শার্শায় গৃহবধূ ধর্ষণের আলামতের ডিএনএ টেস্টের জন্য আদালতে আবেদন : শার্শা থানার ওসি বদলি

ক্রাইম রিপোর্ট


এম সাঈদ, বেনাপোল / শার্শা ॥ 
যশোরের শার্শার লক্ষণপুরে নিজ বাড়িতে গৃহবধূ গণধর্ষণ মামলার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। পুলিশ হেড কোয়ার্টার্সের নির্দেশে শুক্রবার তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই যশোরের ইনসপেক্টর শেখ মোনায়েম হোসেন। দায়িত্ব পেয়েই তিনি ওই গৃহবধূর বাড়ি পরিদর্শন ও জবানবন্দি গ্রহণ করেছেন।
এদিকে, শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম মশিউর রহমানকে বদলি করা হয়েছে। শনিবার তাকে যশোর পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। তার স্থলাভিসিক্ত হয়েছেন বরিশাল মেট্রোপলিটনের ইন্সপেক্টর আতাউর রহমান। শনিবার রাতে যশোরের পুলিশ সুপার মঈনুল হক সাংবাদিকদের বলেন, নিয়মিত বদলির অংশ হিসেবে এম মশিউর রহমানকে বদলি করা হয়েছে। তার বদলির সঙ্গে গৃহবধূ ধর্ষণ মামলা সংক্রান্ত কোন সম্পৃক্ততা নেই।
গৃহবধূ গণধর্ষণ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শেখ মোনায়েম হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভিকটিমের সোয়াপ কালেকশন করে ডিএনএ প্রোফাইলের জন্যে সিআইডি হেড কোয়ার্টারে পাঠানো হয়েছে। তদন্তের অংশ হিসেবে ডাক্তারি পরীক্ষায় পাওয়া ধর্ষণের আলামতের সঙ্গে গ্রেফতার তিনজনের ডিএনএ টেস্ট করাতে আদালতে আবেদন করা হয়েছে।
প্রধান অভিযুক্ত স্থানীয় গোড়পাড়া পুলিশ ফাঁড়ির এসআই খায়রুল আলমের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি তদন্তের বিষয়। তদন্তে কারও যদি সম্পৃক্ততা থাকে, তাহলে পরবর্তীতে আপনাদের জানানো হবে।
উল্লেখ্য, ২ সেপ্টেম্বর শার্শা উপজেলার লক্ষণপুর এলাকায় ওই গৃহবধূর বাড়িতে গভীর রাতে যায় এস আই খায়রুল, সোর্স কামরুলসহ চারজন। তারা ওই গৃহবধূর কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা না দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে এস আই খায়রুল ও কামরুল তাকে ধর্ষণ করেন বলে ওই গৃহবধূ অভিযোগ করেন। পরদিন সকালে (৩ সেপ্টেম্বর) ওই গৃহবধূ যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষা করাতে এলে বিষয়টি জানাজানি হয়। ওইদিন রাতেই শার্শা থানায় মামলা করেন গৃহবধূ। মামলায় এস আই খায়রুলের নাম রাখা হয়নি। আসামি করা হয় কামরুজ্জামান ওরফে কামরুল, আবদুল লতিফ, আবদুল কাদের ও অজ্ঞাত একজনকে। ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *