গোলাম মোস্তাফিজার রহমান মিলন, হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে ভারত থেকে পণ্য আমদানি কমলেও গত অর্থ বছরের তুলনায় রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন পর্যন্ত জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) রাজস্ব আদায়ের লক্ষমাত্র নির্ধারণ করেনি। তবে গত অর্থ বছরের প্রথম ছয় মাসের তুলনায় চলতি অর্থ বছরে ৪৮ কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডলার সংকটের কারনে একদিকে যেমন আমদানি কমেছে অপরদিকে পেঁয়াজ ও জিরা আমদানিতে শুল্ক বৃদ্ধি ও অধিক শুল্কায়নের পণ্য আমদানি বেশী হওয়ায় রাজস্ব আদায় বেড়েছে।
হিলি কাস্টমস এর তথ্য মতে,চলতি অর্থ বছরের প্রথম জুলাই মাসে ৩১ কোটি ৮০ লাখ, আগস্ট মাসে ৪৩ কোটি ৯২ লাখ, সেপ্টেম্বর মাসে ৩৮ কোটি ৩৯ লাখ, অক্টম্বর মাসে ৩৬ কোটি ৭২ লাখ, নভেম্বর মাসে ৫২ কোটি ৯৭ লাখ ও ডিসেম্বর মাসে ৫৭ কোটি ৪০ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। এবং ৬ লাখ ৭০ হাজার টন পণ্য আমদানি হয়েছে।
এবং গত অর্থ বছরের প্রথম ছয় মাসে ৭ লাখ ৩ হাজার টন পন্য আমদানির বিপরীতে ২১৩ কোটি ১৬ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। অর্থৎ গত অর্থ বছরের তুলনায় ৩৩ হাজার টন পণ্য আমদানি কম হলেও ৪৮ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় বেশী হয়েছে।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি—রপ্তানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তক জানান, এলসি জটিলতার কারণে চাহিদা মতো পণ্য আমদানি করা যাচ্ছে না। সেই সাথে আগে যেখানে প্রতিকেজি জিরা আমদানিতে ৯৬ টাকা শুল্ক দিতে হতো এখন ২৩০ টাকা শুল্ক পরিশোধ করতে হয়। সেই সাথে ভারত সরকার পেঁয়াজের রপ্তানী মূল্য ৩২০ ডলার থেকে ৮শ ডালার নির্ধারণ করায় প্রতিকেজি পেঁয়াজ আমদানিতে ৪ টাকার পরিবর্তে ৯ টাকা হারে শুল্ক পরিশোধ করতে হচ্ছে। ফলে আমদানি কমলেও রাজস্ব আদায় বেড়েছে।
হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের ডেপুটি কমিশনার বায়জিদ হোসেন জানান, কেউ যাতে উচ্চ শুল্কের পণ্য আমদানি করে কম শুল্কে আমদানিকৃত পণ্য ছাড়করণ করতে না পারে সে জন্য সঠিকভাবে পরীক্ষণ ও শুল্কয়ন করা হচ্ছে। সেই রাজস্ব আদায় বৃদ্ধির লক্ষে বন্দরকেন্দ্রিক যেকোন সমস্য সমাধানের জন্য ব্যাবসায়ীদের সাথে নিয়মিত বৈঠক করা হচ্ছে।