কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের দুর্গম চরাঞ্চলের ক্লুলেস হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করে ঘাতক মাইদুল ইসলাম (২২)কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, গত ২৫ অক্টোবর কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার চরকুমরেরবস গ্রামের ছবিরন বেওয়া (৮০)কে তার শয়ন ঘরে গলা কেটে হত্যা অবস্থায় দেখে কুড়িগ্রাম থানায় খবর দেয় তার পরিবারের লোকজন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছালে ছবিরন বেওয়াকে তার শয়ন ঘরে গলা কাটা রক্তাক্ত মৃত অবস্থা দেখতে পায়। এ ঘটনায় সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) এ কে এম ওহিদুন্নবী এর নের্তৃত্বে কুড়িগ্রাম সদর থানার একটি চৌকস টিম এই ক্লু-লেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটনে তদন্ত কার্যক্রম অব্যহত রাখে এবং বিভিন্ন ভাবে ছায়া তদন্ত ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনার মুল রহস্য উন্মোচন করতে সক্ষম হয় কুড়িগ্রামর পুলিশ।
বিধবা ছবিরন বেওয়া (৮০) অসহায় ও হতদরিদ্র বৃদ্ধা।কুড়িগ্রামের দুর্গম চর কুমরেরবস গ্রামে তার বাস। গরু ছাগল বিক্রির ৪৫ হাজার টাকা ছিলো তার জীবনের শেষ সম্বল। তিনি কখনই এই টাকা হাত ছাড়া করতেন না। নিজ কমরে গুজে রাখতেন। অবশেষে টাকাই তার জীবনের কাল হয়ে দাঁড়ায়। মাত্র ৪৫ হাজার টাকার জন্য প্রতিবেশি নাতী মোঃ মাইদুল ইসলাম (২২) এর হাতে খুন হতে হয় ছবিরন বেওয়াকে।
ঘাতক মাইদুলকে গ্রেফতারের পর বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করার পর আসামী ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন তার বর্ণনায় জানা যায়, ঘটনার দিন ২৪ নভেম্বর রাত ১০ ঘটিকার সময় ছবিরন বেওয়া (৮০) তার নিজ ঘরে ঘুমিয়ে পরলে আসামীরা ঘরের পিছন দিকের টিনের বেড়ার নিচের মাটি কেটে সিধ দিয়ে ঘরে প্রবেশ করে এবং ছবিরন বেওয়ার কোমরে রাখা ৪৫ হাজার টাকা নেয়। এসময় ছবিরন রেওয়ার ঘুম ভেঙে গেলে আসামীদের চিনতে পারলে ঘরে থাকা ধারালো বটি দিয়ে ছবিরন বেওয়ার গলা কেটে ফেল মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য বালিশ চেপে রাখেন। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করে আসামীরা পালিয়ে যায়। আসামী মাইদুলকে গ্রেফতারের পর তার দেয়া তথ্য মতে হত্যার কাজে ব্যবহৃত ধারালো বটি উদ্ধার করা হয়।