সকালের বাংলা: আপনার সাহায্যের হাত বাড়ালে হয়ত পৃথিবীর আলো দেখতে পারবে মাত্র নয় বছর বয়সী তাওহিদা আক্তার।ছোট্ট তাওহীদা এখন দিনের বেশির ভাগ সময় চুপচাপ অপলক দৃষ্টিতে সবার দিকে চেয়ে থাকে। তার শরীরে বাসা বেঁধেছে ক্যান্সার।

তাওহিদা সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার আলী হোসেন ও মাশকুরা বেগমের মেয়ে। মেয়ের চিকিৎসা করাতে ইতোমধ্যে সব কিছু শেষ করেছে তার পরিবার। শেষ পর্যন্ত বসতভিটাও বিক্রি করেছেন তারা।

তাওহিদার বাবা আলী হোসেন জানান, প্রতি সপ্তাহেই ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে তাকে। প্রতি মাসেই তার শরীরে রক্ত বদলাতে হচ্ছে। এমন যন্ত্রণা নিয়ে প্রায় তিন বছর ধরে জীবন কাটছে তার। আর কতদিন এভাবে থাকতে হবে, তা জানে না কেউ। তবে সবার সহযোগিতা পেলে সুস্থ হয়ে উঠতে পারে তাওহিদা।
সিলেটের জালালাবাদ রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ক্যান্সার ও টিউমার বিশেষজ্ঞ ডা. মো. ইশতিয়াক আলম জানিয়েছেন, শিশুটির বোনমেরো ট্রান্সপ্লান্ট না করলে বাঁচানো অসম্ভব।
তাওহিদার মা মাশকুরা বেগম বলেন, সরকারিভাবে বোনমেরো ট্রান্সফার করতে হলে ৮ লাখ টাকার প্রয়োজন। এতো টাকা আমাদের নেই। সে অনেক আদরের মেয়ে আমাদের। সে যখন পৃথিবীতে এসেছিল সবাই খুব আনন্দে ছিল। কিন্তু এখন তার জন্য সবাই চোখে পানি ফেলছে।

সাহাযের জন্য দেশবাসীর প্রতি অনুরুদ করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থা ৷
তাওহিদাকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তশালী এবং হৃদয়বান ব্যক্তিদের সহযোগিতা প্রয়োজন। তার বিষয়ে খোঁজ নিতে পারবেন ০১৭১০ ৪৪৫ ৮৯৮ নম্বরে।
