টিডিএন বাংলা ডেস্ক: বিদেশ সফরে বহুবার মসজিদে গিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। মালদ্বীপ সফরে গিয়ে সেখানকার ঐতিহ্যবাহী জুম্মা মসজিদের পূর্ণনির্মানে সহায়তা কথা শোনালেন মোদি। মালে হুকুরু মিসকি মসজিদটিকে ২০০৮-এ ইউনেস্কো হেরিটেজ তালিকাভুক্ত করা হয়। এই মসজিদ গঠনশৈলী অসাধারণ।মসজিদ জুড়ে রয়েছে প্রবালের কাজ। শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে রুল অফ নিশান ইজুদিন সম্মান প্রদান করেন দ্বীপরাষ্টের প্রিসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলিহ। যে সম্মান নরেন্দ্র মোদিকে শনিবার প্রদান করা হয় সেটি সেদেশের সর্বোচ্চ সম্মান। কেবল মসজিদ নয় , মালদ্বীপের প্রাচীন স্থাপত্যগুলির পূর্ননির্মানেইও ভারত সাহায্য করবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মালদ্বীপের পাল্লামেন্টের পিপিলশ মজলিসে ভাষণ দেন মোদি।
১৬৫৮ তে প্রথম ইব্রাহিম ইস্কান্দারের জামানায় এই মসজিদ প্রথম তৈরি করা হয়।১১৫৩ তে মালদ্বীপের প্রথম মুসলিম সুলতান মোহাম্মদ বিন আব্দুল্লাহ এখানে প্রথম মসজিদটি বানান। পরে সেখানে বর্তমান জুম্মা মুসজিদটি তৈরি হয়। যার অসাধারণ প্রবালের কাজ বিশ্ব পর্যাটকদের মুগ্ধ করেছে। সেটিই পূর্ননির্মাণের সহায়তা দেওয়ার কথা বলেছেন মোদি। মালদ্বীপের প্রধানমন্ত্রী ইব্রাহিম মুহাম্মদ সোলিহ ভারতকে তাঁদের স্থাপত্য পূনগঠনে সাহায্য করার জন্য ধন্যবাদ জানান। দুই দেশের যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে মালদ্বীপের কথা তুলে ধরেন সোলিহ।
দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে প্রথম বিদেশ সফর হিসাবে মালদ্বীপকে বেঁচে নেন নমো। সেখানে মোদি বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদ এখন আর কোনও দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। তা মানব সভ্যতার পক্ষে বিপজনক হয়ে দাঁড়িয়েছে। সবথেকে মারাত্মক হল রাষ্ট্র পরিচালিত সন্ত্রাসবাদ। তাই এখন সময় এসেছে একযোগে লড়াই করে সন্ত্রাসবাদকে নির্মূল করার।

মালদ্বীপের পাল্লামেন্টে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, মালদ্বীপের জুম্মা মসজিদ (হুকুরু মিসিকি) পুননির্মানে ভারত সবরকম সহায়তা করবে। তিনি আরো বলেন , বিশ্বের কোথাও এমন মসজিদ নেই যা প্রবাল দিয়ে তৈরি। এটি একটি ঐতিহাসিক মসজিদ।
