নাজমুল হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদক :
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন আমানী লক্ষ্মীপুর এলাকার আব্দুর রহিম বাবু বন্যায় ঘরবাড়ি ভেঙে যায়। যার কারণে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে পৌঁছে দিচ্ছে পূর্ণবাসনের জন্য ঢেউটিন ও নগদ অর্থ।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে পৌঁছে দিচ্ছে গৃহনির্মাণ করার জন্য নগদ অর্থ ও ঢেউটিন।
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পারবর্তীনগর ইউনিয়নের শাহাদাৎ হোসেন মানিক ও চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের আব্দুর রহিম বাবুকে নগদ অর্থ ও ঢেউটিন উপহারদেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে।
আকস্মিক বন্যায় লক্ষ্মীপুর জেলার সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ এলাকায় ভেঙে পড়েছে আব্দুর রহিম বাবুর ঘরবাড়ি। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বসতঘরসহ বাড়ির আঙিনা। সব হারিয়ে এখন নিঃস্ব তারা। বন্যা পরবর্তী ঘুরে দাঁড়ানোটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ।
ঠিক সেই সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর টিম সদস্যরা সরেজমিনে গিয়ে দেখে হাতে হাতে পৌঁছে দিচ্ছে নগদ অর্থ ও ঢেউটিন। যেখানে সাধারণ মানুষ পৌঁছাতে পাচ্ছেনা সেখানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী গিয়ে পৌঁছে দিচ্ছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা মাথায় টিন নিয়ে পৌঁছে দিচ্ছেন অসহায় ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি। ২ টি পরিবারকে ৪ বান করে টিন প্রদান করা হয়। এ সময় প্রত্যেক পরিবারকে ৪ হাজার টাকা করে নগদ অর্থ প্রদান করা হয়।
আব্দুর রহিম বাবু বলেন, আমি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ৪ বান টিন ও নগদ ৪ হাজার টাকা পেয়ে অত্যান্ত খুশি হয়েছি। আমি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানাই। আমার পরিবারের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অনেক কষ্ট করেছে।
স্থানীয় এলাকার আব্রাহাম বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ঢেউটিন ও নগদ অর্থ দিচ্ছে এই গুলো সঠিক লোকেরা পাচ্ছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এসে বাড়ি বাড়ি গিয়ে দেখে যোগ্য লোককে দিচ্ছে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের সেনাসদস্যরা শুরু থেকেই বন্যার্তদের সাহায্য ও উদ্ধার কাজে নিয়োজিত ছিলেন। বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা প্রাকৃতিকভাবে কমে গেলেও বন্যায় দুর্গত মানুষেরা এখনো তাদের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারেননি। এই উপজেলায় বন্যা দুর্গতদের ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে লক্ষ্মীপুরের মোতায়েনরত সেনা সদস্যরা।
এর পূর্বে লক্ষ্মীপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রত্যন্ত অঞ্চলে ত্রাণ বিতরণ, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষককে ও বন্যার্ত পরিবারকে ধানের চারা সহায়তা দেওয়ার পাশাপাশি ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প পরিচালনা করছে সেনাবাহিনী।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার জামাল, সার্জেন্ট আলমগীর এবং অন্যান্য সেনা সদস্যরা।