চাঁপাইনবাবগঞ্জে বসন্তের সুভাষে আমের মুকুলে কৃষকের মুখে হাসি

অর্থনীতি
আখতারুজ্জামান (ঈসা) চাঁপাইনবাবগঞ্জ:
আমের রাজধানী খ্যাত চাঁপইনবাবগঞ্জের গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে আমের মুকুল। প্রায় সব জায়গায় চোখে পড়ছে মুকুলে ছেয়ে যাওয়া অসংখ্য আমগাছ। এভাবে বসন্তের ফাগুনে গাছে গাছে প্রস্ফূটিত আমের মুকুল সর্বত্র ছড়াচ্ছে স্বর্ণালী আভা।এসেছে ঋতুরাজ বসন্ত। 
আগুন ঝরা ফাগুনে গাছে গাছে জেগে উঠছে সবুজ পাতা। প্রকৃতির পালাবদলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের প্রতিটি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আম গাছগুলোতে মুকুলের মিষ্টি সুবাসে মৌ-মৌ করছে প্রকৃতি।
অনুকূল আবহাওয়ার কারণে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমবাগানগুলোতে এবার বাম্পার মুকুল এসেছে। বাগান পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত সময় কাটছে আমচাষী ও ব্যবসায়ীদের। সবকিছু ঠিক থাকলে জেলায় এবার রেকর্ড পরিমাণ আম উৎপাদনের সম্ভাবনা দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।
স্থানীয় কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী চাঁপাইনবাবগঞ্জে এবার প্রায় ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়েছে। দিন দিন আম চাষে জমির পরিমাণও বৃদ্ধি পাচ্ছে চাঁপাইনবাবগঞ্জে।জেলায় শতাধিক জাতের আম চাষ হয়। এর মধ্যে সুস্বাদু গোপালভোগ,ক্ষিরসাপাত,ল্যাংড়া, ফজলী,আশ্বিনা,বৃন্দাবনী,লক্ষণভোগ,কালীভোগ,আম্রপালি জাতের আমই বেশি চাষ হচ্ছে।
মাঘ মাসের শুরুর দিক থেকেই গাছে গাছে মুকুল আসতে শুরু করে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমবাগানগুলোতে। ফাল্গুনের প্রথম পর্যায়ে এসে মুকুলে মুকুলে পরিপূর্ণ হয় গাছগুলো। এরই মধ্যে গাছগুলোতে ছত্রাকনাশক স্প্রে করেছেন চাষীরা। এখন প্রতিটি বাগানে চলছে সেচ দেয়ার কাজ। কোনো কোনো গাছে আমের দানা বাঁধতেও শুরু করেছে। কৃষকরা জানিয়েছেন আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার জেলার অধিকাংশ গাছ মুকুলিত হয়েছে।
ইতিমধ্যে ৮৫ শতাংশ আম গাছেই মুকুল এসেছে। গাছে গাছে অজস্র মুকুল দেখে বাম্পার ফলনের আশা করা যাচ্ছে।আমের মুকুল আসার আগে-পরে যেমন আবহাওয়ার প্রয়োজন, এ বছর তা বিরাজ করছে। কুয়াশা কম এবং আকাশে উজ্জ্বল রোদ থাকায় আমের মুকুল সস্পূর্ণ প্রস্ফুটিত হয়েছে। প্রাকৃতিক কারণেই এবার আগেভাগেই আম গাছে মুকুল এসেছে। আমচাষি ও বাগান মালিকরা কৃষি অফিসের পরামর্শ অনুযায়ী পরিচর্যা আর আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমের উৎপাদন বাড়ছে। বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর আমের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *