বলাৎকারের জন্য মাদ্রাসাছাত্রকে বাসায় নিয়ে হত্যা, হাফেজ শিক্ষক পলাতক

ক্রাইম রিপোর্ট সারাদেশ

যশোরের শার্শায় নিখোঁজ হওয়ার পর শাহ পরাণ (১২) নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার বিকেলে উপজেলার গোগা গাজিপাড়া গ্রাম থেকে মাদ্রাসা শিক্ষক হাফেজ হাফিজুর রহমানের ঘরের খাটের নিচ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

মৃত শাহ পরান বেনাপোল পোর্ট থানার উত্তর কাগজপুকুর গ্রামের শাহাজান আলীর ছেলে ও কাগজপুকুর হাফিজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদের ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেন নাভারণ সার্কেল এএসপি জুয়েল আহমেদ ও শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ এম মসিউর রহমান।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হাফেজ হাফিজুর রহমান কাগজপুকুর হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক। প্রায়ই তিনি এভাবে মাদ্রাসার বাচ্চাদের ভুলিয়ে ভালিয়ে নিয়ে আসতেন বাড়িতে। কয়েকদিন তাদের রেখে আবার নিয়ে যেতেন। তার বিরুদ্ধে শিশুদেরকে বলাৎকারের অভিযোগ ছিল দীর্ঘদিন ধরেই। শাহ পরানকেও এভাবে হাফেজ হাফিজুর কয়েকদিন আগে নিজ বাড়িতে ফুসলিয়ে নিয়ে আসেন। ৩/৪ দিন পর হাফিজুর রহমান আবার তার কর্মস্থলে ফিরে যান।

এ বিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ জানান, আমাকে মহিলা মেম্বার ফোন দিয়ে বলেন মাদ্রাসা শিক্ষক হাফেজ হাফিজুরের বাড়ি থেকে প্রচণ্ড দুর্গন্ধ আসছে এবং তার খাটের নিচে একটি মৃত ব্যক্তির হাত দেখা যাচ্ছে। আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ দেখতে পেয়ে শার্শা থানায় খবর দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে।

এ ব্যাপারে শার্শা থানার ওসি এম মসিউর রহমান বলেন, আমরা চেয়ারম্যানের ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে আসি। এখন পর্যন্ত যা জানতে পেরেছি, এই কিশোরের নাম শাহ পরান। বাড়ি বেনাপোলের কাগজপুকুর গ্রামে। তার পরিবারের অভিযোগ শাহ পরান হাফিজুরের সাথে কয়েকদিন আগে বাড়ি থেকে বের হয়। তার পর থেকে তাকে আর পাওয়া যাচ্ছে না।

তিনি আরো বলেন, এই ঘটনাটি কীভাবে ঘটছে তা নিয়ে তদন্ত চলছে। সঠিক তদন্ত ছাড়া এখন কিছুই বলা যাবে না। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শষ্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *