রোহিঙ্গাদের নিয়ে রাজনীতি করা বিএনপির মূল উদ্দেশ্য : তথ্যমন্ত্রী

জাতীয়

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, রোহিঙ্গারা তাদের দেশে ফিরে যাক, সেটা বিএনপি চায় না। রোহিঙ্গাদের নিয়ে রাজনীতি করাই বিএনপির মূল উদ্দেশ্য।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ যে পথে হাঁটছে সেটিই সঠিক পথ। কোন যুদ্ধ-বিগ্রহের মাধ্যমে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করা যাবে না। বাংলাদেশ কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করছে।


‘বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীররা যেভাবে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছেন তাদের কথাবার্তায় মনে হয় রোহিঙ্গারা দেশে ফিরে যাক সেটা তাদের উদ্দেশ্য নয়। তারা চায়না রোহিঙ্গারা দেশে ফিরে যাক।’
তথ্যমন্ত্রী আজ জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রামের দামপাড়া পুলিশ লাইন্সে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি) ও সিএমপি স্কুল অ্যান্ড কলেজ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য এ কথা বলেন।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার ও সিএমপি স্কুল অ্যান্ড কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মো. মাহাবুবর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) আমেনা বেগম।
হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা শুধু ব্যক্তি শেখ মুজিবুর রহমানকে নয়, স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে হত্যার ষড়যন্ত্র ছিল। একাত্তর সালে দেশী-বিদেশী এবং আর্ন্তজাতিক যেসব শক্তি বাংলাদেশের অভ্যুদয় চায়নি তারাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্রটিকে হত্যা করার অপচেষ্টা চালিয়েছিল।


তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর প্রথমে জাতীয় পতাকা পরির্তনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে প্রবলভাবে আভ্যন্তরীণ বিরোধীতার কারণে সেটা করা সম্ভব হয়নি। বাঙালিরা একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র রচনার লক্ষ্যেই সবার রক্তস্্েরাতের বিনিময়ে বাংলাদেশের অভ্যুদয় হয়েছিল। ষড়যন্ত্রকারীরা বঙ্গবন্ধুকে ইতিহাস থেকে মুছে দিতে চেয়েছিল, কিন্তু তারা তা পারেনি। বঙ্গবন্ধু ইতিহাসে অমর হয়ে রয়েছেন। আর সেই ষড়যন্ত্রকারীরাই মুছে গেছে।


তথ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্ব বাংলাদেশ আজ স্বপ্নপূরণের পথে। ২০২১ সাল নাগাদ পরিপূর্ণ মধ্যম আয়ের দেশ, ২০৪১ সাল নাগাদ একটি উন্নত দেশে রূপান্তরিত হতে অদম্য গতিতে এগিয়ে চলছে দেশ। শেখ হাসিনার নেতৃতে বাংলাদেশ স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছে যাবে।
ড. হাছান বলেন, দেশের অগ্রযাত্রায় পুলিশ বাহিনীর ভূমিকা রয়েছে, আত্মত্যাগ রয়েছে। সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, পেট্রোল বোমাবাজদের প্রতিহত করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে কাজ করছে পুলিশ বাহিনী। স্বাধীনতা-সংগ্রামে, দেশ গঠনের ক্ষেত্রে, দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা, স্থিতি বিরাজমান রাখার ক্ষেত্রে এবং দেশের ক্রান্তিকালে পুলিশ বাহিনী দায়িত্বপালন করেছে এবং করছে।
সিএমপি’র সিনিয়র সহকারী কমিশনার (পাঁচলাইশ জোন) দেবদূত মজুমদারের পরিচালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপ-কমিশনার (সদর) শ্যামল কুমার নাথ। বক্তব্য রাখেন সিএমপির উপ-কমিশনার (উত্তর) বিজয় বসাক, সিএমপি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ শিবলী সাদিক প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *