টাঙ্গাইল থেকে মিজানুর রহমান : পাকুল্যা থেকে নাটিয়াপাড়া, করটিয়া হাটবাইপাস, বাঐখোলা, রাবনা বাইপাস, এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড হয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত এ যানজট বিস্তৃত হয়। এ সময় বিভিন্ন স্থানে গাড়ি এলোপাতাড়িভাবে মহাসড়কে ঢুকে পড়ে। সকাল সোয়া ৯টার পর যানবাহন চলাচল শুরু হলেও অতিরিক্ত গাড়ির চাপের কারণে তা ধীরগতিতে চলছে।
এ ব্যপারে মধুপুর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) কামরান হোসেন বলেন, সিরাজগঞ্জের অংশে যানজটের কারণে সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সোয়া ৯টা পর্যন্ত টাঙ্গাইল অংশে বঙ্গবন্ধু সেতুর টোলপ্লাজা বন্ধ ছিল। ফলে বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে টাঙ্গাইলের পাকুল্যা পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। সোয়া ৯টার দিকে টোলপ্লাজা খুলে দেওয়ার পর যানবাহন ধীরগতিতে চলতে শুরু করে।

রংপুরগামী এস আর পরিবহনের চালক মজনু মিয়া বলেন, মহাসড়কে গাড়ির প্রচুর চাপ। সকালে ঢাকা থেকে ভালোভাবেই ছেড়ে এসেছি। পাকুল্যা এসে আটক পড়েছি। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে যানজটে আটক পড়েছি। কখন ছাড়ে আল্লাই জানেন!
বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার ওসি মোশারফ হোসেন জানান, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড়ে সিরাজগঞ্জের দিকে যানজটের সৃষ্টি হয়। ফলে সিরাজগঞ্জ থেকে কোনো গাড়ি টোলপ্লাজা পার হয়নি।আর সিরাজগঞ্জে যানজটের কারণে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্বপ্রান্তের কোনো গাড়ি টোলপ্লাজা অতিক্রম করেনি। ফলে টাঙ্গাইল অংশে দীর্ঘ যানজট লেগে যায়। প্রায় দুই ঘণ্টা বন্ধ থাকা টোলপ্লাজা সোয়া ৯টায় খুলে দেওয়ার পর ধীরগতিতে যানবাহন চলাচল শুরু হয়।
