সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তার কবরের পাশে দাঁড়িয়ে ফাতেহা পাঠ করেন তারা। এসময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরুল্লাহ ও আব্দুর রহমানসহ দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পরে বনানী থানা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মীর মোশারফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যা মামলার বিচারের দাবিতে সোচ্চার ছিলেন তিনি, দলে তার অবদান অপরিসীম। সাজেদা চৌধুরী যে আদর্শ নিয়ে কাজ করেছেন, সেই আদর্শকে নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই।
সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ১৯৩৫ সালের ৮ মে জন্মগ্রহণ করেন। গতবছর ১১ সেপ্টেম্বর ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ৮৭ বছর বয়সে মারা যান বর্ষীয়ান এ রাজনীতিবিদ ও জাতীয় সংসদের উপনেতা।
সাজেদা চৌধুরীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ফরিদপুর-২ নির্বাচনী এলাকার নগরকান্দা ও সালতা উপজেলায় দোয়া মাহফিল এবং আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী এবং ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলো।
তার জন্ম ও রাজনৈতিক জীবন-
সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা, সালতা ও সদরপুর আংশিক) আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি ১৯৩৫ সালের ৮ মে মাগুরা জেলায় মামার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম সৈয়দ শাহ হামিদ উল্লাহ ও মা সৈয়দা আছিয়া খাতুন।
১৯৫৬ সাল থেকে সাজেদা চৌধুরী আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ১৯৬৯-১৯৭৫ সময়কালে তিনি মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন কলকাতা গোবরা নার্সিং ক্যাম্পের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ছিলেন তিনি। ১৯৭১ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। ১৯৭২-১৯৭৫ সময়কালে বাংলাদেশ নারী পুনর্বাসন বোর্ডের পরিচালক, ১৯৭২-১৯৭৬ সময়কালে বাংলাদেশ গার্ল গাইডসের ন্যাশনাল কমিশনার এবং বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পর ১৯৭৬ সালে আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৮৬ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৯২ সাল থেকে প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি জাতীয় সংসদের উপনেতা হন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি এ পদে আসীন ছিলেন।