কায়সার হামিদ মানিক,কক্সবাজার।
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের তেলখোলা-বরইতলীর গহিন পাহাড়ি এলাকায় মধ্যেরাতে অভিযান চালিয়ে সন্ত্রাসী সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) শীর্ষ কমান্ডার রহিমুল্লাহ ওরফে মুছাসহ চারজনকে আটক করেছে র্যাব। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৪৩ কেজি বিস্ফোরক দ্রব্য, ম্যাগাজিনসহ ১টি বিদেশি পিস্তল, ২টি দেশীয় তৈরি বন্দুক ও ৭টি গুলি উদ্ধার করা হয়।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সিনিয়র সহকারী পরিচালক (ল’ এন্ড মিডিয়া)মোঃ আবু সালাম চৌধুরী বিকালে এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের তেলখোলা-বরইতলীর গহিন পাহাড়ি এলাকায় এ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়েছে।
আটকৃতরা হলেন, ১৮ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হাফিজ আহমেদের ছেলে আরসার শীর্ষ কমান্ডার রহিমুল্লাহ প্রকাশ মুছা, ৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বদি আলমের ছেলে আরসার অন্যতম কমান্ডার শামছুল আলম প্রকাশ মাস্টার শামসু, কক্সবাজার শহরের জাফর আলমের ছেলে মো. শফিক ও আবদুস সালামের ছেলে মো. সিরাজ।
মোঃ আবু সালাম চৌধুরী আরও জানান, মঙ্গলবার মধ্যরাতে উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের তেলখোলা-বরইতলী গহিন পাহাড়ি এলাকায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মো. শফিক ও মো. সিরাজ নামে দুই বাংলাদেশিকে আটক করে র্যাব। পরে আটকদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ৬ কেজি ৫৩০ গ্রাম বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়।
এরপর একই তথ্যের ভিত্তিতে পৃথক অভিযান চালিয়ে আটক করা হয় আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির শীর্ষ কমান্ডার ও উখিয়ার ঘোনারপাড়া ১৮ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কমান্ডার রহিমুল্লাহ ওরফে মুছা এবং ৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অন্যতম কমান্ডার শামছুল আলম ওরফে মাস্টার শামসুকে। এ সময় আটকদের আস্তানা থেকে ৩৬ কেজি ৭৮০ গ্রাম বিস্ফোরক দ্রব্য, দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা বিস্ফোরক দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ক্লোরেটস, ব্রোমোটস, পটাশিয়াম ও হেক্সামিথাইলিন টেট্রামাইন জাতীয় রাসায়নিক দ্রব্য। এসব রাসায়নিক দ্রব্য গান পাউডার বা উচ্চ বিস্ফোরক হিসেবে ব্যবহারের নজির রয়েছে।
তিনি জানিয়েছেন, আটকদের মধ্যে রহিমুল্লাহ ওরফে মুছা ও শামছুল আলম আরসার শীর্ষ নেতা এবং অপর দুজন বাংলাদেশি নাগরিক ও আরসার সহযোগী। তারা বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও আশপাশের এলাকায় খুন, অপহরণ, ডাকাতি, মাদক, চাঁদাবাজি, আধিপত্য বিস্তারসহ বিভিন্ন অপরাধ সংঘটন করত। তারা পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমারের দুর্গম সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে অস্ত্র ও বিস্ফোরক চোরাচালান করত।
গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা করা হয়েছে বলে জানান।