সোনাইমুড়ীতে ছাত্রলীগের দু গ্রুপে গোলাগুলিতে ওসিসহ আহত ২০

রাজনীতি

জসিম উদ্দিন, সোনাইমুড়ী (নোয়াখালী) প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে আধিপাত্য বিস্তারের জের ধরে ছাত্রলীগে দু গ্রুপের সংঘর্ষে ওসিসহ ২০ জন আহত হয়েছে। উভয় গ্র“পের ৬ জনক আটক করা হয়েছে। বুধবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে সোনাইমুড়ী বাজারের রামগঞ্জ-নোয়াখালী সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সোনাইমুড়ী বাজারে স্থানীয় এমপি
এইচ.এম.ইব্রাহিম গ্রুপে সাথে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী জাহাঙ্গীর আলম সমর্থকদের আধিপাত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৯টার দিকে এমপি গ্রুপে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা তোফাজ্জল হোসেন প্রকাশ কালা হুক্কার নেতৃত্বে ২০/২৫ জন অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সোনাইমুড়ী সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে উপজেলা ছাত্রলীগ কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রধানমন্ত্রীর ব্যাক্তিগত সহকারী জাহাঙ্গীর আলমের ছবিসহ আসবাবপত্র ভাংচুর করে। এ নিয়ে বুধবার বিকেলে সোনাইমুড়ী উপজেলা
ছাত্রলীগের সাধারণ স¤পাদক ও ভানুয়াই গ্রামের আবদুর রবের পুত্র শ্যামল উদ্দিন বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ ঘটনা মীমাংসা করার লক্ষ্যে বুধবার সন্ধ্যায় সোনাইমুড়ী উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মাহফুজুর রহমান বাহার ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহবায়ক আবু সায়েম থানায়
বৈঠক বসে। থানা থেকে সোনাইমুড়ী বাজারে যাওয়ার সময় রাত ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর ব্যাক্তিগত সহকারী জাহাঙ্গীর আলম সমর্থক আবু সায়েম রিক্সাযোগে সোনাইমুড়ী বাজারের পাঞ্জেগানা মসজিদের সামনে পৌঁছলে এমপি গ্রুপে লোকজন তাকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে। তাদের ছোড়া গুলিতে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহবায়ক আবু সায়েম, ছাত্রলীগ
কর্মী বিপ্লব, কাউসার, শাহাদাত হোসেন জুয়েল, ফয়েজ আহাম্মদ শাওন, মেহেদী হাসান, শিপন, বেলাল হোসেন, ওসি আব্দুস সামাদ, তদন্ত ওসি ইমদাদুল হক ও কনস্টেবল জসিম উদ্দিনসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন। পরে প্রধানমন্ত্রীর ব্যাক্তিগত সহকারী জাহাঙ্গীর আলম সমর্থকরা উত্তেজিত হয়ে
সোনাইমুড়ী পৌরসভার প্যানেল মেয়র জহিরুল ইসলাম ভুঁইয়ার কার্যালয় ভাংচুর ও লুটপাট চালায়।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ছাত্রলীগ কর্মী আরিফ হোসাইন, সাখাওয়াত হোসেন, ফয়েজ, বেলাল হোসেন সুজন, রাহানুর রশিদ রাকিব ও শাহাদাত হোসেনকে আটক করে। রাতেই নোয়াখালী জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীপক জ্যোতি খিসা ও অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশের উপর হামলা ও কর্তব্য কাজে বাধা প্রদানের অভিযোগ এনে সোনাইমুড়ী থানার এসআই নাজমুল হাসান বাদী হয়ে উপজেলার ভানুয়াই গ্রামের জাবের মোল্লা্র ছেলে ছাত্রলীগ কর্মী সারওয়ার হোসেনকে ১নং বিবাদী করে ৭জনকে এজাহার নামীয় ৭০/৮০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। সোনাইমুড়ী থানার ওসি আব্দুস সামাদ পুলিশ আহতের সত্যতা স্বীকার করে সাংবাদিকদের জানান, ছাত্রলীগের দু গ্রুপে সংঘর্ষের সাথে সাথেই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৪৬ রাউন্ড ফাকা গুলি ছুড়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *