হিলি প্রতিনিধি ॥
ঈদ শেষে গ্রামর বাড়ীত ফেরার পথে হত্যার শিকার হয় লাশ হয়ে বাড়ী ফিরলা শারমীন আক্তার (২২) নামে এক নারী পোশাক শ্রমিক। ২ দিনও পুলিশ হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি।

নিহত শারমীন আক্তার দিনাজপুরর হাকিমপুর উপজেলার খাট্টাউছনা গড়িয়াল গ্রামের শাফি আকন্দর মেয়ে। স ঢাকার একটি গার্মটস ফ্যাক্টরীত কাজ করতেন এবং ঢাকার গাবতলীতে বসবাস করত। গত শুক্রবার হাকিমপুর উপজেলার চন্ডীপুর এলাকার গ্রামে সড়কের ব্রিজর নিচে কাঁদার মধ্য অজ্ঞাত পরিচয়ধারী হিসেবে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে পরিচয় উদ্ধার হওয়ার পর গত শনিবার তার বাবা শাফি আকদ বাদী হয়ে হাকিমপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ ধারনা করেছে- পোশাক শ্রমিক শারমীন আক্তারকে ধর্ষনের পর হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনায় গতকাল রোববার পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদর জন্য ২ জনক থানায় নিয়ে গেছে।
হাকিমপুর থানার মামলা সূত্র জানা যায়, পোশাক শ্রমিক শারমিন আক্তার ঢাকার গাবতলীতে বসবাস করতেন। গত জুলাই মাস থেকে শারমিন অসুস্থ হয়ে পড়ে। চিকিৎসক শারমিনকে এক মাস বিশ্রামর পরামর্শ দেয়। পরে রোবার শারমিন গত বৃৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা থেকে এসআই পরিবহনে গ্রামর বাড়ী দিনাজপুর হাকিমপুরর (হিলি স্লবদর) উদ্দশ্য রওনা দেয়।

শুক্রবার শারমিনের ভাই সাজ্জাদ মুঠাফান বোনের সাসে যাগাযোগের চেষ্টা করে। কিন্তু মুঠাফান বন্ধ পায়। সারাদিন শেষে শুক্রবার রাত সাড় ৯ টার দিক শারমিনর মুঠাফানটি চালু হয়। এসময় হাকিমপুর থানা পুলিশ শারমিনের পরিবারকে হত্যার খবর জানায়। পরিবার এসে শারমিনের লাশ শনাক্ত করে।
হাকিমপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন জানান, স্থানীয়দের মাধ্যম খবর পেয়ে শুক্রবার রাত ৯ টার দিক উপজেলার চন্ডিপুর এলাকার গ্রামের সড়কের ব্রিজর নিচে কাঁদার মধ্য পুঁতে রাখা অবস্থায় শারমিনের লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশ সুরতহালে শারমিনের গলায় ফাঁস (শ্বাসরাধ) করে হত্যার আলামত পাওয়া গেছে। লাশটি পানিতে ভিজে যাওয়ায় ধর্ষনের আলামত এ মুহুর্ত বোঝা যায়নি। ময়না তদন্তের প্রতিবেদনে বিস্তারিত জানা যাবে। তবে পারিপার্শ্বিক অবস্থায় শারমিনকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে বোঝা যাচ্ছে। এ ঘটনায় শারমিনের বাবা শাফি আকদ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামে আসামীদের বিরুদ্ধে হাকিমপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, হত্যাকান্ডর ক্লু উদ্ধার করে হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রফতারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।