নাজমুল হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদক :
‘সুন্দর বাংলাদেশ গঠনে ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের যে স্বপ্ন ছিলো, সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কার্যক্রম ও আমাদের যুদ্ধ চলবে। এ স্বপ্ন বাস্তবায়নে ছাত্র-জনতা শরীরের শেষ রক্তবিন্দু দিতেও প্রস্তুত আছে বলে জানিয়েছেন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিশন লক্ষ্মীপুর জেলার প্রধান ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মাফরাজ হোসেন।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকালের দিকে লক্ষ্মীপুর অস্থায়ী সেনা ক্যাম্পে স্থানীয় সংবাদকর্মীদের ডেকে প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে এসব কথা জানান ছাত্র সমন্বয়ক মাফরাজ হোসেন।
লক্ষ্মীপুর জেলার প্রধান ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মাফরাজ হোসেন আরও বলেন, লক্ষ্মীপুর জেলার সকল সরকারি-বেসরকারি যতগুলো দাতব্য প্রতিষ্ঠান রয়েছে সবাইকে আমরা একই ছাতার নিচে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছি, আমরা ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিশন গঠন করেছি। কমিশনের কাজ হচ্ছে প্রশাসনিক কার্যক্রম যখন স্থবির হয়ে পড়ে তখন মানুষের অভিযোগও সমস্যাগুলো নিয়ে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে তাদের সহায়তা প্রদান করা।
এছাড়াও কমিশমের মাধ্যমে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকালীন সময়ে যারা গুম হত্যা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে সে তথ্য (ভিডিও চিত্র ও অপরাধীদের) সংগ্রহ করে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে দেয়া হচ্ছে, দ্রুত যেন তাদেরকে আইনের আওতায় আনা যায়।
এ পর্যন্ত ছাত্র আন্দোলনে লক্ষ্মীপুর জেলার স্থায়ী বাসিন্দা ১৬ জন নিহত হয়েছে। ৪ আগষ্ট লক্ষ্মীপুর জেলায় ৪জন ও ঢাকায় আন্দোলনে ১২ জন।
এছাড়াও আসন্ন দূর্ঘা পূজা উদযাপনে হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তায়ও কাজ করছে এ ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিশন।’
ব্রিফিংয়ে লক্ষ্মীপুর জেলার প্রধান ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মাফরাজ হোসেন চলমান বন্যা পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে যৌথ সমন্বয়ে ত্রাণ বিতরণ, মেডিকেল টিমের সেবা, খাল-নদীর বাঁধ অপসারণ এবং নগর পরিকল্পনা নিয়ে নিজেদের সম্মিলিত অবস্থান ও কার্যক্রমের কথা তুলে ধরেন।
এসময় ছাত্র লক্ষ্মীপুর জেলার প্রধান ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মাফরাজ হোসেনসহ সমন্বয়কদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, সারোয়ার হোসেন, এনামুল হক, বায়েজিদ হোসেন, শাহেদুর রহমান রাফি, আরমান হোসেন, আরিয়ান রা
য়হান প্রমুখ।