হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মাসুদুল হাসান রুটিন মেইনটেনেন্স
এর ৪০ হাজার টাকা ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে উত্তোলন করার ২ মাস অতিবাহিত হলেও আজ
পর্যন্ত অফিসে কোন কাজ করা হয়নি। এ নিয়ে শিক্ষক মহলে চলছে সমালোচনার ঝড়।
জানা গেছে, চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসুচি (পিইডিপি-৪) এর সাব
কম্পোনেন্ট মেইনটেনেন্স কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে ২য় পর্যায়ে
উপজেলা/ থানা শিক্ষা অফিসের রুটিন মেইনটেনেন্স এর ব্যয় নির্বাহ কল্পে প্রাথমিক
শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (বাজেট) শেখ মো: রায়হান উদ্দিন স্বাক্ষরিত স্মারক নং
৩৮.১৫০.১৮০. ০২৬.০০.০০.৪৬.২০১৮-১০৩১ এর মাধ্যমে হাকিমপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসের
রুটিন মেইনটেনেন্সের জন্য ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়। বরাদ্দের টাকা পাওয়ার পর
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মাসুদুল হাসান কোন প্রকার কাজ না করেই রুটিন
মেইনটেনেন্স এর ৪০ হাজার টাকা অর্থ ব্যয়ের শর্তবলী লঙ্ঘন করে ভূয়া ভাউচার মূলে
উত্তোলণ করেছেন।
হাকিমপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসে যোগাযোগ করা হলে সিনিয়র সহকারী শিক্ষা
অফিসার হারুন অর রশিদ জানান, রুটিন মেইনটেনেন্সের টাকা এসেছে কিনা তিনি
কিছুই জানেন না তবে রুটিন মেইনটেনেন্সের কোন কাজ করা হয়নি। সবকিছু শিক্ষা
অফিসার মাসুদুল হাসান জানেন।
অফিস সহকারী শহিদুল ইসলাম জানান, রুটিন মেইনটেনেন্সের ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ
পাওয়া গেছে এবং উক্ত টাকা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ২৩শে জুন ২০১৯ তারিখে
ভাউচারে খরচ দেখিয়ে উত্তোলন করেছেন। তবে ২ মাসেও রুটিন মেইনটেনেন্সের কোন
কাজ করা হয়নি বলেও তিনি জানান।
এছাড়াও বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০১৯ এ নিন্মমানের পুরস্কার দিয়ে
অর্থ আত্বসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে তার বিরুদ্ধে।
এ ব্যাপারে ১লা সেপ্টেম্বর দুপুরে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মাসুদুল হাসানের সাথে
যোগাযোগ করা হলে তিনি টাকা উত্তোলন করা কথা স্বিকার করলেও বক্তব্য দিতে অস্বিকৃতি জানান।
