একটু সময় লাগলেও ইসরায়েল-আমেরিকার পতন অনিবার্য: খামেনি

সারাদেশ

আমেরিকার অবক্ষয়িত সভ্যতা ও ইহুদিবাদী ইসরায়েলের পতন অনিবার্য বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। ইরানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক হাজার ছাত্রকে নিয়ে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন।

আগত ছাত্রদের উদ্দেশে দেয়া বক্তৃতায় গত বুধবার খামেনি বলেন, আল্লাহতায়ালা তার দ্বীন রক্ষায় সহায়তাকারীদের বিজয়ের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তা অবশ্যই বাস্তবায়িত হবে। এর বিপরীতে কিছুটা সময় লাগলেও পাশ্চাত্যের কথিত সভ্যতার অবক্ষয় এবং পতনও অবশ্যম্ভাবী।

এ সময় সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা রমজান মাসকে যথাযথভাবে কাজে লাগানোর জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।

এদিকে ইরানের বিপ্লবী গার্ডস বাহিনীর জ্যেষ্ঠ কমান্ডার গুলাম আলী রশিদ বলেছেন, ইরানীদের প্রতিরোধ স্পৃহার কারণেই যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা ইরানে হামলা করার দুঃসাহস দেখায়নি।

বুধবার তিনি বলেন, যদি অপরাধী আমেরিকা ও তার পশ্চিমা এবং আঞ্চলিক মিত্ররা আমাদের দেশের বিরুদ্ধে মুখোমুখি হামলা চালানোর সাহস না করে থাকে, তবে তা আমাদের প্রতিরোধ স্পৃহা এবং ইরানি নাগরিক ও তরুণদের আত্মোৎসর্গের কারণেই।

ইরানকে ঠেকাতে মধ্যপ্রাচ্যে ১০ হাজার সেনা মোতায়েন করছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইরানের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে মধ্যপ্রাচ্যে আরও কয়েক হাজার সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার মার্কিন সরকারের কয়েক কর্মকর্তা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোকে বিষয়টি অবহিত করেছেন। খবর আনাদোলু ও আল আরাবিয়্যাহর।

নির্ভরযোগ্য ৩টি সূত্রের বরাতে সিএনএন জানায়, মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় (পেন্টাগন) বৃহস্পতিবারের মধ্যেই মধ্যপ্রাচ্যে কয়েক হাজার সেনা মোতায়েন করবে। ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির কারণে ইরানকে একঘরে করতেই নতুন এ পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে বলে জানানো হয়।

পেন্টাগনের দুই শীর্ষ কর্মকর্তার বরাতে মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী গণমাধ্যম আল আরাবিয়্যাহ জানায়, নতুন করে সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনাটি পেন্টাগনের সিনিয়র কর্মকর্তারা মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের কাছে উপস্থাপন করেছেন। বৃহস্পতিবারের মধ্যে এ বিষয়ে হোয়াইট হাউস বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে যে, পুরো ১০ হাজার সেনা পাঠানো হবে নাকি একটা অংশ পাঠানো হবে। সে ক্ষেত্রে ৫ হাজার সেনাও পাঠানো হতে পারে।

সিএনএন জানায়, প্রাথমিকভাবে ওয়াশিংটন কয়েক হাজার সৈন্য পাঠাতে পারে যার সংখ্যা নির্দিষ্ট নয়, তার পরে পরিস্থিতি বিবেচনা করে সামরিক বাহিনীর উপস্থিতি জোরদার করতে পারে।

এর আগে মার্কিন কর্মকর্তাদের প্রকাশিত একটি সুপারিশে বলা হয়েছে, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ঠেকাতে মধ্যপ্রাচ্যে এক লাখ মার্কিন সেনা মোতায়েন প্রয়োজন এবং ইরানের বিমানবাহিনীর গণবিধ্বসী ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ধ্বংস করা উচিত।

সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত সপ্তাহে ওয়াশিংটন মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধবিমান মোতায়েন এবং কৌশলগত বোমা হামলার ঘোষণা দিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *