1. admin@sokalerbangla.com : সকালের বাংলা :
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৭ অপরাহ্ন
শিরবাম:
রাণীশংকৈলে আমন ধানের বাম্পার ফলন ঘরে তুলতে ব্যাস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা লক্ষ্মীপুরে সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি কামাল গ্রেপ্তার সিরাজগঞ্জে মাশরুমের গুরুত্ব ও উৎপাদন কৌশল বিষয়ক কৃষক-কৃষাণী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত  কোডেকের উ‌দ্যোগে কৃষি উপকরণ বিতরণ রতনকান্দি ও বাগবাটি ইউপিতে সঠিকভাবে খাদ্যবান্ধব চাল বিতরণ জন্য পরিদর্শন করেন,জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি নাজমুল হাসান তালুকদার রানা  রাণীশংকৈলে রাস্তা সংস্কার ও প্রশস্তকরণের দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন  ২ নং গাজীপুর ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন কতৃক আলোচনা সভা। শ্রীপুরে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মিনারা বেগমের অপসারণের দাবিতে বিএনপি ও জনতার অবস্থান কর্মসূচি। কালীগঞ্জে ছেলের শোকে মায়ের মৃত্যু, বড়বোন হাসপাতালে রাজধানীর কদমতলীতে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধগতিতে বিপর্যস্ত মানুষ

আশুলিয়ায় ২৪ নভেম্বর তাজরীন ট্রেজেডি অগ্নিদগ্ধে মৃত্যু শতাধিক শ্রমিক-এখনো সেই আতঙ্ক   

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৩
  • ২০১ Time View

হেলাল শেখঃ দেশের ইতিহাসে পোশাক শিল্পের দ্বিতীয় বিভীষিকায় কালো অধ্যায়ের এক নাম তাজরীন ট্রেজেডি। ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর তাজরীন পোশাক কারখানায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান ১১৩ জন শ্রমিক। উক্ত ঘটনায় আহত হন আরও প্রায় ৩শতাধিক শ্রমিক। সেই দিনের ভয়ংকর স্মৃতি মনে হলে আজও আতঙ্কে আঁতকে ওঠে অনেকেই। ওই দিনে মানুষ পোড়া গন্ধ এখনো ভুলতে পারেনা হাজারও শ্রমিকসহ এলাকার লোকজন।

ঢাকা জেলার প্রধান শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুর এলাকায় স্থাপিত সেই তাজরীন ফ্যাশনের পোড়া অবস্থায় আজও দাঁড়িয়ে আছে ভবনটি। ১১৩জন শ্রমিকের প্রাণখেকো ভবনটি দেখে অনেক মানুষ এখনো ভয় পান। জরাজীর্ণ ভবনটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্টরা।

বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর ২০২৩ইং) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তাজরীন ট্রাজেডির ভবনটির সামনে মনে হয় তাজা প্রাণ কান্না করছে, নিরবতা সুনসান শব্দ, পুরো ভবনজুড়ে যেন দগদগ করছে সেই ২৪ নভেম্বরের ক্ষত স্মৃতি। সেসময় ঘটনার দিন দেখা যায়, আগুনের প্রচÐ তাপে বেঁকে যাওয়া জানালার গ্রিলগুলো চোখে ভাসিয়ে তুলছে সেই দিনের ভয়াবহতা। বরাবরই তাজরীন ফ্যাশন ট্র্যাজেডির বর্ষপূর্তিতে এসে কারখানার ফটকটি ভেতর থেকে বন্ধ পাওয়া যায়। সেখানে ওই ভবনটিতে দেখভাল করার জন্য মালিকপক্ষের একজন লোক সবসময় ভেতরে থাকেন। গণমাধ্যম কর্মী, সাংবাদিক দেখলেই লোকটি দ্রæত ওই ভবনের গেটটি আটকে বন্ধ করে দেন, তিনি কারো সাথে কথা বলেন না।

বিশেষ করে একপাশে ভাঙা সীমানা প্রাচীর দিয়ে ওই ভবনের ভেতরটা কিছু অংশ দেখা যায়, পিলারগুলোর বেশিরভাগের প্লাস্তারা খসে পড়ছে। দেখা যায়, কিছু পিলার মেরামতও করা হয়েছে। সিঁড়িঁ ঘরে আগুনের লেলিহান শিখার সেদিনের ভয়াবহতা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, কালচে দাগের দেয়ালগুলো যেন সবকিছুই বলে দিচ্ছে সেই দিনের ভয়ংকর ঘটনার কথা। ভবনের ছাদের বাইরের অংশেরও পলেস্তার খসে পড়েছে।

উক্ত তাজরীন ভবনের পাশের বাড়ির মালিক আকবর মীর ও খোরশেদ সাহেব এবং স্থানীয় সালাউদ্দিন সরকার গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, এই ভবনটি বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। প্রায় ৮০ফুট উঁচু এই বিল্ডিং যদি ধইসা পড়ে তাইলে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হইবো। দেখা যায়, ওই বিল্ডিংয়ের সামনের রাস্তা দিয়া অনেক মানুষ চলাচল করেন, ভবনটি ভাঙলে রাস্তার উপর আইসা পড়তে পারে। স্থানীয়রা জানান, এই বিল্ডিংয়ের চারদিকে কমপক্ষে শতাধিক বাসা বাড়ি আছে, তারা অনেকেই বলেন, আমরা সবাই আতঙ্কের মধ্যে থাকি। স্থানীয়দের দাবি-এই পোড়া মানুষের আর্তনাদের ভবনটি তারা কেউ আর দেখতে চান না।

শ্রমিক নেতারা গণমাধ্যমকে বলেন, তোবা গ্রæপের প্রতিষ্ঠান তাজরীন ফ্যাশনের মালিক দেলোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে সুপরিকল্পিত ভাবে কারখানায় আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিলো। এ ঘটনায় ১১৩জন শ্রমিক অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। এ ঘটনার সাথে জড়িত কারো কোনো শাস্তি হয়নি বলে অনেকেই দাবি করেন। এ বিষয়ে ভুক্তভোগীরাসহ এলাকাবাসীদেরকে অভিযোগ দিতে হবে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানান। তারা বলেন, অভিযোগ দিলে তখন আমরা পদক্ষেপ নিতে পারবো। উপজেলা প্রশাসনকে বললে ইউএনও মহোদয় মার্ক করে দিলে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে টিম পাঠানো হবে।

শ্রমিক নেতা বাকের ও তুহিন বলেন, তাজরীন পোশাক কারখানার অনেক শ্রমিক কোথাও চাকরি না পেয়ে চায়ের দোকান দিয়ে কোনো রকম সংসার চালাচ্ছেন। উক্ত অগ্নিকান্ডের ঘটনায় নিহত ও আহত পরিবারের খবর কেউ রাখেন না, প্রায় এক যুগ ১২বছর কিভাবে এই পরিবারগুলো চলছে তা বলে বুঝানো কঠিন। সংশ্লিষ্টদের অনেকের সাথে এ ব্যাপারে আলোচনা করা হলেও তারা তেমন গুরুত্ব দিচ্ছেন না, আমরা সামান্য কিছু শ্রমিকদের সহযোগিতা করলেও অনেকেই অবহেলিত শ্রমিক, সবার কাছে আহŸান জানাচ্ছি, আহত শ্রমিকদের সহযোগিতা করার চেষ্টা করুন আর এই অগ্নিকাÐের যেসকল শ্রমিক নিহত ও আহত হয়েছিলো সেসকল শ্রমিক এবং তাদের পরিবারকে এই মালিকের নতুন কোনো কারখানা অথবা ভবন বানিয়ে তাদেরকে পূর্ণবাসন করে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার জোর দাবি জানান শ্রমিক নেতারা, মালিক পক্ষ যদি তা না করেন তাহলে এই মালিক পক্ষকে আইনের আওতায় আনতে সংশ্লিষ্ট পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন শ্রমিক নেতাসহ এলাকাবাসী।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved , sokalerbangla.com
Theme Customized BY LatestNews