গোলাম মোস্তাফিজার রহমান মিলন, হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরের হিলিতে ৭ দিন পর সূর্যের দেখা মিলল,শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ঠান্ডা বাতাসের সাথে জেঁকে বসেছে শীত। গত ৬ দিন ধরে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে থাকায় সূর্যের তাপ তেমন ছড়ায়নি। ফলে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। অবশেষে আজ বুধবার দুপুর ২ টার দিকে সূর্যের দেখা মিলছে।
এদিকে প্রতিবছরে বিভিন্ন সেবামুলক সংগঠন ও এনজিও ছিন্নমূল অসহায় দরিদ্র মানুষদের মাঝে কম্বল বিতরণ করে থাকলেও এবারে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শীত বস্ত্র বিতরণ করা হলেও এখন পর্যন্ত কোন সেবামুলক সংগঠন ও এনজিওকে শীত বস্ত্র বিতরণ করতে দেখা যায়নি।
শীতের কারণে কর্মজীবি মানুষেরা চরম দূর্ভোগে পড়েছে। গত ৬ দিন থেকে সূর্যের দেখা নেই। বেশি দূর্ভোগে পড়েছেন অটো বাইক ও ভ্যান চালকেরা। প্রচন্ড শীতের কারণে তাদের অটোবাইক ও ভ্যান চালাতে কষ্ট হচ্ছে। তারা বলছেন, শীতের কারণে তাদের হাত—পা ঠান্ডা হয়ে আসছে। তারপরও মিলছে না কাঙ্খিত যাত্রী। কিন্তু জীবিকার তাগিদে তাদের কর্মে বের হতে হচ্ছে। এদিকে শীতের কারণে স্থানীয় বাজারে দোকানপাটও খুলছে দেরিতে। শীত নিবারনের জন্য ছিন্নমুল মানুষদের আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করতে দেখা গেছে। এই শীতে ও ঘন কুয়াশায় শিশু,বৃদ্ধরা শারিরীকভাবে নানা সমস্যায় ভুগছেন।
হিলি পৌর এলাকার মকবুল হোসেন জানান,কয়েকদিনের তুলুনায় আজকে একটু শীত কম তবে ঠান্ডা বাতাস বইছে। আজ দুপুরে সূর্যের দেখা গেছে। তবে তাপ কম।
ভ্যান চালক আনিছুর রহমান জানান, ঘন কুয়াশা ও শীতে রাস্তায় ভ্যান নিয়ে বের হলেও তেমন লোকজন হচ্ছেনা। ফলে পরিবার চালনার মত আয় করতে পারছেনা।একদিন ভ্যান নিয়ে না বের না হলে বাজার হয়না।দিন আনা দিন খাওয়া মানুষ আমরা। তাই আমাদের বেশি কষ্ট। কাজ কাম খুব কম। আজ দুপুরে একটু রোদ বের হয়েছে। মনে হচ্ছে এবারে একটু শান্তি পাবো।
আর বেশী কষ্টে আছেন সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের। তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারনে কাজে যেতে পারছেন না তারা। কাজ না করতে পারলে খাবার জুটে না তাদের। এতে করে সংসার চালানোর খরচ নিয়ে চিন্তিত সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষেরা।