বিশেষ প্রতিনিধিঃ ঢাকার প্রধান শিল্পা ল আশুলিয়ার বাইপাইলে অবস্থিত “হ্যাপি জেনারেল হসপিটাল” চিকিৎসা সেবায় শীর্ষে রয়েছে, কোনো ষড়যন্ত্রই কিছু করতে পারেনি এমনই অভিমত প্রকাশ করেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ডা: রাশিদা বিনতে রিয়াজ (হ্যাপি) এমবিবিএস ডিজিও গাইনি এন্ড অবম। প্রসুতি ও স্ত্রী রোগ বিশেষঞ ও সার্জন।
বুধবার (২৯ মার্চ ২০২৩ইং) দুপুর ১২টায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থা’র ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও আশুলিয়া সাংবাদিক সমন্বয় ক্লাবের সভাপতি মোঃ সাইফুল ইসলাম জয় (হেলাল শেখ) বলেন, আশুলিয়ায় অনেক বিত্তশালী ব্যক্তি থাকলেও গরীব অসহায় মানুষের সহযোগিতা করার মতো ব্যক্তি অনেক কম রয়েছে কিন্তু সিরাজগঞ্জের কৃতি সন্তান একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে মানবতার ফেরিওয়ালা ডাঃ রাশিদা বিনতে রিয়াজ (হ্যাপি), তিনি একজন ভালো মনের মানুষ, অনেক মানুষকে সাহায্য সহযোগিতা ও উপকার করে থাকেন। তার নিজস্ব প্রতিষ্ঠান “হ্যাপি জেনারেল হসপিটাল” বন্ধ করার জন্য একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে কিন্তু গত এক মাস আগে আমার মাকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করাই হ্যাপি জেনারেল হসপিটালে, আমার মাকে সেখানে অপারেশন করাই, আমার মা এখন অনেকটা সুস্থ হয়েছেন, আমিও বলতে চাই যে, উক্ত প্রতিষ্ঠানটি চিকিৎসা সেবায় শীর্ষে আছে। অনেক নজির আছে যে, হ্যাপি জেনারেল হসপিটালে ফ্রি চিকিৎসা সেবা করা হয়েছে। আমি আমার ব্যক্তিগতভাবে হ্যাপি জেনারেল হসপিটালের চেয়ারম্যান ডা: রাশিদা বিনতে রিয়াজ (হ্যাপি) কে ধন্যবাদ জানাই, তাঁর মধ্যে মানবতা আছে, তাই তিনি একজন মানবতার ফেরিওয়ালা এক নারী।
জানা গেছে, এর আগে আশুলিয়ায় গরীব এক নারীর সহযোগিতা করতে কেউ এগিয়ে আসেননি কিন্তু আশুলিয়া থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ রিজাউল হক দিপু সাহেব ডা. হ্যাপিকে মোবাইল ফোনে কল করে বলেছিলেন, এক নারীকে সহযোগিতা করার জন্য, তখন ওসি সাহেবের নিজের গাড়িতে আশুলিয়া থানার সাবেক উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওহিদ মিয়াকে দিয়ে হ্যাপি জেনারেল হসপিটালে পাঠিয়ে দেন ওই নারীকে। এরপর হ্যাপি তার মালিকানাধীন হ্যাপি জেনারেল হসপিটালে ওই নারীকে বিনা খরচে সিজার করেন ডা: হ্যাপি নিজেই। সেই প্রসূতি নারীর নাম শ্রীমতি লিপি রানী (২৫), তার গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধা জেলার গোবিন্ধগঞ্জে। ঢাকার আশুলিয়া থানার পলাশবাড়ির লাল মাটি এলাকায় মিজানের ভাড়া বাসায় তিনি বসবাস করতেন বলে জানা যায়। সেই সময় আশুলিয়া থানার (ওসি) শেখ রিজাউল হক দিপু বলেন, ওইদিন ছিলো শুক্রবার, বিকেলে ওই নারী থানার গেটের সামনে এসে কান্না করছিলেন, তার কান্নার কারণ জানতে চাইলে জবাবে তিনি বলেন,আজ সিজারের ডেট কিন্তু তার কাছে কোনো টাকা নেই দেখে কোন ক্লিনিক, হাসপাতালের ডাক্তার তাকে সিজার করেননি। তিনি আরো বলেন, এসময় আমি ওই নারীকে আমার পূর্ব পরিচিত ডা. হ্যাপি’র মালিকানাধীন হ্যাপি জেনারেল হসপিটালে পাঠালে হ্যাপি’র নিজস্ব অর্থ খরচ করে তার সিজার করেন এবং কয়েকদিন ভর্তি রেখে সকল চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। এ ঘটনার বর্ণনায় (ওসি) আরো বলেন, শ্রীমতি লিপি রানীর নবজাতক কন্যা শিশুটির নাম রাখা হয়েছে শ্রীমতি দীপিকা রানী। এরকম অনেক রোগীকে সাহায্য সহযোগিতা করেন ডাঃ হ্যাপি, আমি খবর নিয়ে জেনেছি, হ্যাপি একজন ভালো মনের মানুষ। তাই তাঁর পরিবারের সকলের প্রতি শুভকামনা রইলো। সেই সাথে উক্ত হ্যাপি জেনারেল হসপিতালের সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি দোয়া ও শুভ কামনা রইলো। ডাঃ হ্যাপি’র এই সফলতার জন্য তাকে প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি, সেই সাথে হ্যাপি’র বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা রিয়াজ সাহেবকে সম্মান ও শ্রদ্ধা জানাই এবং ওই বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ডা: হ্যাপি পরিবারের সবাইকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।
হ্যাপি জেনারেল হসপিটাল এর চেয়ারম্যান ডাঃ রাশিদা বিনতে রিয়াজ (হ্যাপি) গণমাধ্যমকে বলেন, আমি একজন সার্জন, এমবিবিএস ডিজিও গাইনি এন্ড অবম হয়েও সাধারণ ভাবে জীবনযাপন করি। সেই সাথে সরকারি আইন মেনে চিকিৎসা সেবা করে থাকি আর সরকারি জাতীয় দিবসগুলো পালন করাসহ বিশেষ দিনগুলোতে গরীব অসহায় রোগীদেরকে ফ্রি চিকিৎসা সেবা করি, তবে একটি মহল হিংসা করে আমার প্রতিষ্ঠান ও আমার বদনাম করার চেষ্টা করছে, তাদের হয়তো স্বার্থে আঘাত লাগছে, তাই তারা আমার প্রতিষ্ঠানের দিকে তাদের খারাপ দৃষ্টি দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমার বাবা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, আমি তার মেয়ে হয়ে বাবার সম্মান রাখার চেষ্টা করছি, তাই সেবামূলক প্রতিষ্ঠান “হ্যাপি জেনারেল হসপিটাল” করেছি, এখানে আমি সুনামের সাথে চিকিৎসা সেবা করছি, গত ১০/১২/২০২২ইং মাহমুদা বেগম (৩৪) এক নারী প্রসুতি’র অপারেশন করানো হয় আমার প্রতিষ্ঠানে, ওই নারীর শরীরের অবস্থা ভালো ছিলো না, তিনি মৃত্যুবরণ করেন, তার স্বামী ও পরিবারের কোনো অভিযোগ ছিলো না, কিন্তু একটি মহল আমার প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার জন্য ষড়যন্ত্র করে আমাদেরকে হয়রানি করেছে এবং গত ২৪ মার্চ ২০২৩ইং থেকে ৩০ তারিখ দুপুর পর্যন্ত আমার প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ রাখতে হয়। তিনি আরও বলেন, (ডাঃ আবুল ফজল মোঃ সাহাবুদ্দিন খান) সিভিল সার্জন, ঢাকা’র অনুমতিক্রমে আশুলিয়া থানা পুলিশের উপস্থিতিতে আবার হ্যাপি জেনারেল হসপিটাল খোলা হয়েছে, আমি সবার সহযোগিতা কামনা করছি, আমি যেন ভালো ভাবে চিকিৎসা সেবা করে প্রতিষ্ঠানটি চালাতে পারি সেইজন্য সবার কাছে সহযোগিতা ও দোয়া কামনা রইলো।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ভজন চন্দ্র রায় বলেন, এক প্রসুতি নারীর মৃত্যুর ঘটনায় হ্যাপি জেনারেল হসপিটাল বন্ধ করে দেন সিভিল সার্জন, ঢাকা। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ডাঃ রাশিদা বিনতে রিয়াজ (হ্যাপি) ম্যাডামের আবেদনের পর ঢাকা সিভিল সার্জন এর কর্মকর্তাদের উপস্থিতে হসপিটালটি আজ বুধবার আবার খোলে দেয়া হয়েছে বলে এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান।
