা দূর করতে সক্ষম হবে সরকার। মানুষের চলাচলে নিরাপত্তা খুঁজে পাবে এবং নিরাপদ সড়ক বিনির্মাণে এক ধাপ এগিয়ে যেতে সক্ষম হবে। সেই সাথে সড়কের ফুটপাত দখলমুক্ত করা জরুরি।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, আশুলিয়ার নবীনগর পল্লী বিদ্যুৎ ও বাইপাইল, ইউনিক, জামগড়ার ছয়তলা ও সরকার মার্কেটসহ বিভিন্ন সড়কের পাশে ফুটপাত দখলমুক্ত করার কথা থানা পুলিশের, শুধু নবীনগরসহ কিছু এলাকায় ফুটপাত দখলমুক্ত করলেও বেশিরভাগই ধরাছোঁয়ার বাইরে, কোনো ভাবেই ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। অন্যদিকে ট্রাফিক পুলিশ সদস্য, হাইওয়ে পুলিশ ও আশুলিয়ার নরসিংহপুরে মোঃ সুমন ওরফে মাহিন্দ্রা সুমন, শ্রীপুরের বাবুলসহ কয়েকজন দালাল চাঁদাবাজ কর্তৃক তিন চাকা গাড়ি- প্রতি একটি গাড়ি থেকে ১ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৩ হাজার টাকা মাসিক চুক্তিতে চাঁদা আদায় করছে, পুরাতন আশুলিয়ায় ট্রাফিক পুলিশের একজন সদস্য সিএনজিসহ বিভিন্ন গাড়ি থেকে মাসিক চাঁদা উঠায়, তা মোটা অংকের বলে অনেকেই জানায়। সেই সাথে রাজনৈতিক নেতার পরিচয় ব্যবহার করে সন্ত্রাসী চাঁদাবাজরা বিভিন্ন ফুটপাতে চাঁদা আদায় করে। কিছু ফুটপাতের দোকানদার ব্যবসার আড়ালে চাঁদা উঠায় এমন অভিযোগও রয়েছে। সূত্র জানায়, দেশের অন্যদিকে সিলেট সদরের আম্বরখানাসহ বিভিন্ন এলাকার সড়ক থেকে প্রতি বছরে প্রায় ২ কোটি টাকার চাঁদা আদায় করে সন্ত্রাসী চাঁদাবাজরা। এদিকে ভৈররের বিভিন্ন এলাকায় সাড়ে ৩ থেকে ৪ হাজার সিএনজি চালকদের কাছ থেকে প্রতি বছর ১কোটি টাকার বেশি চাঁদা আদায় করে চাঁদাবাজরা। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় সন্ত্রাসী চাঁদাবাজরা একদিকে যানবাহন থেকে চাঁদা নিয়ে থাকে, অন্যদিকে ফুটপাত থেকে লাখ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করে বলে অভিযোগ উঠেছে। মিরপুর বিভিন্ন সড়ক ও বেঁড়িবাঁধ থেকেও ব্যাপক চাঁদাবাজি করা হয়। শুধু বেড়িবাঁধ থেকেই চাঁদা নিয়ে ক্ষ্যন্ত হয়নি তারা, কার্গো জাহাজ ভেড়ানোর জন্য তৈরি করেছে ল্যান্ড ষ্টেশনও। সেখানে মালবাহী ট্রাক লোড-আনলোডের ক্ষেত্রেও ইচ্ছেমতো চাঁদা নেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডবিøউটিএ) ল্যান্ড ষ্টেশন থাকলেও অদৃশ্য কারণে তৈরি ল্যান্ড ষ্টেশনই ব্যবহার করা হচ্ছে।
ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন পল্লীবিদ্যুৎ, বাইপাইল থেকে জিরানী বাজার পর্যন্ত এবং ভাদাইল, ইউনিক বাজার, শিমুলতলা, ইয়ারপুর ইউনিয়নের জামগড়া চৌরাস্তা-ছয়তলা, নরসিংহপুর, জিরাবো, পুরাতন আশুলিয়া পর্যন্ত সড়কের রাস্তার দুইপাশে ফুটপাত দখল করে স্থাপনা তৈরি করে দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে প্রভাবশালী মহল। সেই সাথে উক্ত এলাকায় গাড়ি থেকে চাঁদাবাজি করে এক ট্রাফিক পুলিশ সদস্য। জানা যায়, বিভিন্ন ক্রাইম স্পট থেকে কিছু পুলিশকে প্রতি মাসে মোটা অংকের টাকা চাঁদা উঠিয়ে দেয় এড়িয়াভিত্তিক মার্কেটের মালিক পক্ষের লোকজন। সচেতন মহল ও স্থানীয়দের অভিযোগ, সাভার, আশুলিয়ার সড়ক ও মহাসড়কে এবং তুরাগপাড়ের বেড়িবাঁধের রাস্তার উপরের দুপাশে বিভিন্ন দোকান, লেগুনা ষ্ট্যান্ড বসিয়েও চাঁদাবাজি করে আসছে প্রভাবশালী মহল। জানা যায়, বছরের পর বছর উল্লেখ্য এলাকার মানুষজনকেএকপ্রকার জিম্মি করেই অবৈধ কর্মকান্ড করে আসছে প্রভাবশালীরা। চাঁদাবাজ চক্রের সাথে কিছু রাজনৈতিক নেতা জড়িত রয়েছে বলেও অনেকেই জানান। রাজধানীর গাবতলী মাজার রোড হয়ে দারুসসালাম থানা রোড ও থানার সামনে দিয়ে ছোট সরু রাস্তা থেকে কিছু দূর গেলেই তুরাগ নদীর পাড় এলাকাটির নাম ছোটদিয়াবাড়ী । তুরাগ নদীর এ পাড়ের অংশ ছোট দিয়াবাড়ী, উপরের অংশ কাউন্দিয়া। এই পারের অংশের বাম দিকে গাবতলী আর ডান দিকে বেড়িবাঁধ রাস্তা। যা আশুলিয়া ও উত্তরার দিকে চলে গেছে। তুরাগের বাঁধঘেষা ছোট দিয়াবাড়ী মোড়টিকে পুঁজি করেই চক্রটি মূলত বিশাল চাঁদাবাজির ক্ষেত্র গড়ে তুলেছে। দেখা যায়, বাঁধ সংলগ্ন রাস্তাটি বেশ চওড়াই কিন্তু দুপাশে দখলের কারণে এটি ছোট হয়ে এসেছে। দুপাশের অবৈধভাবে গড়ে তোলা হয়েছে ছোট বড় শত শত দোকান। দারুসসালাম রোড থেকে বাঁধে উঠার সংযোগ সড়কের দুপাশের রাস্তা দখল করে বাঁশের আড়ৎ দেওয়া হয়েছে। এককালীন লাখ টাকা, পরে ১৫-২০ হাজার টাকার বিনিময়ে এটি ভাড়া দেওয়া হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দোকানিরা বলেন, তারা জায়গাটি ভাড়া নিয়েছেন হাজি জহিরের কাছ থেকে। তারা বলেন, এককালীন হিসেবে প্রায় লাখ খানেকের মতো টাকা দিয়েছেন আর প্রতি মাসে ১০হাজারের মতো টাকা ভাড়া দেন। হাজী জহির এর সাথে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি। নৌপরিবহন মন্ত্রী খালেদ মাহমুদ চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি। অনেকেই বলেন, একদল গেছে, আর একদল আসছে চাঁদাবাজিও বাড়ছে।
মানিকগঞ্জ জেলা ডিবি ও ঢাকা উত্তর ডিবি পুলিশের একাধিক সাব-ইন্সপেক্টর বলেন, এর আগে সড়কে গাড়িতে চাঁদাবাজির সময় কয়েকজনকে আটক করা হলেও আদালত থেকে তারা জামিনে এসে আবারও চাঁদাবাজি করছে। ঢাকা জেলার সাভার ট্রাফিক জোনের একজন অফিসার বলেন, আগের চেয়ে পরিবেশ অনেকটা ভালো, সড়কে চাঁদাবাজির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাভারে ফুটপাত দখলমুক্ত করেছেন সংশ্লিষ্ট প্রশাসন, অবৈধ গাড়ি রোডে বেশি চলাচল করায় যানজটের সৃষ্টি হয়, তবে মাঝে মধ্যে অভিযান চালিয়ে অটো রিক্সা, মাহিন্দ্রাসহ অবৈধ তিন চাকা গাড়ি আটক করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলেও তিনি জানান। এখন থানা পুলিশ এ বিষয়ে দেখবেন। আশুলিয়া থানা পুলিশ জানায় অভিযান চলমান রয়েছে। জানা গেছে, ঢাকা-আরিচা রোড ও ঢাকা টাঙ্গাইল রোডে ছিনতাই এবং বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। উক্ত ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ ও বিএনপি’র শীর্ষ নেতাদের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভুক্তভোগীসহ সচেতন মহল। সামনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন তাই বিএনপি’র শীর্ষ নেতারা উক্ত বিষয়টি আমলে না নিলে দলের বদনামসহ চরম ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে সচেতন মহলের দাবী। এদিকে চাঁদাবাজি নিয়ে চাঁপাবাজির সাথে এসবের সাথে জরিতদের গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন করছেন বিএনপির একটি পক্ষ। তাহলে আসল চাঁদাবাজদের কেন আটক করা হচ্ছে না তা জাতি জানতে চায়।