আজিজুর রহমান মুন্না, সিরাজগঞ্জঃ সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ৪ নং শিয়ালকোল ইউনিয়নের বড় হামকুড়িয়া গ্রামের শিক্ষিত যুবক মোঃ রাশেদুল ইসলাম একজন নতুন উদ্যোক্তা। তিনি কেঁচো সার (Vermicompost) উৎপাদন এবং বাজারজাত করে এখন স্বাবলম্বী। ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদন করে স্থানীয় ভাবে বিক্রি করে এবং অনলাইনে চাহিদা সাপেক্ষে সরবরাহ যাচ্ছেন।
আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি অফিস থেকে ১০০টি রিং এবং ১০ কেজি কেঁচো সার সরবরাহ করা হয়। এই ১০০টি রিং থেকে প্রতিমাসে ৫’হাজার কেজি কেঁচো সার উৎপাদিত হচ্ছে।
এছাড়া নিজস্ব উদ্যোগে চৌবাচ্চা এবং ৭০ টি পিট স্থাপন করে কেঁচো সার উৎপাদন করছে। যেখান থেকে প্রতিমাসে ২০০০০কেজি কেঁচো সার উৎপাদিত হচ্ছে। সর্বসাকুল্যে প্রতিমাসে ২৫ মেট্রিক টন কেঁচো সার উৎপাদন এবং বাজারজাত করছেন। যার আর্থিক মূল্যে ৩,৭৫,০০০ টাকা।
মোঃ রাশেদুল ইসলাম এর ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদন খামারের জন্য সহযোগিতা ও পরামর্শ দেন এবং খামারটি পরিদর্শন করেন –
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ আনোয়ার সাদাত তিনি বলেন – জৈব পদার্থ হলো মাটির প্রাণ ক্রমেই মাটির প্রাণ হ্রাস পাচ্ছে। তাই আমরা জৈব সার প্রয়োগের ওপরে জোর দিচ্ছি। কেঁচো সারে মাটিতে প্রয়োগে খুব ভালো সবজি ফসল ও ফলের বাগানে উৎপাদন ভালো হয় এটা প্রমাণিত। সবসময়ই চাষী ও বাগানীদের ভার্মি কম্পোস্ট সার প্রয়োগ করতে বলি। এসারের যত ব্যবহার বাড়বে ততই ক্ষতিকর রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমে আসবে। মাটির গুনাগুন বাড়ার ফলে ভাইরাস আক্রমণ থেকে রক্ষা করবে। আর ভার্মি কম্পোস্ট যে কেউ বাড়িতে করতে পারেন। ঘরে বসেই কেঁচো সার উৎপাদন করে স্বাবলম্বী হতে পারবেন। আমরা পরামর্শ ও সহযোগিতা করে থাকি।
শিক্ষত যুবক মোঃ রাশেদুল ইসলাম বলেন- আমার ভার্মিকম্পোস্ট সার উৎপাদন খামারে খুব বেশি সময় দিতে হয়না । আমি পারিবারিক কাজের পাশাপাশি এ সার উৎপাদন করে স্বাবলম্বী। প্রতিমাসে প্রায় ২০ বা ২৫ হাজার টাকার ও বেশি আয় হয় । রিং স্লাব বৃদ্ধি করলে আরো বেশি আয় হবে। আমাকে সদর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আনোয়ার সাদাত স্যার অতিরিক্ত কৃষি অফিসার শর্মিষ্ঠা সেনগুপ্তা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মোঃ সাব্বির আহমেদ সিফাত, মোছাঃ মিশু আকতার স্যারদের সহযোগিতা ও পরামর্শ আমার এ খামার ভালো উৎপাদন বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছি।
মোঃ রাশেদুল ইসলাম এর কেঁচো সার উৎপাদন খামার মাঝে মধ্যেই পরিদর্শন করেন – সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি অফিসের অতিরিক্ত কৃষি অফিসার শর্মিষ্ঠা সেনগুপ্তা, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মোঃ সাব্বির আহমেদ সিফাত, মোছাঃ মিশু আকতার, সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার খন্দকার শফিকুর রহমান, এসএপিপিও রেজাউল করিম, উচ্চমান সহকারী কাম-হিসাব রক্ষক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান সহ অন্যান্যরা।