শাহাদাৎ হোসেন আশুলিয়াঃ সাভার উপজেলার অন্তরগত আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের আনাচে কানাচে চলছে ডিজিটাল চায়না জুয়া অর্থাৎ মিনি ক্যাসিনো চীনা নাগরিক ও স্থানীয় আঞ্চলিক মাদক ব্যবসায়ীদের সমন্বয়ের দ্বারা চলছে রমরমা ডিজিটাল নামক চায়না জুয়া আর এর মূলে রয়েছে সমন্বয়কারী একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট। আর এসমস্ত সিন্ডিকেটের রয়েছে বেতনভুক্ত কর্মচারী যাদের সার্বক্ষণিক কাজ বিভিন্ন মহলকে অর্থের মাধ্যমে ম্যানেজ করা আশুলিয়ায় চীনা নাগরিকের দ্বারা পরিচালিত ডিজিটাল জুয়ার সমন্বয়কারী ও সিন্ডিকেটের প্রধান হিসেবে কাজ করেন গাইবান্ধা জেলার প্লাবন নামক এক ব্যক্তি তাছাড়া আরো রয়েছে রুবেল, আনিছ, আল-আমিনসহ ১০থেকে১৫জন বেতনভুক্ত যুবক যাদের কাজ সারাদিন বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষকে ফুসলিয়ে মিনি ক্যাসিনো জুয়ার আসরগুলোতে কাস্টমার হিসেবে হাজির করা। আর এদের টার্গেট বেশির গার্মেন্টস শ্রমিক চাকুরীজীবি ব্যবসায়ী উর্তি বয়সী যুবক থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সের মানুষ আর এসমস্ত মিনি ক্যাসিনো গুলো বেশিভাগ গড়ে উঠছে জনবহুল এলাকাগুলোয় দীর্ঘদিন যাবৎ আশুলিয়ার পল্লী বিদ্যুৎ, জামগড়া, মনি মার্কেট, শরিফ মার্কেট, বেরুণ তেঁতুলতলাসহ বিভিন্ন এলাকায় তিন তাস ও চায়না নাগরিক কর্তৃক ডিজিটাল জুয়া চালাচ্ছে একটি চক্র। এসব জুয়ার টাকা জোগাড় করতে এলাকায় চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, খুন, চাঁদাবাজি-অপহরণসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের ঘটনা ঘটছে বলে অনেকেরই অভিমত।

“আশুলিয়ায় বিভিন্ন এলাকায় অপরাধমূলক কর্মকান্ড বাড়ছে উক্ত জুয়া খেলার কারণে এমন মন্তব্য করেন অনেকেই”স্থানীয়দের মতে দীর্ঘদিন যাবৎ এসব জুয়ার আসরগুলোতে সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে অসংখ্য পরিবার। এদের মধ্য আলমগীর নামের একজন বলেনঃ আমি ভাল ব্যবসা করতাম এদের প্রলোভনে পড়ে আমার সংসার ব্যবসা এমনকি দেশের বাড়ির জমি বন্ধক রেখে সবই হারিয়েছি এই সর্বনাশা ডিজিটাল নামক চায়না জুয়ায়।
আমি চাই এখন ঢাকার ক্যাসিনো গুলোতে যেভাবে অভিযান চলছে তেমনি করে আশুলিয়ার এসমস্ত মিনি ক্যাসিনো গুলোতেও অভিযান পরিচলনা করে এগুলো বন্ধ করা হউক। এবং এসমস্ত জুয়ার আসরগুলো যারা পরিচলনা করছে তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করলে বিভিন্ন প্রকার অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বন্ধ হবে। বিশেষ করে বিভিন্ন জুয়ার টাকা জোগাড় করতেই অপরাধমূলক কর্মকান্ড ঘটাচ্ছে জুয়ারুরা। জানা গেছে, প্রায় ৭০ লাখ মানুষের বসবাস আশুলিয়ায় পোশাক কারখানা গুলো তে। বেতনের পর এসব জুয়া খেলা হয়, এতে অনেকেরই সংসারে অশান্তি লেগেই থাকে জুয়ারুদের কারণে। এ বিষয়ে পুলিশ ও র্যাবকে জানানো হলেও ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে অনেকেই জানান। অনেকের অভিমত বর্তমানে ঢাকার ন্যায় আশুলিয়ায়ও এধরনের মিনি ক্যাসিনো গুলোতে অভিযান পরিচলনা করলে এলাকার মানুষ স্বস্তির নিঃস্বাস ফেলে বাঁচতে পারত। বিভিন্ন মানুষের অভিযোগ এগুলো পুলিশের কিছু অসাধু সদস্য ও দালালদের মদদে এবং বিভিন্ন মহলে মোটা অংকের মাসোয়ারার মাধ্যমে প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে চলে গভীর রাত এমনকি ভোর পর্যন্ত আর পুলিশ প্রশাসন তৎপর থাকলে অচিরেই অত্র এলাকায় বন্ধ করা সম্ভব হবে মিনি ক্যাসিনো অর্থাৎ ডিজিটাল নামক চায়না জুয়া উক্ত এলাকার আশুলিয়া জামগড়াসহ এসব জুয়া খেলার আসর মিনি ক্যাসিনো গুলোর বিষয়ে সংশ্লিষ্ট পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন সচেতন মহল। চলবে…..