রাজধানীতে বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার অলিতে-গলিতে, বাসার সামনে, গ্যারেজে করা হয়েছে পশু কোরবানি

ধর্ম

রাজধানীর মিরপুর,কল্যাণপুর এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সোমবার সকালে ঈদুল আজহার নামাজ শেষে রাজধানীতে পশু কোরবানি শুরু করে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার অলিতে-গলিতে, বাসার সামনে, গ্যারেজে করা হয়েছে পশু কোরবানি। বাদ যায়নি ফুটপাত এমনকি রাস্তাও।

তবে স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, নির্ধারিত স্থানে না গিয়ে নিজেদের সুবিধার্থে বাসা ও গলির পাশে কোরবানি দিচ্ছেন তারা। তাছাড়া নির্ধারিত স্থানেও অধিক সংখ্যক কোরবানি করা সম্ভব নয়।

ঢাকার দুই সিটি মিলে বর্জ্য অপসারণে কাজ করছেন ১৪ হাজার পরিচ্ছন্নতাকর্মী। দুই সিটির ওয়ার্ডগুলোকে বিভিন্ন অঞ্চলে বিভক্ত করে চলছে এ বর্জ্য অপসারণের কাজ। নগরবাসীকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দুই মেয়র।

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানা গেছে, ঈদের পরবর্তী দুইদিন নিরবচ্ছিন্নভাবে বর্জ্য অপসারণের জন্য বর্জ্যবাহী ড্রাম্প ট্রাক ও খোলা ট্রাক ১৬৯টি, ভারী যান-যন্ত্রপাতি ২৮টি, পানির গাড়ি ১১টি, বেসরকারি ৮২টি এবং ভাড়ায় ১৪৮টি পিকআপ ভ্যানসহ সর্বমোট ৪৩৮টি গাড়ি নিয়োজিত রয়েছে।

সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজধানীর কল্যাণপুর এলাকা ঘুরে দেখা যায়, নির্ধারিত স্থানের বাইরে অলিতে-গলিতে যত্রতত্রই হয়েছে পশু কোরবানি। বিকেলেও হচ্ছিল কোরবানি। কল্যাণপুর নতুন বাজারে কোরবানির নির্ধারিত স্থান ঘোষণা করা হলেও অধিকাংশ কোরবানি হয়েছে গলিতে, গ্যারেজে ও ফুটপাতে।

সিরাজুল ইসলাম নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা সাংবাদিকদের বলেন, নির্ধারিত স্থান সম্পর্কে জানলেও দূরে হয়ে যায়, যে কারণে নিজ বাসার গ্যারেজেই গরু কোরবানি দিয়েছি। নিজ দায়িত্বে পরিষ্কার করছি। সিটি কর্পোরেশনের সরবরাহকৃত ব্যাগেই ফেলা হচ্ছে ময়লা।

আনোয়ারুল ইসলাম নামে এক বাড়ির মালিক বলেন, আমরা কোরবানির সব বর্জ্য ফেলছি ব্যাগে। নির্ধারিত স্থানে রাখছি ব্যাগ। ব্যাগসহ অন্যান্য ময়লা সিটি কর্পোরেশনের ময়লাবাহী গাড়ি এসে নিয়ে যাচ্ছে।

নতুন বাজার এলাকায় দেখা যায়, কোরবানির জমানো ময়লা সঙ্গে সঙ্গে তুলে নিয়ে যাচ্ছে সিটি কর্পোরেশনের ময়লাবাহী গাড়ি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *