আজাব গজ’র গুমট গরমে-ঝরলো স্বস্তির বৃষ্টি,কৃষকের মনে জাগল আশার আলো॥

গ্রাম বাংলা






সরদার কালাম কলারোয়া সাতক্ষীরাঃ শ্রাবণের সপ্তাহ শেষে গুমট গরমের মাঝে-রাতের শেষ ভাগ-ভোর সকাল থেকে অঝোরে ঝরল রিমঝিম বৃষ্টি।বৃষ্টিহীন অবস্থায় প্রচন্ড তাপাদহের
আষাড় পেরিয়ে শ্রাবণেও-রোদ্রের তাপাদহে হাফিয়ে উঠা মানুষ অনাবৃষ্টির আকাশের দিকে বৃষ্টির জন্য চাহুনি ভ‌ঙ্গিমায় তাকিয়ে ছিলেন।দেশের অনেক যায়গায় বৃষ্টি কামনায় ইস্তেখরা নফল নামাজও আদায় করেছেন কৃষকসহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষ। শুক্রবার ২৬ শে জুলাই ভোর সকালের দিকে নবঘনে শ্রাবণ গগনে ঘনমেঘ ঘুরে ফিরে ঝরালো স্বস্তির বৃষ্টি।উত্তরাঞ্চলে বন্যায় মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও-দক্ষিণাঞ্চলে দেখা যায় খরা,অবশ্য এর আগে হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকলেও দক্ষিণাঞ্চলে প্রকৃতি’র মাঝে বৃষ্টি হয়নি তেমনটা।
সৃষ্টিকর্তার রহমতে শুক্রবার দিনের শুরুতে ভোর সকালের দিকে প্রকৃতির তাপাদহের মাঝে ওই এক পসরার রিমঝিম বৃষ্টি যেন বুলিয়ে দিল শীতল পরশ সকল মানুষের মাঝে।


যদিও এ মৌসুমে প্রকৃতির মাঝে বৃষ্টির ভাগ অনেক কম দেখা গেছে। 
বৃষ্টির অভাবে কৃষকদের আমন বীজতলা তৈরি করতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে।কৃষক অনেকেই পিছিয়ে আছে জমিতে আমন চাষাবাদের সকল কার্যক্রম থেকে।প্রকৃতি’র মাঝে আজাবস্বরুপ এ অনাবৃষ্টি-খরা-বৃষ্টির অভাবে খা-খা করছিল কৃষকের মাঠ,খাল-বিল শুকনো প্রায় হয়ে ।দেশের কোথাও বন্যা কোথাও অনাবৃষ্টি খরার তাপাদহ নিতান্তই ভাবিয়ে তুলিছে মানুষকে।
ভরা মৌসুমেও ব্যাঙের সেই ঘ্যনর ঘ্যনর ডাক কানে আসেনি,প্রকৃতির মাঝে বৃষ্টিহীন অবস্থায় তাপাদহ দেখে আজাব গজব বলে মন্তব্য করেন অনেকেই।যেটা মানুষেরই কৃতকর্মের ফলকেও দায়ী-মন্তব্য করছেন সচেতনেরা।আর সেই হতাশা আর দুশ্চিন্তার মাঝে শুক্রবার ভোর সকালে এক পশলায় বয়ে যাওয়া রিমঝিম বৃষ্টি জনজীবনে যেমন এনে দিয়েছে স্বস্তি,তেমনি কৃষকের মনে এনে দিয়েছে প্রশান্তি।কৃষকেরা কিছুটা হলেও চাষাবাদে আশার আলো দেখতে পেয়েছেন।আর এভাবে কিছুদিন বৃষ্টি দেখা দিলে অনেকের আমন চাষাবাদের কাজ এগিয়ে নিতে পারবেন বলে মনে করছেন কৃষকেরা।এ বৃষ্টি কৃষকসহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষের সস্তির সাথে প্রকৃতিকেও করেছে কিছুটা শান্ত।


তবে,এ দিন বৃষ্টির সাথে তেমন কোন বিজলী চমকানি দেখা যায়নি।অনেকেই ঘুমে আচ্ছন্ন আবার অনেকেই জেগে থেকে বৃষ্টি কামনা করেছেন সাতক্ষীরা কলারোয়ার উপজেলা সদরসহ ১২টি ইউনিয়নের বৃষ্টিপাত-বৃষ্টি নামা এলাকার অনেকেই।গুমট গরমে রিমঝিম বৃষ্টিতে প্রকৃতির মাঝে জেগে ওঠে আরেক রসালো প্রাণ।কৃষকেরা তাড়াহুড়োর সাথে নেমে পড়েছেন পড়ে থাকা চাষাবাদের মাঠে।কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে মানুষ ও প্রকৃতিতে।তবে এ সল্প বৃষ্টিতে চাষাবাদে খুব একটা সুবিধা করতে পারবেন না বলেই অনেকেই পাশাপাশি সেচ ব্যবস্থা নিচ্ছেন এবং একটু সস্তির বৃষ্টিতে আল্লাহর কাছে বৃষ্টি কামনা করছেন তাঁরা।
_এজন্যই-বৃষ্টিমুখর দিনে কবি বিরহ কাতর মনে বলেছেন-
মেঘের পরে মেঘ জমেছে আঁধার করে এসে,আমায় কেন দাঁড়িয়ে রাখো একা দ্বারের পাশে।
তুমি যদিনা দেখা দাও-করো আমায় হেলা,কেমন করে কাটে বলো এমন বাদল বেলা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *