হেলাল শেখঃ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধে কয়েক স্তরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সেই সাথে এ বছর ড্রোন ক্যামেরা দ্বারা পুরো এলাকাটি মনিটরিং করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অবস) মোঃ আবদুল্লাহিল কাফী।
রবিবার (২৪ মার্চ) বিকেল ৪টার দিকে ঢাকা জেলার সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধের প্রধান ফটকের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এ সময় ঢাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অবস) আবদুল্লাহিল কাফী বলেন, আপনারা জানেন যে, ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং ভুটানের যিনি রাজা উনারা নবীনগরে অবস্থিত এই জাতীয় স্মৃতিসৌধে সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসবেন। মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আমাদের ঢাকা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সর্বোত্তম আমাদের যে পরিকল্পনা সেটি গ্রহণ করা হয়েছে।
নিরাপত্তার বিষয়ে এ সময় তিনি আরো বলেন, আমাদের কয়েক স্তরে নিরাপত্তা থাকবে, সাদা পোশাকে পুলিশ থাকবে। আমাদের রাস্তায় রোড কেন্দ্রিক পুলিশ থাকবে। এছাড়াও বিভিন্ন কেন্দ্রিক আমাদের বড় একটি টিম কাজ করবে। এর বাহিরে এ বছর আমরা ড্রোন দ্বারা পুরো এলাকার পরিস্থিতি মনিটরিং করবো। আমাদের কন্ট্রোলরুম স্থাপন করা হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় সাড়ে তিন হাজার পুলিশ সদস্য এই মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে নিরাপত্তায় কাজ করবে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, আমাদের মহান স্বাধীনতা দিবস। এই দিবসকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সংগঠন বিভিন্ন ধরণের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে, বিভিন্ন রকম অনুষ্ঠান হতে পারে। যেহেতু এটি রমজান মাস চলছে, সবকিছু আমাদের ঢাকা জেলা পুলিশ এখানে একটি সক্রিয় ভূমিকা রাখবে। কেননা কোনো ধরণের বিশৃঙ্খলা বা নৈরাজ্য যেন কোথাও অনুষ্ঠিত না হয় সে লক্ষ্যে পুলিশ সচেষ্ট থাকবে।
এ সময় আবদুল্লাহিল কাফী আরও বলেন, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং ভুটানের যিনি রাজা উনারা আসবেন ভোর বেলা। তার আগে আমাদের স্মৃতিসৌধের যে মেইন গেট তার আশপাশে, ওই সময় সাধারণ দর্শনার্থীরা থাকতে পারবেন না৷ তবে উনারা চলে যাওয়ার পরে সর্বসাধারণের জন্য এটি উন্মুক্ত করে দেয়া হবে এবং আমাদের সড়কের যে ব্যবস্থা সেটি নরমাল থাকবে। কেননা এখানে সাধারণ যে নাগরিকবৃন্দ শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসবেন। তারা যেন দ্রুত আসতে পারেন এবং দ্রুত ফিরে যেতে পারেন সে লক্ষ্যে ট্রাফিক পুলিশ কাজ করবে।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এএফএম সায়েদ, ওসি ইন্টেলিজেন্ট মিজানুর রহমান, উপ-পরিদর্শক অমিতাভ চৌধুরী অমিত, উপ-পরিদর্শক বিপুল হোসেনসহ ঢাকা জেলা বিপুল সংখ্যক পুলিশ।
অন্যদিকে দিবসটি পালনে জন্য সবুজে ঘেরা ১০৮ হেক্টর জমির ওপর নির্মিত স্মৃতিসৌধ চত্বরটি গণপূর্তের কয়েক’শ কর্মীর নিরলস পরিশ্রমে এক নতুন রূপ পেয়েছে। আধুনিক যন্ত্রপাতির সাহায্যে ধুয়ে মুছে পরিস্কার করার পর রং তুলির নতুন সাঁজে সেজেছে জাতীয় স্মৃতিসৌধ চত্বরের প্রতিটি স্থাপনা।
স্মৃতিসৌধ চত্বরের চারপাশের শোভা পাচ্ছে নানা ধরনের রঙ্গিন ফুল।