বর্তমনে যেভাবে সময় পার করছেন আনিকা

বিনোদন

মারুফ সরকার, স্টাফ রির্পোটার: তিনি একজন শিল্পী, একজন অভিনেত্রী। অভিনয় ক্যারিয়ারের যা উপার্জন, সব ব্যায় করেন সামাজিক কর্মকান্ডে, বিদ্যাসভা নামে সুবিধাবঞ্চিতদের স্কুলে। মহৎ হৃদয়ের একজন মানুষকে চিনতে এর চেয়ে বেশি আর কিছু দরকার আছে? তিনি আনিকা তাবাসসুম। প্রজন্মের এক সম্ভাবনাময় অভিনেত্রী। টেলিভিশনের বিভিন্ন নাটক ও টেলিফিল্মে ছড়িয়েছেন অভিনয়ের সুবাস। স্বপ্ন দেখছেন নিজেকে বড় পর্দায় দেখার। অচিরেই নিজেকে যুক্ত করবেন চলচ্চিত্রে।

লাস্যময়ী আনিকার আরো গল্প বলি। তিনি মিডিয়ায় যাত্রা শুরু করেছেন প্রায় তিন বছর আগেই। অভিনয়ের কিছু আলোচিত চরিত্র তাকে এনে দিয়েছে আলাদা ইমেজ। এ অঙ্গনের পথটা ধীরে ধীরে আরো প্রশ্বস্ত করছেন তিনি। সেই থেকে নিজের মেধা আর অভিনয় সত্তা দিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন সমানতালে। আনিকা বলেন, ‘আমি প্রথমে অভিনয় নিয়ে পড়াশুনা করেছি। আমি অনেক স্বপ্নবাজ, আমার মধ্যে অভিনয় শিখার ইচ্ছা আছে। আমি নাচ-নাটক করতাম স্কুল- কলেজের প্রোগ্রামগুলিতে। গ্র্যাজুয়েশন শেষ হলে সিনেমা নিয়ে পড়াশুনা করারও ইচ্ছা আছে বলেও জানান তিনি। ময়মনসিংহের এই কন্যা রাজধানীর ইডেন মহিলা কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অধ্যায়নরত। পড়ালেখা, শিশুদের নিয়ে কাজ করার মাঝে অভিনয়টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

সময়ের আলোচিত নির্মাতা রায়হান রাফির সাথেও কাজ করেছেন আনিকা। টেলিভিশনে প্রায় ১২টির অধিক কাজ করেছেন। তার মধ্যে কাজলরেখা, টুইন ভিলেজ, ফ্যামিলি প্রবলেম অন্যতম। নাটকের সংখ্যা চল্লিশের অধিক। এছাড়া ওয়েব সিরিজেও বেশ দক্ষতা দেখিয়েছেন আনিকা। একজন আদর্শ অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে স্বপ্ন দেখা আনিকা বলেন, ‘অভিনয়টা নেশার মতোই কাজ করে। অভিনয়ের মাধ্যমে দেশীয় সংস্কৃতি সারা বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে চাই।’ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তাকে নিয়ে উচ্ছ্বাসের কমতি নেই। নিজের রূপ, গুণ আর অভিনয়ের সৌন্দর্য দিয়ে যে কোন চ্যালেঞ্জ নিতে চান আনিকা। নিজেকে তৈরী করতে সাধনায় একচুল ছাড় দিতে নারাজ এই স্বপ্নকন্যা।

শিক্ষা ও সচেতনতা মূলক গল্পের মাধ্যমে সমাজের জড়তা ভাঙতে চান আনিকা। সমাজ সংস্কারে ভূমিকা রাখতে চান। তিনি জানান, ‘তার অভিনয়ের আয় দিয়ে ‘বিদ্যাসভা’ নামের প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন। যার মাধ্যমে তিনি সমাজের অবিহেলিত শিশুকিশোরদের মানবিক মূল্যবোধ শেখানোর কাজটা করে যাচ্ছেন। অভিনয়ের পাশাপাশি এই ‘বিদ্যাসভা’ নিয়েও তাঁর আছে বিশাল পরিকল্পনা। সম্পূর্ণ অলাভজনক এই সংগঠনটি এখন প্রায় ৭০ জন শিশু-কিশোরকে শিক্ষিত করতে কাজ করে যাচ্ছে। সারাদেশেই সংগঠনটি ডানা মেলতে শুরু করেছে। আনিকার সব শুভ ইচ্ছেরা আকাশে ডানা মেলে উড়ে বেড়াক। সুন্দরের এই স্বপ্নযাত্রায় তাঁর জন্য রইলো আন্তরিক শুভকামনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *