বিশেষ প্রতিনিধিঃ ঢাকার প্রধান শিল্পা ল আশুলিয়ার বাইপাইলে অবস্থিত হ্যাপী জেনারেল হসপিটালের চেয়ারম্যান ডাঃ রাশিদা বিনতে রিয়াজ হ্যাপি’র পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২১ শে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে এই মাসে সকল ভাষা শহীদদের স্মরণে গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।
ডাঃ রাশিদা বিনতে রিয়াজ (হ্যাপি) বলেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে সকল ভাষা শহীদদের স্মরণে গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি, সেই সাথে সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি, আল্লাহ যেন সবাইকে বেহেস্ত নসিব করেন, আমিন। আমি একজন মানুষ তাই মানুষের জন্ম—মৃত্যু নিয়ে তামাশা করিনা, মানুষের কল্যাণে কাজ করতে আজ আমি একজন নারী উদ্যোক্তা, গল্প নয় বাস্তব—পৃথিবীতে মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য ভালো কিছু করার মানেই হলো মানবতা। মানুষের আত্মা সৃষ্টি করে নিতে হয়, তবে মানুষিক আত্মা কারো তৈরি পাওয়া যায় না। আমরা মানুষ হিসেবে মানুষকে ভালোবাসি এটাই সাভাবিক, আমি মানুষের স্বাস্থ্য সেবা করার জন্য হসপিটাল করেছি, আমি একজন ভালো সেবক হওয়ার চেষ্টা করছিমাত্র। তিনি আরও বলেন, মেহনতী নারী শ্রমিক গরীব মানুষের স্বাস্থ্য সেবার গল্প বলছি আজ— এর আগে ঢাকার আশুলিয়ায় এক গরীব নারী পোশাক শ্রমিককে সহযোগিতা করতে কেউ এগিয়ে আসেননি কিন্তু আশুলিয়া থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ রিজাউল হক দিপু সাহেব আমাকে মোবাইল ফোনে কল করে বলেছিলেন, একজন নারীকে সহযোগিতা করার জন্য, তখন ওসি সাহেবের নিজের গাড়িতে আশুলিয়া থানার সাবেক উপ—পরিদর্শক (এসআই) অহিদ মিয়াকে দিয়ে আমার প্রতিষ্ঠান “হ্যাপি জেনারেল হসপিটালে পাঠিয়ে দেন”। এরপর আমার মালিকানাধীন “হ্যাপি জেনারেল হসপিটালে ওই নারীকে আমার ব্যক্তিগত খরচে সিজার করি। সেই প্রসূতি নারীর নাম শ্রীমতি লিপি রানী (২৫), তার গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধার গোবিন্ধগঞ্জে। তিনি ঢাকার আশুলিয়া থানাধীন পলাশবাড়ি লাল মাটি এলাকায় মিজানের ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।ওইদিন ছিলো শুক্রবার, বিকেলে ওই নারী থানার গেটের সামনে এসে কান্না করছিলেন, তার কান্নার কারণ জানতে চাইলে জবাবে তিনি বলেন,আজ সিজারের ডেট কিন্তু তার কাছে কোনো টাকা নাই দেখে কোন ক্লিনিক বা হাসপাতালের ডাক্তার তাকে সিজার করেননি, এই কথা শোনে আমার মালিকানাধীন হ্যাপি জেনারেল হসপিটালে আমার নিজস্ব অর্থ খরচ করে তার সিজার করি এবং হসপিটালে কয়েকদিন ভর্তি রেখে সকল চিকিৎসার ব্যবস্থা করি। শ্রীমতি লিপি রানীর নবজাতক কন্যা শিশুটির নাম রাখা হয়েছে শ্রীমতি দীপিকা রানী। তিনি আরো বলেন, আমি ডাঃ হ্যাপি এ রকম অনেক রোগীকে সাহায্য সহযোগিতা করে থাকি, এতে “হ্যাপি জেনারেল হসপিতালের সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা পেয়েছি। তাই সবার প্রতি দোয়া ও শুভ কামনা রইলো।
ডাঃ হ্যাপি আরো বলেন, আমার বাবা “বীর মুক্তিযোদ্ধা রিয়াজ উদ্দিন সাহেবকে সবাই সম্মান ও শ্রদ্ধা করেন, তিনি সিরাজগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। আমি সেই বীর মুক্তিযোদ্ধা বাবার কন্যা সন্তান। তিনি আরো বলেন, নানা বাধা বিপত্তি পেরিয়ে আজ আমি ডাঃ হ্যাপি হয়েছি, আমি বিগত ২০১১ইং সাল থেকে আশুলিয়া এলাকায় পোশাক শ্রমিকসহ সকল মেহনতী মানুষের স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে আসছি। আমি দীর্ঘদিন বিজিএমই হেলথ কমপ্লেক্স জামগড়ায় ডাক্তার হিসেবে কর্মরত ছিলাম, সেই সুবাদে গার্মেন্টস কর্মী—পোশাক শ্রমিকদেন সাথে আমার সক্ষতা গড়ে উঠে। বাস্তবে আমি মেহনতী মানুষের খুব কাছে থেকে জীবন—জীবিকা উপলব্ধি করতে পারি। এখান থেকেই আমার ইচ্ছা জাগে আমি একটি হসপিটাল করে এই নিম্ন আয়ের মেহনতী মানুষদেরকে স্বাস্থ্য সেবা করবো। যে হেল্প সেন্টার আছে সেখানে আমি মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলাম। সেই ইচ্ছা থেকেই আমার হসপিটালটি শুরু করি। এই “হ্যাপি জেনারেল হসপিটাল প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে স্বল্প খরচে মেহনতী মানুষের চিকিৎসার জন্য চারিদিকে আমার হসপিটালটি সুনাম ছড়িয়ে পড়ে। তিনি আরো বলেন, আমরা বিভিন্ন জাতীয় দিবসগুলোতে আমাদের হসপিটালের পক্ষ থেকে ফ্রি ক্যাম্পেইন করে থাকি। পোশাক শ্রমিকসহ যেসকল নিম্ন আয়ের মানুষগুলো আছেন, আমি তাদের জন্য সবসময় সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকি। তাই এখানে প্রচুর রোগী আসতে থাকে, এই এখনো ধারাবাহিকতা অব্যাহত আছে।
ডাঃ রাশিদা বিনতে রিয়াজ (হ্যাপি) আরো বলেন, আমাদের বাংলাদেশের ৫ম বারের মতো ২০২৪ সালেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হলেন, তিনি মমতাময়ী মা বলেছেন যে, দেশে নারী উদ্যোক্তা সৃষ্টি করতে হবে। সেই হিসেবে আমি একজন নারী উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করছি। আমার উক্ত প্রতিষ্ঠানে কর্মকর্তা—কর্মচারীসহ ৬২ জন ব্যক্তি কাজ করেন। মানুষ কাজ করলে ভুল হতেই পারে কিন্তু যারা কাজ করেন না—তাদের ভুল হয় না। আমি সবার সহযোগিতা চাই, সবার প্রতি দোয়া ও শুভ কামনা রইলো। আবারও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে সকল ভাষা শহীদদের স্মরণে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন।