নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
ঢাকার শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার ক্রাইম জোন এলাকা ভাদাইল রূপায়ন আবাসন ১ এর পাশে ভুক্তভোগী এক ব্যক্তির লিখিত
অভিযোগের পর দুই নারীসহ ৪জন অপহরণকারীকে গ্রেফতার করেছেন থানা পুলিশ।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে আশুলিয়ার ভাদাইল শাহজাহান মার্কেট ও রূপায়ন
আবাসন মাঠের পাশে মোঃ দেলোয়ার হোসেনের বাড়ির ৫ম তালা থেকে রুমের দরজা ভেঙ্গে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, জামালপুর জেলার মেলান্দহ থানার ঝাউগড়া গ্রামের মৃত ওয়াজেদ আলীর ছেলে মাসুদুর রহমান
মাসুদ (৩৫) ও তার বিদেশ ফেরত ১১ নং স্ত্রী হাফিজা আক্তার (২৩), বাগেরহাট জেলার চিতলমারী থানার আউরাগনি
গ্রামের ইসারত শেখের ছেলে মোঃ আতাউর রহমান (২৮) ও তার স্ত্রী নব মুসলিম কুসরিয়া খাতুন সাথী (২৫)।
উক্ত ব্যাপারে ভুক্তভোগী মোঃ ফরিদ উদ্দিন জানান, গত বুধবার সন্ধ্যায় তিনি অফিস ছুটির পর তার বাসার দিকে
যাওয়ার সময় জামগড়া ভুঁইয়া বাজার এলাকায় পৌছালে দুইজন অপরিচিত ব্যক্তি তার সাথে চাকরি নিয়ে কথা বলা
শুরু করে। এসময় সিএনজিযোগে আরও তিনজন লোক এসে তাকে জোরপূর্বকভাবে ধরে তুলে নিয়ে যায়। তিনি
জানান, অপহরণকারীরা তাকে ভাদাইল দেলোয়ার হোসেনের বাড়ির ৫ম তলায় একটি রুমে আটক করে রাখে। এরপরে তার
পরিবারের লোকজনের কাছে মোবাইল ফোনে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে তারা বিকাশের মাধ্যমে ৬০ হাজার
টাকা নিয়েছে এবং তার ব্যবহত মোবাইল ফোনের সিম রেখে তাকে ছেড়ে দেয় তারা।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোঃ অহিদুল ইসলাম অহিদ জানান, বাদীর অভিযোগের ভিত্তিতে
তাকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান চালিয়ে উক্ত চার অপহরণকারীকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানায় মাসুদুর
রহমান ওরফে মাসুদ রানার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রুজু হয়েছে বলে পুলিশ জানান।
শনিবার সকালে এ বিষয়ে জানতে চাইলে নওগাঁ জেলার মোছাঃ সাথী বেগম জানান, মাসুদ তাকে বিয়ে করে অনেক
তার মাধ্যমে ৫-৭লাখ টাকা প্রতারণা করে হাতিয়ে নিয়ে তাকে তালাক দিয়েছে। একই এলাকায় বসবাস করায় মাসুদ
ওই তালাক দেয়া স্ত্রীর কাছে সময়ে অসময়ে নানাভাবে টাকা দাবি করেন। এরকম মাসুদের স্ত্রী বুলবুলি, মেরী,
মাহফুজা, জান্নাত, নাহার, মিনা, শাপলা, মুন্নী, নাজমা, সাথীসহ প্রায় ১২ জনের মত নারীর বিয়ে করে দেহ
ব্যবসা ও ফিটিংবাজি কাজে ব্যবহার করেছে বলে নওগাঁর মেয়ে বিদেশ ফেরত সাথী জানান। উক্ত মাসুদ এর বিরুদ্ধে
আরও বিভিন্ন অভিযোগ আছে বলে স্থানীয়রা জানান। ###
