মারুফ সরকার, প্রতিবেদক :
বাংলাদেশ শান্তির দল কর্তৃক আয়োজিত “রাষ্ট্র সংস্কার ও রাজনৈতিক করণীয়” শীর্ষক এই সাংবাদিক সম্মেলনে সকালে প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়।এ সময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ শান্তির দলের চেয়ারম্যান এ্যাড.সৈয়দ আবদুল্লাহ সহিদ। উপস্থিত সকলকে বাংলাদেশ শান্তির দলের পক্ষ থেকে আমি শুভেচ্ছা ও স্বাগত জানাই। সেই সাথে জুলাই, ২০২৪ এর ছাত্র-জনতার মহান বিল্পবকে আমরা স্বাগত জানাই এবং এই বিপ্লবের সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি ও আহতদের সুচিকিৎসাক্রমে আশু আরোগ্য কামনা করি। এছাড়াও ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।
আজকের সাংবাদিক সম্মেলনের বিষয়বস্তু “রাষ্ট্র সংস্কার ও রাজনৈতিক করণীয়” বিষয়ে বাংলাদেশ শান্তির দলের অভিমত ও বক্তব্য হলো যে, ১৯৭১ এর স্বাধীনতার পর থেকে অদ্য ৫৩ বৎসর পর্যন্ত বাংলাদেশে রাজনীতি ও সরকার পরিচালনায় ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের চেতনা ও প্রত্যাশা পূরণ করতে সকল সরকার ব্যর্থ হয়েছে। ব্যর্থতার ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ বিশ্বে পর পর পাঁচ বার ১ নম্বর দূর্নীতিগ্রস্থ দেশ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে এবং আজও বিশ্বে ১৩ তম দূর্নীতিগ্রস্থ দেশ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। সরকারী প্রশাসনিক কর্মকান্ডে ও বিচার ব্যবস্থায়, ব্যাপক হারে দূর্নীতি ও ঘুষ গ্রহণ, সরকারী চাকুরী প্রদানে অসহনীয় পর্যায়ে নিয়োগ বাণিজ্য ও ঘুষ গ্রহণ, বিদেশে কয়েক লক্ষ হাজার কোটি টাকা পাচার, জালিয়াতির মাধ্যমে ঋণ গ্রহণের নামে ব্যাংকের হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ, ব্যাপক হারে চাঁদাবাজী, ভূমিদস্যূতা, লক্ষ লক্ষ নারী শিশু বিদেশে পাচার, সর্বগ্রাসী মাদক আগ্রাসণ, গুম, খুন, রাজনৈতিক হাজার হাজার মিথ্যা মামলা, আয়না ঘর কেলেঙ্কারী সহ এমন কোন অন্যায় ও অপরাধ নাই যা এদেশে সরকার ও সরকার পরিচালনাকারী রাজনৈতিক দল সমূহ সংঘটিত করে নাই, তারই কারণে বিভিন্ন সময়ে এদেশে অনেকবার বড় বড় গণ আন্দোলন ও গণঅভ্যূত্থান ঘটেছে এবং বিগত ৫৩ বছরের পুঞ্জিভূত সকল প্রকার অন্যায়-অবিচার, বৈষম্য, দুর্নীতি ও দুস্কর্মের কারণে একটি ব্যাপক গণভিত্তিক বিপ্লব জাতীয় জীবনে একান্ত অনিবার্য হয়ে পড়েছিল। তাই “অনিবার্যতার সার্বজনীন নিয়ম” এর কারণে মাটি ফুড়ে বের হওয়ার মতো ছাত্র-জনতার নজীরবিহীন অংশ গ্রহণে জুলাই’ ২৪ এর এই মহান বিল্পব সংঘটিত হয়। আপনারা অবগত আছেন যে, স্বাধীনতার পর থেকে এপর্যন্ত বিগত ৫৩ বছরে রাজনৈতিক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনে কখনো একবারের জন্যও সংশ্লিষ্ট সরকারী দল ব্যতীত অন্য কোন দল নির্বাচনে জয় লাভ করে সরকার গঠন করতে পারে নাই। শুধু এই একটি উপমা নিঃসন্দেহে প্রমাণ করে যে বাংলাদেশে অদ্যাবধি নূন্যতম গণতন্ত্র ও ভোট ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয় নাই। ফলে বাংলাদেশে আইনের শাসন, সুশাসন, সুবিচার, সুনীতি, সুষম বন্টন তথা কাঙ্খিত শান্তি প্রতিষ্ঠা হয় নাই এবং এই কারণে জাতীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যাশা অর্থনৈতিক মুক্তি ও আইন শৃঙ্খলাজনিত নিরাপত্তা আজও অর্জিত হয় নাই। এই গভীর দুরাবস্থা থেকে দেশ ও জাতীকে মুক্ত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ শান্তির দখল কর্তৃক নিম্নে “রাষ্ট্র সংস্কার ও রাজনৈতিক করণীয়” বিষয়ে কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচী ও প্রস্তাবনা জাতীর নিকট উপস্থাপন করা হয়
।