সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ট্রেন ধাক্কায় বর-কনেবাহী একটি মাইক্রোবাসের এগার যাত্রী নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে বর-কনেও রয়েছে। এ ঘটনায় আহত হন ওই মাইক্রোবাসের আরো ৫ যাত্রী।
সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলার সলপে ট্রেন ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে বর কনেসহ ১১ জন নিহত হয়েছে। নিহতরা হলেন- বর কালিয়া কান্দাপাড়া গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে রাজন শেখ, কনে উল্লাপাড়া উপজেলার মৃত গফুর শেখের মেয়ে সুমাইয়া খাতুন, মাইক্রোবাসের চালক স্বাধীন, বর-কনের সাথী শরীফ, মুসা, টুটুল, খোকন, বায়জিদ, মমতাজ, আহাদ আলী ও ভাষা। এদের মধ্যে মমতাজ শিশুকন্যা। আহাদের পিতার নাম সুরজ আলী ও ভাষার পিতার নাম মহিরউদ্দিন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গতকাল সদর উপজেলার কালিয়া হরিপুর গ্রাম থেকে একটি মাইক্রোবাস বরযাত্রী নিয়ে উল্লাপাড়ার চর ঘাটিনা গ্রামে গিয়েছিল। বিয়ে শেষ করে কনে নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে মাইক্রো বাসটি উল্লাপাড়া-ঢাকা রেলপথের সলপ ক্রসিং অতিক্রম করার সময় রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনের সাথে মাইক্রোবাসের সাথে সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসটি ট্রেনের ইঞ্জিনের সাথে আটকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে গিয়ে পড়ে। এ সময় ট্রেনের ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। এই ঘটনায় ঘটনাস্থলেই বর কনেসহ মাইক্রোবাসের ১১ যাত্রী নিহত হয়। দমকল বাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতদের উদ্ধার করে।
উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেওয়ান আহমেদ জানান, নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনার পর ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে চলে যায়।
