অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর টি.এম. সোহেল, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ সুলতান মাহমুদ, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক মোঃ শরীফ-উস- সাঈদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন, মহান ২১ ফেব্রুয়ারী শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন কমিটির -২০২৪ এর সভাপতি প্রফেসর এ.এইচ.এম. জাহাঙ্গীর আলম।
অনুষ্ঠানে আরোও বক্তব্যে রাখেন এবং উপস্থিত ছিলেন, সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সুলতান মাহমুদ মুন্না, যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক মোঃ জীবন সেখ, সজীব সেখ সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন, কলেজের সহকারি অধ্যাপক নাসরিন জান্নাত নূপুর, শফিকুল ইসলাম তালুকদার, প্রভাষক শফিকুল ইসলাম তালুকদার।
সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের সাহিত্য সাংস্কৃতিক ক্লাবের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী থেকে পাঠ, কবিতা আবৃতি ও ভাষার গান পরিবেশন করেন।
অনুষ্ঠানে কলেজের ১৭ টি বিভাগ, মনিটরিং কমিটি সকল শিক্ষক, কর্মচারী, বিএনসিসি, গার্ল ইন রোভার, যুবরেডক্রিসেন্ট ইউনিটের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, “ভাষা শহিদরা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাদের অবদানের জন্যই বাংলা ভাষা রাষ্ট্র ভাষার মর্যাদা পেয়েছে এবং এরই ধারাবাহিকতায় বাংলা ভাষাকে কেন্দ্র করে ২১ শে ফেব্রেুয়ারি বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হচ্ছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণের মাধ্যমেই ১৯৫২ সালের রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন চুড়ান্ত রূপ পায়। ২১ ফেব্রুয়ারি আমাদের প্রেরণার উৎস, বাঙ্গালি জাতির আশা আকাঙ্খার প্রতীক এবং এই ধারাবাহিকতায় বাংলা ভাষা ভিত্তিক যে বাঙ্গালি জাতীয়তাবাদের সৃষ্টি হয়েছে তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে পাকিস্তান আমলের প্রতিটি আন্দোলনে এবং এর মাধ্যমেই স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটেছে। ৫২ এর ফেব্রুয়ারি ২১ এর ভাষা শহিদদের আত্মত্যাগের তাৎপর্য বর্তমান প্রজন্মকে বুকে ধারণ ও লালন করতে হবে। তবেই শহিদদের আত্মা শান্তি পাবে। বর্তমানে আমাদের দাবি হলো বাংলা ভাষাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা।”