তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেছেন, দেশের আইটি সেক্টরের উন্নয়নে যা কিছু করার তার সবই করবে সরকার। প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টার নির্দেশনা অনুযায়ী আগামীতে দেশের সবচেয়ে বড় রফতানি খাতে পরিণত হবে তথ্য ও প্রযুক্তি খাত।
যশোরের শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে (এসএইচএসটিপি) যাতে দক্ষ আইটি জনবলের সঙ্কট না হয় সে ব্যাপারে উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের প্রথম এবং সবচেয়ে বড় এই সফটয়্যার পার্ককে ঘিরে যশোর ও আশেপাশের জেলায় দক্ষ আইটি জনশক্তি তৈরিতে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি হাতে নেয়া হবে।

প্রতিমন্ত্রী আজ সকালে যশোর শেখ হাসিনা টেকনোলজি পার্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। পরে তিনি এসএইচএসটিপি মিলনায়তনে ‘তথ্য ও প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবন বিষয়ে ভারত-বাংলাদেশ সহযোগিতা ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন । কর্মশালায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকাস্থ ভারতীয় হাই কমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাস।
রীভা গাঙ্গুলী দাস বলেন, বন্ধু প্রতীম দেশ হিসেবে বাংলাদেশের আইটি সেক্টরের উন্নয়নে ভারত সহযোগিতা করে চলেছে, ভবিষ্যতেও করবে। বাংলাদেশের ১২টি জেলায় হাইটেক পার্ক স্থাপনে ভারত সরকার অর্থায়ন করছে বলে জানা তিনি।

যশোরের জেলা প্রশাসক সফিউল আরিফের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর আনোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচাালক হোসনে আরা বেগম প্রমুখ।
পরে দুপুরে এক্ই স্থানে বাংলাদেশের স্ট্যাট-আপ কালচার; সমস্যা সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকনভ্যালির তথ্য ও প্রযুক্তি বিশেজ্ঞ মিজ টিনা জাবিন। তিনি নতুন উদ্যোক্তা তৈরির জন্য স্ট্যাট-আপদের মেন্টরিং ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে ফান্ড পেতে করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করেন।