পরিবহনে চাঁদাবাজি হলে আমাকে জানান, ব্যবস্থা নেব: ওবায়দুল কাদের

জাতীয় সারাদেশ

ঈদযাত্রায় সড়ক-মহাসড়কে চলমান গণপরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধে কড়া ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।তিনি বলেছেন, পরিবহনে যেন চাঁদাবাজি না হয় সেজন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দিয়েছি। চাঁদাবাজি হলে আমাদের র্যাব, পুলিশ, মোবাইল কোর্ট, ভিজিলেন্স টিমকে জানান যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রয়োজনে আমাকে জানান ব্যবস্থা নেব।

শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর গাবতলী আন্ত:জেলা বাস টার্মিনাল মোবাইল কোর্টে ভিজিলেন্স টিমের কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে তিনি এসব বলেন তিনি।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, কোথাও যদি চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটে তাহলে বিআরটিএ, র্যাব পুলিশ ও ভিজিলেন্স টিমকে জানাবেন। অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বাসের এসি টিকিটের দাম বেশি নেয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সেতুমন্ত্রী বলেন, এ ব্যাপারে অবশ্যই বিআরটিএকে ব্যবস্থা নেয়া উচিত ছিল। এখানে মালিক ও শ্রমিক নেতারা আছেন। তাদের বিশেষভাবে অনুরোধ করব, এসি টিকিটের ভাড়া যেন যৌক্তিক থাকে। বিবেকের অনুশাসন যেন মানা হয়। বিআরটিসি কর্তৃপক্ষকেও আমি একই কথা বলেছি।

বাস কাউন্টারে মালিকদের ভাড়ার চার্ট থাকলেও বিআরটিএ-এর নির্ধারিত ভাড়ার চার্ট নেই-এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বিআরটিএ চেয়ারম্যানকে উদ্দেশ্য করে বলেন, সাংবাদিকরা যখন উত্থাপন করেছে তা মিথ্যা বলার সুযোগ নেই। এ ব্যাপারে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণে তাৎক্ষণিক নির্দেশনা দেন তিনি।
এবারের ঈদযাত্রার সবচেয়ে স্বস্তিদায়ক উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এবারের ঈদযাত্রা হবে আগের তুলনায় স্বস্তিদায়ক। সড়কে কোথাও যানজট নেই। আশঙ্কাও নেই। তবে আজ থেকে গাড়ির চাপ বাড়বে।

এবার সড়কে পরিস্থিতিও ভালো দাবি করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে এত ভালো রাস্তা কখন ছিল না। তাই এবার সড়কে যানজটের সম্ভাবনা নেই। এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।প্রতিটি এলাকায় পর্যাপ্ত র্যাব,পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত রয়েছে। আগেই সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলাপ করে সড়কে যাতে চাঁদাবাজি না হয়, সেই ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, মালিকপক্ষ, শ্রমিকপক্ষ, বিআরটিএ ভিজিলেন্স টিম, মোবাইল কোর্ট কাজ করে যাচ্ছে যেন ঈদে মানুষ ভালোভাবে বাড়ি যেতে পারে। সড়কে যাতে যানজট না হয় সেজন্য গাড়ি চালকদের দায়িত্ব বেশি। চালকরা যাতে অধৈর্য না হন, রমজানের সংযম যেন সড়কে গাড়ি চালনার ক্ষেত্রে ধরে রাখেন সেজন্য মালিকপক্ষের উচিত চালকদের কাউন্সেলিং করা।

এ সময় বিআরটিএ চেয়ারম্যান, ট্রাফিক পশ্চিম বিভাগের ডিসি, পরিবহন মালিক ও শ্রমিকপক্ষের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *