1. admin@sokalerbangla.com : সকালের বাংলা :
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:০৫ অপরাহ্ন
শিরবাম:
রাণীশংকৈলে আমন ধানের বাম্পার ফলন ঘরে তুলতে ব্যাস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা লক্ষ্মীপুরে সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি কামাল গ্রেপ্তার সিরাজগঞ্জে মাশরুমের গুরুত্ব ও উৎপাদন কৌশল বিষয়ক কৃষক-কৃষাণী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত  কোডেকের উ‌দ্যোগে কৃষি উপকরণ বিতরণ রতনকান্দি ও বাগবাটি ইউপিতে সঠিকভাবে খাদ্যবান্ধব চাল বিতরণ জন্য পরিদর্শন করেন,জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি নাজমুল হাসান তালুকদার রানা  রাণীশংকৈলে রাস্তা সংস্কার ও প্রশস্তকরণের দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন  ২ নং গাজীপুর ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন কতৃক আলোচনা সভা। শ্রীপুরে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মিনারা বেগমের অপসারণের দাবিতে বিএনপি ও জনতার অবস্থান কর্মসূচি। কালীগঞ্জে ছেলের শোকে মায়ের মৃত্যু, বড়বোন হাসপাতালে রাজধানীর কদমতলীতে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধগতিতে বিপর্যস্ত মানুষ

হিলিতে ঘন কুয়াশা ও তীব্র শৈত প্রবাহে মরে যাচ্ছে ইরি—বোরো বীজতলা

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ২৫৮ Time View

গোলাম মোস্তাফিজার রহমান মিলন, হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
ঘন কুয়াশায় আবারও ক্ষতির মুখে পড়েছে হিলির কৃষকরা। আগাম বীজতলা তৈরী করলেও ঘন কুয়াশায় স্যাঁতেঁসতে ও বিবর্ণ আকার ধারন করে মরে যাচ্ছে বোরো বীজতলার চারা। সঠিক সময়ে বোরো রোপণ নিয়ে অনেকটাই দুশ্চিন্তা পড়েছেন এখানকার কৃষক। বোরো চারা নষ্ট যাতে না হয় সেজন্য কৃষকদের সবধরনের পরার্মশ দেওয়ায় কথা বলছেন উপজেলা কৃষি কর্মকতার্।
শষ্যের ভান্ডার হিসেবে পরিচিত উত্তর জনপদের দিনাজপুরের হিলিতে বোরো রোপণ করতে প্রস্তুত করা হয়েছে বোরো বীজতলা। আমনের ফলন ভালো হলেও আশানুরুপ দাম না পাওয়ায় ইরি—বোরো ফলন আর ভালো দামের আশায় আগে—ভাগেই বীজতলা তৈরীর কাজ সেরে ফেলেছেন এখানকার কৃষকরা। কিন্তু শুরু থেকেই ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ে ৫ থেকে ৭ ইি লম্বা ও তরতাজা চারা গুলো স্যাঁতেঁসতে ও বিবর্ণ আকার ধারন করে মরে যাচ্ছে। অনেকে চারা রক্ষার্থে পলিথিন দিয়ে ঢেঁকে দিয়ে রাখছেন বীজতলা। তবে কীটনাশক প্রয়োগ করেও মিলছে না কোন সুরাহা। সঠিক সময়ে বোরো রোপণ নিয়ে হাতাশায় এখানকার কৃষকরা। দিনের অধিকাংশ সময় সূর্যের তেমন দেখা মিলছে না আবার কখনো মিললেও সেই রোদের তীব্রতা তেমন নেই। তার সাথে হিমেল বাতাসে শীতের তীব্রতাকে আরও বাড়িয়ে তুলছে। তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে নষ্ট হচ্ছে ইরি বোরো ধানের বীজতলা। অধিকাংশ বীজতলার বীজগুলো হলুদ ও লালচে বর্ণের হয়ে বীজগুলো মরে যাচ্ছে।
উপজেলার বাওনা গ্রামের কৃষক মোফাজ্জল হোসেন বলেন,বীজতলায় সার ও কীটনাশক ব্যবহার করেও কোনো ফল পাচ্ছি না। এতে করে চলতি মৌসুমে বোরো আবাদ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছি।
জালালপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল মজিদ বলেন, আমি প্রায় ১০ বিঘা জমির জন্য বীজতলা প্রস্তত করেছি কিন্তু ঘন কুয়াশায় বীজতলা নষ্ট হয়েছে। আমি ইরি—বোরো ধান লাগানো নিয়ে খুব চিন্তায় আছি।
জাংগই গ্রামের কৃষক মহিদুল বলেন,প্রতিদিন সকালে বীজতলা থেকে কুয়াশা ফেলে দিচ্ছি। সেই সঙ্গে কীটনাশক স্প্রে করার পরও বীজতলার চারা মরে যাচ্ছে। এতে আমি চরম বিপাকে পড়েছি। একই সঙ্গে বাড়তি ব্যয় হচ্ছে। তীব্র শৈত্য প্রবাহের কারণে বীজতলায় লালচে ভাব এসেছিল।
হাকিমপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরজেনা বেগম জানান,উপজেলার ৩ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় এবার প্রায় ৩৮২ হেক্টর জমিতে ইরি—বোরো চাষের বীজতলা তৈরী করেছে কৃষকেরা। বোরো চারা নষ্ট যাতে না হয় এবং বোরো লক্ষমাত্রা অর্জন করতে কৃষকদের সবধরনের পরার্মশ দিয়ে যাচ্ছেন উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর।

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved , sokalerbangla.com
Theme Customized BY LatestNews