নাজমুল হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদক :
লক্ষ্মীপুরের সদর উপজেলার মান্দারী বহুমখী উচ্চ বিদ্যালয়ে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
আজ শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে মান্দারী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানটিতে উপস্থিত থেকে পিঠা উৎসব উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুর রহমান।
মান্দারী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত পিঠা উৎসবে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. গিয়াস উদ্দিন, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. মিজানুর রহিম।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির দাতা সদস্য এডভোকেট মাহবুবুল করিম টিপুসহ অন্যান্য সদস্য বৃন্দ, বিদ্যালয়ের শিক্ষক বৃন্দ অভিভাবক বৃন্দ, এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ পিঠা উৎসবে উপস্থিত ছিলেন।
ঐতিহ্যবাহী মান্দারী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নানান পিঠাপুলি সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে বাহারি নানান পিঠাপুলি পৃথক পৃথক ২৭টি স্টলে ২ শতাধিক পিঠাপুলি সাজিয়ে বসেছেন শিক্ষার্থীরা।
এর মধ্যে কতিপয় পিঠা একেবারেই নতুন আবার কিছু অতিপরিচিত।
প্রতিটা পিঠার ওপরে লেখা আছে পরিচিতি নাম ও মূল্য। এসব পিঠার নামও বেশ বাহারি। শিশুরা বাবা-মায়ের হাত ধরে ঘুরে দেখছেন স্টল। জানছেন নতুন নতুন পিঠা সম্পর্কে। এ সময় পুরো স্কুল মাঠ রূপ নিয়েছে অন্যরমক আনন্দের মিলনমেলায়।
পিঠা উৎসবে ২৫ টি পৃথক স্টলের মধ্যে ছিল শীতের পিঠার নতুন গন্তব্য, পিঠাপুলির রসরন্জন, পিঠা উৎসব পৌষালী পিঠা, পিঠা ঘর, মুখোরতি বাহারি পিঠা, হিলিয়াম পিঠা ঘর,আয় সখী পিঠা ঘরে যাই, হিম হাওয়া পিঠা আলাপ,নসহ আরো অনেক।
প্রায় ২ শতাধিক বাহারি রকম পিঠাপুলি ভাপাপুলি, দুধপুলি, চিতাই, কানমুচরি আওলা কেশরি, পুলি, ঝিনুক, পাটিসাপটা, জামাই সোহাগী, গোলাপ, ফুল পিঠা পায়েস, পুডিং, তেল পিঠা, দুধ চিতই, ফুল পিঠা, ক্ষির, মুঠা পিঠা, রস গোলাপ ও কেকসহ শতাধিক পিঠাপুলি। জানা-অজানা পিঠার সম্পর্কে জানতে পেরে এবং স্বাদ গ্রহণ করতে পেরে খুশি শিক্ষার্থীরা।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, শিক্ষার্থীদের পাঠদানের পাশাপাশি গ্রামীন সংস্কৃতি চর্চা করতে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়। শিক্ষার্থীদের মেধা ও প্রতিভা বিকাশের সমৃদ্ধি করতে আমরা এমন আয়োজন করে আসছি।
উৎসব শেষে আয়োজকদের পক্ষ থেকে পুরষ্কার পেয়ে খুশি পিঠা উৎসবে অংশগ্রহনকারী পিঠা স্টলের শিক্ষার্থীরা। এমন আয়োজন ধারাবাহিকভাবে অব্যাহত থাকবে বলে প্রত্যাশা রাখেন শিক্ষার্থীরা।