
আবুল কাশেম রুমন,সিলেট: দুই যুগ পর সিলেটের গোলাপগঞ্জে লেবার সর্দার আব্দুল আজিজ ওরফে আজিজ হত্যা মামলায় একজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি দন্ডপ্রাপ্ত আসামীকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৩ মাসের বিনাশ্রমে কারাদন্ড দেওয়া হয়। যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত আসামীর নাম এমই মিয়া (৫৫)। তিনি জকিগঞ্জ থানার হাতিডহর গ্রামের জমির আলী ওরফে ভেড়াই মিয়ার ছেলে।
রায় ঘোষণার সময় দন্ড প্রাপ্ত আসামী এমই আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। সোমবার (৩০ জানুয়ারী) দুপুরে সিলেট বিভাগীয় বিশেষ জজ (জেলা ও দায়রা জজ) আদালতের বিচারক মো. শাহাদৎ হোসেন প্রামানিক এ রায় ঘোষণা করেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী (পেশকার) মো. আহম্মদ আলী রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, আব্দুল আজিজ ওরফে আজিজ কন্ট্রাক্টর আরিফ চৌধুরীর অধীনে  গোলাপগঞ্জ উপজেলার রানাপিং থেকে ফাজিলপুর রাস্তা পাকাকরণ কাজে লেবার সর্দার হিসেবে কাজ করছিলেন। ১৯৯৯ সালের ১৪ জুলাই দুপুর আড়াইটার দিকে আজিজ ও এমই ছাড়া অন্যান্য লেবাররা দুপুরে খাবার খেতে চলে যান। তখন এমই মিয়ার সাথে আজিজের রাস্তার কাজ করা নিয়ে কথাকাটাকাটি হয়। দু’জনের কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে আসামী এমই মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে তার হাতে থাকা কোদাল দিয়ে আজিজকে মাথার বাম পাশে আঘাত করেন। এসময় আজিজ মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে দুদিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
এ ঘটনায় নিহত আজিজের পিতা জকিগঞ্জ থানার হাতিডহর গ্রামের আব্দুর রহিম ওরফে নুনু মিয়া বাদি হয়ে একমাত্র লেবার এমই মিয়াকে আসামী কওে গোলাপগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার নং- ১২ (১৭-০৭-১৯৯৯), দায়রা মামলা নং-৩৮/২০০০)।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে একই বছরের ৫ ডিসেম্বও গোলাপগঞ্জ থানার এসআই মো. আব্দুল খালেক একমাত্র এমই মিয়াকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র নং- ১৪৮) দাখিল করেন এবং ২০০০ সালের ৫ জুলাই আদালত চার্জগঠন (অভিযোগ গঠন) করে এ মামলার বিচারকার্য শুরু করেন। দীর্ঘ শুনানী ও ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে সোমবার (৩০ জানুয়ারী) আদালত আসামী এমইকে ৩০২ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে তাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৩ মাসের বিনাশ্রমে কারাদন্ড প্রদান করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট  মোঃ ফখরুল ইসলাম ও আসামীপক্ষে অ্যাডভোকেট মোঃ আব্দুর রকিব মামলাটি পরিচালনা করেন।
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                        
আপনার মতামত লিখুন :