ব্যাটিং ব্যর্থতায় এশিয়া কাপ জেতা হলো না যুবাদের

খেলা

বোলারদের বিধ্বংসী বোলিং নৈপুণ্যে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনাল জয়ের মঞ্চ পেয়ে গিয়েছিলো বাংলাদেশ। ১০৬ রানে শক্তিশালী ভারতকে অলআউট করে দেয় বাংলাদেশের বোলাররা। ফলে শিরোপা জয়ের স্বপ্নে বিভোর হয়ে উঠে বাংলাদেশের যুবারা। কিন্তু ব্যাটিং ব্যর্থতায় শিরোপা স্বাদ পাওয়া হলো না বাংলাদেশের যুবাদের। ভারতের বোলারদের বুদ্ধিদীপ্ত বোলিং-এ ১০১ রানে গুটিয়ে শিরোপা বিসর্জন দিলো বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। ফলে মাত্র ৫ রানে ম্যাচ জিতে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের শিরোপা জিতে নিলো ভারত। এই নিয়ে সপ্তম বার শিরোপা জয় করলো ভারত।
কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে ভারত। ৮ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে শুরুতেই চাপে পড়ে যায় তারা। শুরুতেই চাপে পড়ে পরবর্তীতে আর ঘুড়ে দাঁড়াতে পারেনি ভারত। বাঁ-হাতি পেসার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরি ও ডান-হাতি অফ-স্পিনার শামীম হোসেন বড় সর্বনাশ করেন ভারতের ব্যাটিং লাইন-আপের। তাদের সাথে তাল মিলিয়েছেন দুই ডান-হাতি পেসার তানজীম হাসান সাকিব ও শাহিন আলম। দু’জনই ১টি করে উইকেট নেন।
মৃত্যুঞ্জয় ও শামীম ৩টি করে শিকার ঝুলিতে ভড়েন। ফলে ৩২ দশমিক ৪ ওভারে ১০৬ রানে অলআউট হয় ভারত। দলের পক্ষে আট নম্বরে নেমে করন লাল ৩৭ ও ধ্রুব জুরেল ৩৩ রান করেন।
১০৭ রানের সহজ টার্গেটে খেলতে নেমে ১৬ রানে বাংলাদেশের উপরের সারির চার ব্যাটসম্যান প্যাভিলিয়নে ফিরেন। কেউই দু’অংকের কোটা পেরোতে পারেননি। এরপর আরও দু’ব্যাটসম্যান ডাবল ডিজিটে পৌঁছানোর আগে ফিরলে, ম্যাচ হারের শংকায় পড়ে বাংলাদেশ। কিন্তু অধিনায়ক আকবর আলি ও মৃত্যুঞ্জয় জুটি বেঁধে ম্যাচের নিয়ন্ত্রন নেয়ার চেষ্টা করেন। দু’জনই দু’অংকের কোটা স্পর্শ করেন । ফলে বাংলাদেশের আশা জেগে উঠে। কিন্তু দলীয় ৭৮ রানেই আকবর ও মৃত্যুঞ্জয় ফিরে গেলে বাংলাদেশের আশা শেষ হয়ে যায়। আকবর ২৩ ও মৃত্যুঞ্জয় ২১ রান করেন।
তবে শেষদিকে, বাংলাদেশের আশা ধরে রেখেছিলেন দুই বোলার সাকিব ও রাকিবুল হাসান। দলীয় ৭৮ রান থেকে জুটি বেঁধে দলের স্কোর শতরানে নিয়ে যান তারা। এই জুটির কল্যাণে জয় থেকে ৬ রান দূরে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ।
তবে ৩৩তম ওভারের তৃতীয় বলে সাকিব ও শেষ বলে ১১তম ব্যাটসম্যান শাহিন আলম আউট হলে ১০১ রানেই ইতি ঘটে বাংলাদেশের ইনিংসের। আর সেখানেই রচিত হয় এশিয়া কাপের ফাইনালে বাংলাদেশের অসহায় আত্মসমর্পন। সাকিব ১২ রানে আউট হলেও, রাকিবুল ১১ রানে অপরাজিত থাকেন। যা কোন কাজে আসলো না বাংলাদেশের। ভারতের অথর্ব আনকোলেকার ২৮ রানে ৫টি উইকেট নিয়ে ভারতের জয়ে প্রধান ভূমিকা রাখেন। তাই ম্যাচ সেরা তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *